নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি জীবন্ত বাস্তব গল্পঃ একটি মৃত্যুই তার শ্রেষ্ঠ পুরুষ্কার

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪


জীবণের এমন একটি সময় আছে যেখানে এসে থামতে না চাইলেও থামতে হয় । তেমনি একটি সময় এসে কেড়ে নিয়ে গেল
চৌধুরী সাহেবকে ।
কি অপরাধ ছিল চৌধুরী সাহেবের ?
কি দোষ ছিল চৌধুরী সাহেবের জীবনে চলার পথে?
কেন মহান সৃষ্টিকর্তা চৌধুরী সাহেবকে এরকম একটি সময়
থামিয়ে দিলেন ?

এখন চৌধুরী সাহেবের সামনে অনেক কাজ বাকী আছে ।
চৌধুরী সাহেবের বয়স যখন চল্লিশ দিন ঠিক সেদিন তার মা পৃথিবী থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে অন্য পৃথিবীতে চলে যান ।
মা চলে যাওয়ার সময় তাকে তার চাচা ও বিদ্ধ দাদির হাতে তুলে দিয়ে যান ।

চৌধুরী সাহেবের মা মারা যাওয়ার কিছুদিন পরে তার বাবা দৃত্বিয় বিবাহ করেন । আর সে কারনে চৌধুরী সাহেবের চাচা ও দাদি কুলে পিঠে করে আট দশ বছর বয়স পযন্ত তাকে পালন লালন করেন ।

ঘরে সত মায়ের যন্ত্রনায় চৌধুরী সাহেব ঘরে থাকতে পারলেন না । বাধ্য হয়ে তাকে ঘরের বাহিরে নিজের পেটের দায়ে বের হতে হলো ।
চাচার ইনকাম তেমন হতো না ।যা হতো তাদিয়ে চৌধুরী সাহেবকে ও তার দাদিকে নিয়ে সংসার চালাতে শুরু করেন ।
মা অকালে মরায় বাবার দৃত্বিয় বিয়ে এবং চাচার রোজকার কম দাদা বেঁচে না থাকার কারনে তার তেমন লেখা পড়া করা হলো না ।
ক্লাস ফাইভ পযন্ত লেখা পড়া করে তিনি কাজের সন্ধানে ঘরের বাহির হলেন ।

প্রথমত তিনি রাজমিস্ত্রীরির হেলপার পরে মিস্ত্রীরি হলেন । এভাবে দিন চালাতে থাকেন চৌদুরী সাহেব । চলতে চলতে একটা সময় এসে চৌধুরী সাহেবের সামনে দাড়ায় যখন তাকে বিয়ে করতে হয় ।
বিয়ে করার কয়েক বছর পরে তার প্রথম মেয়ে হয় । তার মেয়েটি তার ভাগ্যের চাবি হয়ে আছে । যেদিন তার প্রথম মেয়ে সন্তানটি পৃথিবীতে আগমন করেন সেদিনই চৌধুরী সাহেবের ভাগ্যের চাকা গুরে যায় । সে দিন চৌধুরী সাহেব মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহের বাণীতে প্রথম বিল্ডিং কন্ট্রাকসনের বড় একটি কাজ হাতে পান ।

সে কাজটি হ্যন্ডবার করার আগেই তার সততা দেখে সেই কম্পানি তাকে আর একটি কাজ দেন ।

কাজ দুটি শেষ করতে তার কয়েক বছর সময় লাগে দেখতে দেখতে মেয়েকে স্কুলে দেওয়ার সময় হয়েগেল ।
মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন । এর তিনি আরেকটি পুত্র সন্তানের বাবা হলেন । তার সংসারে এখন স্ত্রী এক মেয়ে এক ছেলে ।

সে কাজ দুটি কম্পানিকে হ্যন্ডবার করার পরে কম্পানি খুশি হয়ে চৌধুরী সাহেবকে সবসময়ের জন্য তার কাছে রেখে দিলেন ।
এবং তখন থেকে ঐ কম্পানির যত কাজছিল সকল কাজ চৌধুরী সাহেবকে বুঝিয়ে দিলেন ।

চৌধুরী সাহেবের মেয়ের বয়স যখন ৯ বছর এবং ছেলের বয়স ৭ বছর তখন তাদের ছোট ছেলেটি জম্ম নিল । বেশ ভাল চলতেছিল তাদের এই চার জনের সংসার ।

ইতিমধ্যে চোধুরী সাহেবের হাতে বেশ কিছু টাকাহলো তাই এবার সে টঙ্গিতে একটি বাড়ি কিনল । কিন্তু সে বাড়িতে বেশিদিন তাদের থাকা হলো না । সে গুলশান বাড্ডায় আর একটি ফ্লাট কিনল এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে সে ফ্লাটে উঠলো ।

ভাল চলতে চলতে কি হলো তার স্ত্রী কে জানে ?
কখন দেখা গেছে চৌধুরী সাহেবে একজন আত্মীয় তার বাসায় বেড়াতে গেছে তাকে চৌধুরীর বউর কাছ থেকে অপমান হয়ে আসতে হয়েছে । এ বিষয়গুলো চৌধুরী সাহেব বললে উনি বলতেন মনে হয় বউটার মাথায় সমস্যা হয়েছে । যাক এই কথা ভেবে আত্মীয়স্বজন কখন তাদের ওপরে মন খারাপ করতেন না ।

কিন্তু চৌধুরী সাহেবের শশুড়বাড়ির কোন লোকজন আসলে তখন কিন্তু দিব্যি তার স্ত্রী তাদের সাথে ভাল আচরণ করতেন ।
এভাবে কয়েক বছর পার করলেন চৌধুরী সাহেব । এখন তার বউর এমন অবস্থা ঘরে টিভি আনলে ভেঙে ফেলে । ঘরে বড় মাছ আনলে তা বাহিরে নিয়ে ফেলে দেয় ।

আগে স্বামীর আত্মীয় স্বজন দেখতে পারতো না তার পরে আস্তে আস্তে নিজের সন্তানদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করলো ।

এভাবে বেশ কিছু দিন চলতে চলতে এবার পহেলা বৈশাখের দিন সব কিছু তছনছ হয় গেল ।চিন্তা ভাবনা করতে করতে চৌধুরী সাহেব চিন্তার ঘুম দিলেন যে ঘুম আর কখন তার ভাঙবে না ।
আর কোন চিন্তা ভাবনা এসে তাকে জাগাবে না । শুধু মাত্র তার স্ত্রীর অন্যায় অত্যাচের কারনে চৌধুরীর মত একজন ভাল মানুষ হতাৎ করে বেড়েন্ড স্টক করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে যেতে হলো ।



উৎসর্গঃ আমার শ্রধেয় বড় ভাই বাবুল চৌধুরী ।
তিনি ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ
রোজ মঙ্গল বার সকাল ৭টায় এ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে গেছেন ।
আমার ভাইটির আত্মার মাগফেরাতের জন্য সকলে দোআ করবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.