নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি প্রেম একটি আত্ম্যহর্তা । গল্পঃ নীলা

০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৭


যতদূর মনে পড়ে আজ থেকে দশ বছর আগে একটি ছেলে একটি মেয়ে দুজন দুজনার মধ্যে অতন্ত অন্তরঙ্গ ভালবাসা ছিল ।
ছেলেটির নাম ছিল মাহামুদ আর মেয়েটির নাম ছিল নীলা । ছেলে মেয়ে দুজনের মনের রঙও ছিল আকাছের নীল রংঙের মত ।
তাদের প্রেম ছিল পবিত্র । মাহামুদ যে বাসায় ভাড়া ছিল নীলা ছিল সে বাড়ির বাড়িওয়ালার ছোট মেয়ে । মাহামুদ পাঁচ বছর ধরে নীলর সাথে প্রেম সম্পর্কে জরীত ছিল । নীলা আর মাহমুদের মধ্যেকার যে গভীরতা প্রেম ছিল তা শুধু প্রথমে নীলার ভাবী জানতো । নীলা ইন্টারে লেখা পড়া করতে ছিল । মাহামুদ একটি প্রাইভেট অফিসে চাকুরি করতো ।

নীলা আর মাহামুদের প্রেমের তখন আর শুধু নীলার ভাবী পযন্ত নেই আস্তে আস্তে নীলার পুরো ফেমিলী তাদের প্রেমের কথা জেনে গেল । একদিন নীলার মা নীলাকে বললো তুমিযে মাহামুদকে ভালবাস ও মাহামুদ যে তোমায় ভালবাসে তা কি মাহামুদের ফেমিলী জানে ?
নীলা তার মাকে বললো মা আমিতো বলতে পাড়ি না । নীলা মাহামুদেরা ভাই বোন কয়জন ?
মা আমি ওর মুখে শুনেছিলাম ওরা দুই ভাই এক বোন ।
ওদের ফেমিলীর অবস্থা কি ? তা ছাড়া ও কি সত্যই তোমাকে ভালবাসে ? ওর সাথে তোমার দৈহিক কোন সম্পর্ক হয়েছে কি ?নীলা তার মায়ের এসব কথার উত্তরে তার মাকে বললো,মা আমি যতদূর জানি মাহামুদের বাবা মাহামুদেরা যখন ছোট তখন মারা গেছেন । মাহামুদের মাই ওদের তিন ভাই বোনকে কুলে পিঠে করে ছোট থেকে বড় ও মানুষ করেছে । ওদের পরিবারের অবস্থা ভালো । আর মাহামুদের আমার মধ্যে যে প্রেম তা শুধু দেখা এবং কথার মধ্যেই সীমিত এবং ওর আমার প্রেম খাঁটি ও পবিত্র । না বলছিলাম কি নীলা, দেখতে দেখতে তোমারো বয়স হয়ে গেলতো তাই তুমি মাহমুদকে জিজ্ঞাসা করো ও কি তোমায় বিয়ে করতে রাজী আছে ? ঠিক আছে মা আমি জিজ্ঞাসা করবো ।

একদিন বিকেলে মাহামুদ কে খবর দিয়ে নীলা তাদের বাসায় ডেকে নিলেন । প্রথমে মাহামুদকে নীলা তার মা বাবা ভাই বোন সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন পরে তাকে নীলার রুমে নিয়ে যেতে বলেন নীলার ভাবী ।

নীলা মাহামুদকে তার রুমে নিয়ে বসান এবং নীলা মাহামুদকে জিজ্ঞাসা করেন সে কি তকে বিয়ে করতে রাজী আছে কি না ।
নীলার কথা শুনে মাহামুদ নীলাকে বললো বিয়ে বিয়ে করে এত পাগল হয়েছ কেন লক্ষী । আজ না হয় কাল কাল না হয় তার বাদ দিন একদিন না একদিন তো বিয়ে হবেই ।
নীলা মাহামুদের মুখে এসব কথা শুনে কিছুটা অভাগ হয়ে গেল । পরে নীলা মাহামুদকে বললো দেখ তোমার সাথে আমার সম্পর্কের কথা আমার বাপ মা জেনে গেছে আর তাই তারা চায় না আমাদের এমন সম্পর্ক থাকুক । তারা চায় তোমার আমার দু পক্ষের গার্জেণ এক জায়গায় বসে তোমার আমার বিয়ের পাকা কথা ফাইনাল করতে ।
এ কথা শুনে মাহামুদের মুখ খানা কিছুটা অন্ধকার হলো । কেননা নীলার মুখে এসব কথা শুনতে মাহামুদের কাছে ভালো লাগতে ছিল না । তার পরেও মাহামুদ নীলাকে মিথ্যে শান্তনা দিল এই বলে,ঠিক আছে লক্ষী ঈদের আরতো মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে,এবার ঈদের ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে ঢাকা ফেরার পথে মাকে সাথে করে নিয়ে আসব তোমার মা বাবার সাথে আমাদের বিয়ের কথা পাকা করার জন্য ।
ঈদ এসে পড়লো মাহামুদ নীলাকে না বলেই ঈদের আগের দিন বাড়ি চলে গেল । নীলা ঈদের আগের দিন রাতে মাহামুদকে ফোন দিল,মাহামুদ ফোন রিসিভ করে হ্যালো নীলা কিছু মনে করো না হঠাৎ করে সকালে ঠিক করলাম অফিসের গাড়ি দিয়ে বাড়িতে চলে আসবো তাই ব্যস্ততার কারনে তোমাকে জানাতে পারিনি প্লীজ লক্ষী ময়না পাখী টিয়ে পাখী আমার মন খারাপ করোনা ।
এইতো কালকের দিন বাদে পরসু দিন এসে পড়বো । এই বলে মাহামুদ ফোন কেঁটে দিল ।
ঈদের পরদিন নীলা ফোন দিল ফোনে রিং হলো কিন্তু মাহামুদের কোন ছাড়া পেল না । এভাবে দীর্ঘ এক মাস নীলা ফোন দিল কিন্তু ও পাশ থেকে কোন ছাড়া পায় না ।
অবশেষে এক মাস দশদিন পর একদিন সকালে মহামুদের ফোন থেকে মেয়ে গলায় একটি ফোন দিয়ে নীলাকে জানানো হলো সে যেন ঐ নাম্বারে আর ফোন না দেয় । নীলা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলো মাহামুদের কথা,মেয়েটি নীলাকে বললো মাহামুদ এখানেই আছে তবে সে তার সাথে কথা বলতে রাজী নন । অনেক অনুরোধ করে নীলা মাহামুদকে ফোনটিধরালো । মাহামুদ ফোন ধরেই নীলাকে যা খুশি তাই বললো ।
নীল ফোন কেঁটে দেওয়ার আগে মাহামুদকে জিজ্ঞাসা করলো মেয়েটি কে ?
নীলার একথার জবাবে মাহামুদ বললো মেয়েটি আমার শ্ত্রী বলেই মাহামুদ ফোন কেঁটে দিল ।
এর পরই নীলা ঘরের দড়জা আটকিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে লটকিয়ে পড়লো । নীলার ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসলো আরেক অমৃত জীবিত একটি নীলা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.