নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মুহাম্মদ আলী ও তার জীবনের কিছু কথা

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩


মুহাম্মদ আলী যার জন্ম নাম ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র তিনি একজন মার্কিন পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন, সাধারণভাবে যাকে ক্রীড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ক্রীড়াজীবনের শুরুর দিকে আলী রিংয়ের ভেতরে ও বাইরে একজন অনুপ্রেরণাদায়ক এবং বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড তাকে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় এবং বিবিসি তাকে শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত করেছে।
ক্লে ১২ বছর বয়সে প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে ২২ বছর বয়সে তিনি সনি লিস্টনকে পরাজিত করে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেন। ফেব্রুয়ারি ২৫তারিখ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯ তারিখ পর্যন্ত তিনি অবিতর্কিত হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মান পান। এর কয়েকদিন পরেই তিনি নেশন অব ইসলামে যোগদান করে তার নাম পরিবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি সুন্নি ইসলামে ধর্মান্তরিত হন।
১৯৬৭ সালে আলী তার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের বিরোধিতার কারণে মার্কিন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান করতে অস্বীকৃত হন। তার কয়েকদিন পরে তাকে এই কারণে দোষী সাব্যস্ত করে তার বক্সিং উপাধি কেরে নেয়া হয়। তিনি তার জীবনের সেরা সময়ে পরবর্তী চার বছর কোন ধরণের বক্সিং প্রতিযোগিয়ায় নামতে পারেননি। ১৯৭১ সালে তার আপীল সুপ্রিম কোর্টে পেশ হয় যেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সরিয়ে নেয়া হয়। যুদ্ধের বিরুদ্ধে আলীর বিবেকজনিত কার্যকলাপ তাকে সংস্কৃতি বিরোধী প্রজন্মের নিকট শ্রদ্ধার পাত্র করে তোলে।বক্সিং জগতে ফিরে এসে আলী ১৯৭৪ সাল এবং ১৯৭৮ সালে আবার বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেন।
পেশাদার কুস্তিগীর জর্জ ওয়েগনার দ্বারা অনুপ্রাণিত আলী বক্সিং এর সঙ্গে সম্পর্কহীন বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ও সাক্ষাতকারে স্পষ্ট মতামত জানাতে দ্বিধা করতেন না। আলী শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের বিরোধিতা করে আফ্রিকান আমেরিকান ক্রীড়াজগতের অবস্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম হন।


মুহাম্মদ আলীীর প্রথম জীবন
মুহাম্মদ আলী ১৯৪২ সালের জানুয়ারির ১৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্লে সিনিয়র সাইনবোর্ড এবং বিলবোর্ড রঙ করতেন এবং মা ওডিসা গ্র্যাডি ক্লে একজন গৃহিনী ছিলেন। যদিও ক্লে সিনিয়র একজন মেথডিস্ট ছিলেন কিন্তু তার সন্তানদের বাপ্টিস্টে নিতে তার স্ত্রীকে অনুমতি দিতেন। ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিলাতে জন্মগ্রহণ করেন। দুই ভাইয়ের বড় ক্লের নামকরণ তার পিতা ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে সিনিয়রের নামে করা হয় যার নাম একই নামের একজন উনবিংশ শতাব্দীর মার্কিন রাজনীতিবিদের সম্মানে রাখা হয়েছিল। ক্লের পিতামহ এবং পিতামহীর নাম ছিল জন ক্লে ও সালি অ্যানা ক্লে। ক্লের ভগিনী ইভার বয়ান অনুযায়ী সালি মাদাগাস্কারের অধিবাসী ছিলেন। ক্লের পিতা একজন রংমিস্ত্রি ছিলেন এবং তার মাতা ওডেসা গ্রেডি ক্লে একজন গৃহপত্নী ছিলেন। সিনিয়র ক্লে প্রাক গৃহযুদ্ধের দক্ষিণাংশের একজন আফ্রিকান আমেরিকান ক্রীতদাসের বংশধর ছিলেন।
লুইভিলার পুলিস অফিসার তথা বক্সিং প্রশিক্ষক জো মার্টিন ক্লেকে প্রথম বক্সিং শিখতে বলেন যখন তিনি বারো বছরের ক্লেকে একজন সাইকেল চোরের সঙ্গে মারপিট করতে দেখেন।তার পরবর্তী চার বছর বক্সিং কাটম্যান চাক বোডাক তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
ক্লে ১৯৫৪ সাল প্রথম অপেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় নামেন।তিনি ছয়বার কেন্টাকি গোল্ডেন গ্লাভস উপাধি, দুইবার জাতীয় গোল্ডেন গ্লাভস উপাধি, একবার অ্যামেচার অ্যাথলেটিক ইউনিয়ন জাতীয় উপাধি এবং রোমে অনুষ্ঠিত ১৯৬০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে বক্সিং প্রতিযোগিতায় লাইট হেভিওয়েট বিভাগে স্বর্ণপদক লাভ করেন। অপেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় ক্লে ১০০ বার জেতেন ও মাত্র পাঁচ বার পরাজিত হন।

মুহাম্মদ আলীর প্রথমদিকের লড়াই
ক্লে ১৯৬০ সালের ২৯শে অক্টোবর পেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় প্রথম বারের জন্য অংশ নেন এবং টানি হানসাকারকে ছয় রাউন্ডে পরাজিত করেন। বাসন মাজা এবং ঝাঁট দেয়ার মত কাজ করতে অস্বীকৃত হয়ে ১৯৬০ সালে ক্লে তার প্রশিক্ষক আর্চি মুরকে ত্যাগ করেন। তারপর তিনি অ্যাঞ্জেলো ডান্ডিকে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন। সে সময় তিনি সুগার রে রবিনসনকে ম্যানেজার হিসেবে চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হন।
তারপর থেকে ১৯৬৩ সালের শেষার্ধ পর্যন্ত ক্লে ১৯-০ জয়ের রেকর্ড করেন যার মধ্যে ১৫টি জয় নকআউটের মাধ্যমে ঘটে। সে সময় তিনি টনি এস্পার্তি, জিম রবিনসন, ডনি ফ্লীম্যান, আলোঞ্জো জনসন, জর্জ লোগান, উইলি বেসমানফ, ল্যামার ক্লার্ক, ডগ জোন্স, হেনরি কুপার ইত্যাদি মুষ্টিযোদ্ধাদের পরাজিত করেন। ১৯৬২ সালে ক্লে আর্চি মুরকেওপরাজিত করেন। প্রথম দিককার এই লড়াইগুলিতে ক্লেকে বেশ কয়েক বার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। হেনরি কুপারের সঙ্গে লড়াইয়ে ক্লে চতুর্থ রাউন্ডে কুপারের হুকে মাটিতে পড়ে যান, কিন্তু সঠিক সময়ে ঘন্টার আওয়াজে বেঁচে যান। ১৯৬৩ সালের ১৩ই মার্চ নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ডগ জোন্সের সঙ্গে লড়াই এই সময় তার জীবনের কঠিনতম লড়াই ছিল। প্রতিটি লড়াইয়ের শুরুতে ক্লে তার প্রতিপক্ষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন এবং নিজের ক্ষমতার দম্ভ করতেন। তার এই আচরণ বহু দর্শকদের মনে ক্রোধের সঞ্চার করত।

ক্যাসিয়াস ক্লে হলেন মোহাম্মদ আলি

শিরোপা জয় করার পর তিনি দ্রুত খ্যাতির শীর্ষে পৌছে যান। এ সময় তিনি ঘোষনা দেন তিনি নেশন অফ মুসলিমNation of Muslim গোত্রের সদস্য। তার নাম রাখা হয় ক্যাসিয়াস এক্স কারণ তিনি মনে করতেন তার পদবী দাসত্বের পরিচায়ক। এর কিছুদিন পর গোত্র প্রধান সাংবাদিকদের কাছে তাকে মোহাম্মদ আলি বলে পরিচয় করিয়ে দেন|কথিত আছে তিনি সুন্নী সুফি শায়খ হিশাম কাব্বানীর হাতে মুরিদ হন
ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে অস্বীকার পরে তার কি হয় ?
১৯৬৪ সালে তিনি সৈনিক জীবনে প্রবেশ করতে ব্যার্থ হন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ন হয়ার কারনে। ১৯৬৬ সালে তিনি উত্তীর্ন হন। তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে কোরআন যুদ্ধ সমর্থন করে না। আল্লাহ বা নবীর নির্দেশ ছাড়া তিনি যুদ্ধে যাবেন না। কোন ভিয়েতকং এর সাথে তার বিরোধ নেই, তারা কেউ তাকে কালো বলে গালিও দেয়নি। তিনি ক্যাসিয়াস ক্লে বলে পরিচিত হতে চাননি, সে কারনে তিনি ১৯৬৬ সালে আমেরিকায় লড়াইতে অংশ নিতে পারেননি।১৯৬৫ সালে লিস্টন এর সাথে ফিরতি ম্যাচের পর ১৯৬৭ সালে যরা ফলির সাথে ম্যাচের মধ্যে তিনি ৯ বার শিরোপা রক্ষার লড়াইতে নামেন। খুব কম বক্সারই এত কম সময়ে এত বেশি বার লড়াই করেন। তার জীবনের একটি অন্যতঅম কঠিন লড়াইএ তিনি ১২ রাউন্ডে জয় লাভ করেন। আলি ১৯৬৬ সালে আমিরিকায় ফিরে এসে ক্লিভলান্ড উইলিয়ামস এর সাথে লড়াই করেন। সেটি তার সেরা ম্যাচগুলোর একটি যেটিতে তিনি ৩ রাউন্ডে জিতেন। ১৯৬৭ সালে তিনি হিউস্টন এর একটি রিং এ এরনি তেরেল এর সাথে লড়াই এ নামেন। তেরেল তাকে ম্যাচ এর আগে ক্লে বলে অপমান করেন। আলি তাকে সঠিক শাস্তি দেয়ার মনস্থির করেন। ১৫ রাউণ্ডের এ লড়াইএ তিনি তাকে রক্তাক্ত করেন, অনেকে মনে করেন যে আলি ইচ্ছা করে লড়াই আগে শেষ করেননি। ১৯৬৭ সালে তিনি ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন যুদ্ধে না যাওয়ার কারনে। ১৯৭০ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি লড়াইএ ফিরে আসতে সমর্থ হন।

শতাব্দীর সেরা লড়াই
১৯৭১ সালে মার্চ মাসে আলী জো ফ্রেজিয়ারের মুখোমুখি হন যা 'শতাব্দীর সেরা লড়াই' হিসাবে পরিচিত। বহুল আলোচিত এ লড়াইটি ছিলো দুই মহাবীরের লড়াই যা সকলকে শিহরিত করে। জো ফ্রেজিয়ার খেলায় জয়লাভ করেন ও আলি প্রথমবারের মত পরাজিত হন। ১৯৭৪ সালের ফিরতি লড়াইয়ে তিনি অবশ্য শিরোপা পুণরুদ্ধার করেন।
রাম্বেল ইন দ্যা জাংগল
তিনি ১৯৭৪ সালের অক্টোবারে জর্জ ফোরম্যান এর সাথে লড়াই এ নামেন যা রাম্বেল ইন দ্যা জাংগল বলে পরিচিত। আলির ঘোর সমর্থকরাও তাতে আলির সম্ভাবনা দেখেননি। ফোরম্যান ও নর্টন আলির সাথে প্রবলভাবে লড়াই করেন এবং জর্জ তাদের ২ রাউণ্ডে পরাজিত করেন। ফোরম্যান ৪০ টির মধ্যে ৩৭ টি লড়াই নকআউটে জিতেন ৩ রাঊণ্ডের মধ্যে। আলি এ ব্যাপারটিকে কাজে লাগাতে চাইলেন। সবাই ভেবেছিলো তিনি ক্ষিপ্রতার সাথে লড়াই করবেন । কিন্তু তিনি দূরে দূরে থাকতে লাগলেন। ফোরম্যানকে তিনি আক্রমণ করতে আমন্ত্রন করলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল তাকে ক্লান্ত করে দেয়া। ৮ম রাউন্ডে তিনি তার সুযোগ পেয়ে গেলেন এবং ফোরম্যানকে নকআউট করলেন।
১৯৭৫ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার মতে সে জন্য ভুমিকা রাখেন নেশন অফ মুসলিম এর প্রধান ডব্লু ডি মুহাম্মদ।১৯৭৫ সালে আলি লড়াই করেন ফ্রেজিয়ার এর সাথে। দুজন বীরের সে লড়াইএর জন্য সকলে খুবই উত্তেজিত ছিল। ১৪ রাউণ্ডের শেষে ফ্রেজিয়ার এর কোচ তাকে আর লড়াই করতে দেননি কারণ তার এক চোখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফ্রেজিয়ার এর কিছুদিন পরই অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের এক লড়াইএ তিনি ১৯৭৬ এর অলিম্পিক মেডালিস্ট লিয়ন স্পিংক্স এর কাছে খেতাব হারান। তিনিই প্রথম যিনি একজন অপেশাদার এর কাছে হেরেছিলেন। ১৯৭৯ তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
তবে তিনি ১৯৮০ সালে ফিরে আসেন ল্যারি হোমস এর কাছ থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নিতে। ল্যারি ছিলেন তার শিষ্য তাই সকলেই লড়াইটি নিয়ে আগ্রহী ছিল। ১১ রাউন্ড পর আলি পরাজিত হন। পরে জানা যায় মস্তিস্কে মারাত্বক ত্রুটি ধরা পরেছে। তার মস্তিষ্ক ফুটো হয়ে গিয়েছিল। পরে তিনি ১৯৮১ সালে অবসর গ্রহণ করেন৫৬ জয় ৩৭টি নকআউটে ৫ পরাজয়।

মুহাম্মদ আলীর বাংলাদেশ সফর
১৯৭৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি বিদেশি সংস্থা ৫ দিনের সফরে তাকে ঢাকায় এনেছিল। সে সময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ওই সময়ের বিখ্যাত মডেল ভেরোনিকা পরশে, মেয়ে লায়লা আলী, ভাই, বাবা ও মা। একবার কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম পদকজয়ী বক্সার আবদুল হালিম একই রিংয়ে নেমেছিলেন। তবে সেদিন আবদুল হালিমকে নকআউট করেননি তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলী। তিনি আরও ছোট কাউকে চেয়েছিলেন তার সাথে মজা করার জন্য,তখন বাংলাদেশের জুনিয়র বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ১২ বছর বয়সী গিয়াস উদ্দিন তার সাথে বক্সিং খেলার সুযোগ পান।সেই সফরে বাংলাদেশ সরকার তাকে সম্মান সূচক নাগরিকত্ব প্রদান করে । পল্টনের বক্সিং স্টেডিয়ামকে তার নামে নামকরণ করা হয়।

১৯৮০ সালে তিনি পারকিন্সন্স রোগে en:parkinson’s disease আক্রান্ত হন। তাকে যখন বলা হয় তিনি তার রোগের জন্য বক্সিংকে দায়ী করেন কিনা তিনি বলেন বক্সিং না করলে এত বিখ্যাত হতেন না। অবসরের পরে তিনি তার জীবনকে মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। ৩২ বছর পারকিনসন্স রোগে ভোগার পর ০৩ জুন, ২০১৬ তে ৭৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি রইল।

লেখায় ++++

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি থাকল ।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




আলী যুদ্ধ বিরোধীতা করে ইতিহাস রেখে গেছেন।

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

মামুন ইসলাম বলেছেন: শুধু ইতিহাসই না চাদগাজী ভাই অনেকেই তাকে চির জীবন মনেও রাখবে । গঠনমূলক ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই ।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাঁকে ভাল লাগে কারণ বাংলাদেশের ব্যাপারে তাঁর ইতিবাচক কিছু কাজ আছে। :)

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার ভাই । অনেকদিন ব্লগে নিয়মিত না থাকায় এবং সময়ের কারনে আপনার সঙ্কল পোস্ট কিছু অংশ পড়েছি কিন্তু
মন্তব্য করি নাই । পুরোটা শেষ করে দেখি আজ ভালো মন্দ কিছু বলমুনি ।

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: গতকাল বিবিসির সান্ধ্য অনুষ্টানে মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে তৈরি ফিচার গুলো শুনছিলাম। খুব ভাল লাগছিল! অনেক আগে থেকেই তাকে আমার একজন প্রিয় ব্যক্তি এবং প্রিয় খেলোয়াড় হিসাবে ভাল লাগে!

বিশেষ করে বাংলাদেশ সম্পর্কে তার মধ্যে যে একটা ইতি বাচক ধারনা ছিল সেটা জানতে পেরে আরো ভাল লাগছে! তিনি বাংলাদেশ সফরে এসে একটা বক্তৃতায় বলেছিলেন- 'যুক্তরাষ্ট্র আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে তো কি হয়েছে, আমার জন্য বাংলাদেশ তো আছে?'

এছাড়াও তিনি অনেক আগে লন্ডনে বিবিসির একটা স্বাক্ষাতকার অনুষ্টানে উপস্থাপকের অনুরোধে বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশ্যে বাংলায় ধন্যবাদ জানান! যেটা সত্যি মুগ্ধ করার মত ছিল!

তথ্য ভিত্তিক চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা রইলো! শুভ কামনা জানবেন!

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে পুরো পোস্টের সার্থকতা তুলে ধরেছেন সাহসী ভাই অনেক ধন্যবাদ ।

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৪

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর ভাই ।

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৩

টুথব্রাস বলেছেন:





বন্ধ হতে যাচ্ছে ফেসবুক !

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সর্ববৃহ‍ৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০০৪ সালে প্রাইভেট নেটওয়‍ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার তিনবছর পর ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাপী ফেসবুক তাদের সার্ভিসটি উন্মক্ত করে।

একের পর এক নতুন ও আকর্ষণীয় ফিচার এনে ফেসবুক কর্পোরেশন ইতিমধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জগতের ধার‍াই বদলে দিয়েছে।

সম্প্রতি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, ২০৭৩ সালে তারা ফেসবুক স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়ে গোয়াবুক নামে নতুন একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট চালু করবেন। ফেসবুকের কোনো ডাটাই সেখানে থাকবেনা। নতুন করে সবকিছূ শুরু করা হবে। এখবরটি শুনে বিশ্বব্যাপী তুম‍ুল হইচই শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের নানাপ্রান্তের ফেসবুক ইউজাররা ইতিমধ্যেই জুকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান কে নিয়ে গালাগ‍ালি শুরু করে দিয়েছে।

প্রিসিলা খুব শীঘ্রই আইডি ডিএকটিভেট করে দিবে বলেও জানিয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। ঘটনাটিতে তিনি খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। – প্রথম আলু ডেস্ক

০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: অসুস্থ নয় সুস্থ ব্লগীং করুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.