নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হোয়সলেশ্বর মন্দির, হৈলেবিডু
হোয়সলেশ্বর মন্দিরের বাইরের প্রাচীরে তারকাকার মন্দিরের দৃশ্য
হৈলেবিডু ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাসান জেলায় অবস্থিত একটি শহর। এই শহরের প্রাচীন নাম দোরসমুদ্র বা দ্বারসমুদ্র। এই শহরটি খ্রিস্টীয় ১২শ শতাব্দীতে হোয়সল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। এই শহরে হোয়সল স্থাপত্যের কয়েকটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন অবস্থিত। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হোয়সলেশ্বর এবং কেদারেশ্বর মন্দির। মালিক কাফুর এই শহর দুই বার লুণ্ঠন করেছিলেন বলে এই শহরের নাম করন হয় হৈলেবিডু।চলুন সময় নষ্ট না করে দ্রুত নিচে মন্দির গুলোর ছবি দেখে নেই।
মূল মন্দিরের সুসজ্জিত বহিঃপ্রাচীর[/si
(১)হোয়সলেশ্বর মন্দিরে যুদ্ধরত হাতির খোদাইচিত্র
(২)হৈলেবিডু
(৩)হোয়সলেশ্বর মন্দির
(৪)কেদারেশ্বর মন্দির
(৫)কেদারেশ্বর মন্দিরের অর্জুন খোদাই ভাস্কর্য
হৈলেবিডু এর ইতিহাস
খ্রিস্টীয় ১২শত হতে১৩শত শতাব্দীতে হৈলেবিডু ছিল হোয়সল সাম্রাজ্যের রাজধানী। কেতমল ১১২১ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই শহরে হোয়সলেশ্বর মন্দির নির্মাণ করেন। রাজা বিষ্ণুবর্ধন এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত।বিষ্ণুবর্ধনের পুত্র এবং উত্তরসূরি প্রথম নরসিংহের প্রধান স্থপতি কেদারোজ এই মন্দিরটির নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ করেন। এই মন্দিরে হোয়সলেশ্বর এবং শান্তলেশ্বরের মূর্তি রয়েছে। এই দুই মূর্তি রাজা বিষ্ণুবর্ধন হোয়সল ও রানি শান্তলা দেবীর নামে নামাঙ্কিত।খ্রিস্টীয় ১৪শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মালিক কাফুরের সেনাবাহিনী এই শহর লুণ্ঠন করে। তারপর এই শহর হতশ্রী হয়ে পড়ে এবং অবহেলিত হতে শুরু করে।
(৬)কেদারেশ্বর মন্দিরের বারাহী খোদাই ভাস্কর্য
(৭)কেদারেশ্বর মন্দির
(৮)কেদারেশ্বর মন্দিরের বিষ্ণু খোদাইচিত্র
(৯)কেদারেশ্বর মন্দিরের বামন খোদাই ভাস্কর্য
(১০)হোয়সলেশ্বর মন্দিরের প্রবেশপথ
হৈলেবিডুর মন্দির চত্বরে দুটি হিন্দু মন্দির এবং দুটি জৈন মন্দির আছে। হিন্দু মন্দির দুটি হল হোয়সলেশ্বর মন্দির ও কেদারেশ্বর মন্দির। সেই মন্দিরগুলির সামনে আছে একটি বড়ো হ্রদ। হোয়সলেশ্বর মন্দিরের দুই পাশে দুটি একশিলা নন্দী মূর্তি রয়েছে। এই মন্দিরগুলি সোপস্টোন বা ক্লোরিটিক সিস্ট নামে এক ধরনের নরম পাথরে নির্মিত। মন্দির চত্বরের মধ্যে একটি পুরাতাত্ত্বিক জাদুঘরও রয়েছে।
হোয়সলেশ্বর মন্দির ১১২১ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল। এটি ভাস্কর্য সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। মন্দিরের দেয়ালে হিন্দু পুরান,,পশুপাখি এবং শিলাবালিকা বা নর্তকীর অসংখ্য খোদাইচিত্র দেখা যায়। মন্দিরের কোনও ভাস্কর্যই একরকম দেখতে নয়। মন্দিরটির বাইরে রক্ষী হিসেবে একটি নন্দী মূর্তি স্থাপিত রয়েছে। ৮৬ বছরের চেষ্টাতেই এই মন্দিরটির নির্মাণকার্য শেষ করা যায়নি। এই মন্দিরের নিকটবর্তী জৈন মন্দিরটিও সুন্দর ভাস্কর্যের জন্য বিখ্যাত।
(১১)পার্শ্বনাথ মন্দির
(১২)পার্শ্বনাথ মন্দিরে পার্শ্বনাথের ১৮ ফুট (৫.৫ মিটার) উঁচু মূর্তি
১১৩৩ খ্রিস্টাব্দে বিষ্ণুবর্ধনের রাজত্বকালে পার্শ্বনাথ মন্দিরটি নির্মিত হয়। মন্দিরের স্থপতি ছিলেন বোপ্পদেব এবং নির্মাতা ছিলেন বিষ্ণুবর্ধনের মন্ত্রী গঙ্গারাজার পুত্র বোপান্না। এই মন্দিরের ভিতর কালো গ্র্যানাইট পাথরে নির্মিত ১৮ ফুট উঁচু পার্শ্বনাথের একটি মূর্তি রয়েছে।
(১৩)শান্তিনাথ মন্দির
(১৪)শান্তিনাথ মন্দিরে শান্তিনাথের ১৮ ফুট বা ৫.৫ মিটার উঁচু মূর্তি
শান্তিনাথ মন্দির নির্মিত হয়েছে দ্বিতীয় বীর বল্লালের রাজত্বকালে ১১৯২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। এখানে শান্তিনাথের একটি ১৮ ফুট উঁচু বিগ্রহ রয়েছে।হৈলেবিডুর মন্দিরগুলি এখন প্রস্তাবিত ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪১
প্রামানিক বলেছেন: ঐতিহাসিক স্থানের ছবি এবং বর্ণনা পড়ে ভালো লাগল।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৫
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ছবি ও বর্ণণা উভয় ভালো লাগল মামুম ইসলাম ভাই ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: দারুন ছবি এবং লেখা ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
নিউ সিস্টেম বলেছেন: ভালো লাগল
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: খুব সুন্দর ছবি ব্লগ!
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০২
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ এতকিছু নির্মাণ করেছিল, আমি কোথায়ও একটা ইটও রাখার সুযোগ পেলাম না, জঘন্য
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আশা করি একদিন পাবেন
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০২
জুন বলেছেন: হাসানের হেলেবিদ ভ্রমনে গিয়ে দেখেছিলাম এই স্থাপত্যগুলো। আবার দেখে নিলাম আপনার চোখে মামুন ইসলাম।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এম ইতিহাস জানতে আর ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখতে আমার ভীষণ ভালোলাগে.....শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।