নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্য লাস্ট রাজা অব ওয়েস্ট পাকিস্তান হলেন পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান বাংলাদেশ চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের জীবনীমূলক একটি গ্রন্থ। এই বইয়ের লেখক প্রিয়জিৎ দেবসরকার।তিনি লন্ডনে বসবাসরত একজন ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক। বইটি প্রধানত রাজা ত্রিদিব রায়ের সরকার এবং তার শাসনের দিকে আলোকপাত করে। রাজা ত্রিদিব রায় ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা জনগোষ্ঠীর ৫০তম রাজা। বইটি ১৯৫৩ সালে ত্রিদিব রায়ের রাজা হিসেবে রাজ্যাভিষেক থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পর্যন্ত তার সম্পূর্ণ জীবন ইতিহাসের বিবরণ দেয়।বইটিতে লিপিবদ্ধ আছে যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেন। তার আশঙ্কা ছিল যে স্বাধীন বাংলাদেশে চাকমা রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন থাকবে না এবং বাঙালিদের কারণে চাকমারা স্থানচ্যুত হবে তাই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুক্ত থেকে স্বায়ত্ত্বশাসন বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে যুদ্ধ শেষ হলে তিনি পাকিস্তান চলে যান। রাজা ত্রিদিব রায়ের তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের প্রতি বিশ্বস্ততার বিশদ বিবরণের কারণেই বইটির নামকরণ দ্য লাস্ট রাজা অফ ওয়েস্ট পাকিস্তান করা হয়েছে। বইটি উল্লেখ করে যে পাকিস্তানে ত্রিদিব রায় একজন লেখক কূটনৈতিক বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হন এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালনও করেন। বই অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধে আনুগত্যের কারণে পাকিস্তান সরকার ত্রিদিব রায়কে আজীবনের জন্য ফেডারেল মন্ত্রী ঘোষণা করে।বইটি মূলত মাধ্যমিক উৎসসমূহের তথ্য দিয়ে গবেষণা করা হয়। ফলস্বরূপ এটির তথ্যসূত্রসমূহই প্রায় ৩৫ পৃষ্ঠা জুড়ে উপস্থিত রয়েছে।
রাজা ত্রিদিব রায়
রাজা ত্রিদিব রায় ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা জনগোষ্ঠীর ৫০তম রাজা। ১৯৫৩ সালের ২ মে থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি রাজা ছিলেন। পাকিস্তানে তিনি একজন লেখক, কূটনৈতিক, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি আর্জেন্টিনায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। পাকিস্তান সরকার তাকে আজীবন মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন।ত্রিদিব রায় ১৯৩৩ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে চাকমা রাজপ্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজা নলিনাক্ষ রায় ও তার স্ত্রী বিনিতা রায়ের ছেলে।১৯৫৩ সালের ২ মে ত্রিদিব রায় চাকমা সার্কেলের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। ১৯৭১ সালে তিনি দায়িত্ব ত্যাগ করেন। এরপর তার ছেলে দেবাশীষ রায় রাজা হন।
ত্রিদিব রায় চাকমা রীতিতে বেড়ে উঠেছেন। অশ্বারোহণ, পোলো খেলাসহ অন্যান্য বিষয়ে তিনি শিক্ষালাভ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে তার পরিবারের সাথে তিনিও কলকাতা গমন করেন।চট্টগ্রামের সেন্ট স্কলাস্টিকা কনভেন্টে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুল এবং ভারতের কুরসেওং ভিক্টোরিয়া স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি কলা, বিজ্ঞান ও বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।ত্রিদিব রায় লন্ডনের ইনস অব কোর্টে আইন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি ব্যারিস্টার-এট-ল হন। তিনি লিঙ্কনস ইনের সদস্য ছিলেন। তার পিতা রাজা নলিনাক্ষ রায় ১৯৫২ সালের ৭ই অক্টোবর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরনের কারণে মারা যান। সেসময় তার বয়স ছিল ৪৯ বছর। ত্রিদিব রায় ১৯৫৩ সালের ২ মার্চ ৫০তম চাকমা রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন। একই বছর রাণী আরতি রায়ের সাথে তার বিয়ে হয়।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২
মামুন ইসলাম বলেছেন: সভ্যতা আর সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় প্রতিটি মানুষকে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু রাজা যে রাজাকার হয়ে গেলেন, মুশকিলতো এখানেই।