নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথে যেতে যেতে কাঞ্চনমালা লোকটির কাছে সব খুলে বললো। লোকটা কাঞ্চনমালার সব শুনে বললো আচ্ছা সব ঠিক হয়ে যাবে । সকলে রাজপ্রাসাদে গিয়ে নতুন রানিকে বললেন রানি মা রানি মা আজ আজ পিট কুড়িলর কুড়লির আর এই দিনে পিঠা বিলাতে হয় ।
আমি লালসূতা নীল সূতা দিয়া রাঙাইয়া দেই আপনি যেয়ে আঙিনায় আলপনায় দিয়া পিড়ি সাজাইয়া দেন ।ও দাসি মানুষদের আপনি যোগাড় করে দেন। রানী আললাদের সুরে বললেন তুমি কোথায় কাঞ্চনমালা আজ পিঠা বানাও ।তখন কাকনমালা আর কাঞ্চনমালা দুজনে মিলে পিঠে তৈরি করতে বসলেন ।
কাঞ্চনমালা অনেক ধরনের পিঠা তৈরি করলেন আঙিনায় অনেক ধরনের আলপনা আকিলেন । আর কাকনমালা তেমন কিছু করতে পারলেন না ।তখন সকলে মিলে কাকনমালাকে বললো চাকরানী চাকরানী থাকে আর রানী রানীই থাকে দেখ আমাদের রানী মা কত ধরনের আলপনা করছে কত রকমের পিঠা বানাইছে আর তুই সে তুলনায় কিছুই করতে পারিছ নাই । তোরে রানী হাতের বালা দিয়ে কিনেছে আর তুই রানী সেঁজে বসে আসিছ । ভালো চাইলে রাজমহল ছেড়ে পালিয়ে যা । কাকনমালা এইসব কথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে তখন কাকান মালা জল্লাদকে ডাকদিয়ে বলে এদের সকলের মাথা কেঁটে ফেলা হোক তখন ঐ লোকটি মন্ত্র পড়িয়া সূতা দিলেন ছাড়িয়া সূতা গিয়া জল্লাদের পুরো শরীর পেচিয়ে ফেলে ।
কাঁকনমালা তা দেখে ব্যস্ত হয়ে যায় আর লোকদের ডাক দিয়া কয় কাঞ্চনমালা পাগল আনছে এই পাগলে সকলকে মেরে ফেলবে সকলে মিলে ওরে আটকাও আর রাজমহলের
দরজা বন্ধ করে দেও । লোকটি আবার কিছু সূতা মন্ত্র পড়িয়া ছেড়ে দিলেন সূতা গুলো বল হয়ে এবার কাকনমালার নাকে বসিল । তাই দেখে কাকন মালা ছটফট করিতে লাগলো ।
লোকটি রাজাকে সুস্থ করে তুলে । রাজা সুস্থ হয়ে চোখ খুলে প্রথমে দেখতে পেলো তার রাখাল বন্ধু তার পাশে দাড়িয়ে আছে রাজা ওঠে দাড়ালো এবং তার রাখাল বন্ধুর সাথে কোলাকুলি করলো । সে কি রাজা আর রাখালের কান্না দুই বন্ধু দুই বন্ধুর গলা ধরে ।
রাজা রাখালকে বললেন বন্ধু আমার ভুল হয়েগেছে তুমি আমায় ভুলবুঝ না তুমি আমায় ক্ষমা কর । তোমার মত ভাল একজন বন্ধু শতজনমেও আমি খুজে পাবো না ।
আজ হইতে তুমি আর রাখাল নও তুমি আমার মন্ত্রী । একবার তোমায় ছেড়ে দিয়ে অনেক কষ্ট পাইছি তোমায় আর ছাড়তে চাইনা । রাখাল বললো আচ্ছা ঠিক আছে বন্ধু আমিও তোমাকে ছেড়ে আর কোন দিন যাবো না ।
রাখাল রাজা আর বললেন বন্ধু তোমার সেই বাঁশিটি হারিয়ে ফেলেছি আমাকে আরেকটি বাঁশি দিতে হবে । রাজা রাখাল বন্ধুকে সোঁনার বাঁশি বানিয়ে দিলেন । এই দিকে কাকনমালা ছটফট করিতে করিতে মরিলেন । কাঞ্চনমালার দুঃখ গেলো ।
এখন রাখাল সারাদিন তার মন্ত্রীত কাজ করেন আর রাতে রাখাল আর রাজা দুজনে মিলে চাঁদের নিচে বসে মনের সুখে বাঁশি বাজায় আর শুনে ।
©somewhere in net ltd.