নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোবাইল ফোনে +টেলিফোনে বিয়ে =পর্ব এক
রিফাত ভাইয়ার সাথে কথা শেষে মা চলে গেলেন রান্না ঘরে ।
রিফাত ভাইয়া আস্তে আস্তে সব গুছিয়ে রেডি হয়ে গেলেন । মা রিফাত ভাইয়াকে রাতে ট্রেনে বসে ডিনার করার জন্য যে সব খাবারের দরকার তা রেডী করে দিলেন । মা বিকেলে রিফাত ভাইয়া গ্রামের বাড়ী যাওয়ার শেষ মুহুতে রিফাত ভাইয়াকে চা টেবিলে চা ও নাষ্টা দিলেন আর বললেন হ্যরে রিফাত সত্যই কি তুই মোশারফের জন্য ভিসার ব্যবস্তা করেছিছ রিফাত ভাইয়া মাকে বললেন হ্য খালামনি আমি সত্যিই মোশারফের জন্য ভিসার ব্যবস্তা করেছি কেননা খালামনি আমি চাই রিফাত শক্ত ভাবে নিজের পায়ে দাড়াক । কারন খালামনি ছেলে হিসেবে এখন কার আর আট দশটি ছেলেদের তুলনায় মোশারফ একটু অন্য রকম আর আমার বিশ্বাশ আছে পরিপূন্য ভাবে রিফাতের উপরে তার দাড়াতে আসা করি বেশি সময় লাগবে না তোমাদের কথা ও চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী যদি মোশারফকে তোমরা পাঁচ বছর পরে বিয়ে দেও তাতে খালামনি পাঁচ বছর কিন্তু মোশারফের জন্য বিরাত একটা সময় । আর এ সময়ের মধ্যে আসাকরি মোশারফ সব গুছিয়ে নিতে পারবে । এবং খালামনি আমিও চাই মোশারফ বিয়ের আগেই একবার বিদেশ ভ্রমন করে আসুক । তাহলে খালামনি আজকের মত আমি বিদায় আমার গাড়ির সময় হয়ে গেছে । বলে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন রিফাত ভাইয়া ।
রিফাত ভাই রাত এগারটার ট্রেনের টিকেট কাটলেন । রিফাত ভাই টিকেট কেটে মোশারফকে ফোন দিলেন বললেন আমি ট্রেনে উঠেছি মোশারফ ঠিক সাত দিনের ভিতরে ঢাকায় আসবো ।
আর হ্যা মোশারফ এর মধ্যে তোর যা যা কেনার দরকার মনে করিছ তা তা কিনে ফেল ।
ঠিক সাত দিন পরে আসল রিফাত ভাই এসে মোশারফকে বলতেছে মোশারফ তোর ভিসা এসে পরেছে আগামী বিশ তারিখে তোর ফ্লাইট তুই রেডী ত না হ্যা রিফাত ভাইয়া আমি রেডী ।
ঐ দিন ছিল চোদ্দ তারিখ তাই হাতে সময় ছিল ছয় দিন ।
মোশারফ আর রিফাত ভাইয়া ঠিক উন্নিশ তারিখ পযন্ত মন ভরে
এদিক সে দিক মন যেখানে খুশি সেখানে গেছেন আর আড্ডা মেরেছেন ।
ঠিক বিশ তারিখে বিকেলে মা,বাবা,মোশারফ,এবং রিফাত ভাই
চার জন মিলে এয়ারপোট চলে গেলেন ।
মা ও বাবা রিফাতকে বুকে নিয়ে অনেক খন কান্না করলেন মনে দুংখ বা কষ্ট লাগছিল তাদের কান্না দেখে । দুই এক ফোটা চোখের পানি পরেছিল আমার ।
যাই হোক মোশারফ সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন পেলেনে ওঠার আগে একটি রুম আছে পেলেনে উঠার আগে সেই রুমে অনেকক্ষন বসে থাকতে হয় । সেই রুমে চলে গেলেন মোশারফ ।মা,বাবার মন তা কি আর মানে ছেলে বিদেশের বাড়িতে যাচ্ছে আবার সেই কবে নাগাত দেখা পাবো নাকী আর দেখা নাই হয় নানান ধরনের কথা ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল ।
মা জিজ্ঞাসা করলেন রিফাত ভাইয়াকে হ্যা রে রিফাত আমরা কি কিছুক্ষন মোশারফের কাছে বসতে পারি না । হ্যা খালামনী বসা যাবে তবে ঐ রুমে ভিতরে এখন যদি আমরা যাই তাহলে যে আমাদের টাকা দিতে হবে ওদেরকে মা বলছেন রিফাত ভাইয়াকে তা কত দিতে হবেরে বাবা এইত আমরা তিনজন মনে হয় দুই হাজার করে ছয় হাজারের মত লাগবে ।
আচ্ছা নে ছয় হাজার টাকা দিচ্ছি তুই আমাদের সবাইকে ভিতরে যাওয়ার ব্যবস্তা কর ঠিক আছে খালামনি আমি ব্যবস্তা করতেছি ।
রিফাত ভাই মার কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে গেলেন মা,বাবা,রিফাতভাই তিনজনের ভিতরে যাওয়ার ব্যবস্তা করলেন এবং ভিতরে প্রবেশ করলেন । সেইদিন সিংঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সতা আসতে একটু দেরী হয়ে ছিল তা প্রায় চার ঘন্টা । চার জন মিলে চার ঘন্টা সময় পার হয়ে গেল কোনদিক দিয়ে কেউ বলতেও পারে না । অবশেষে যা হওয়ার তাই হলো মোশারফ বিদায় নিয়ে চলে গেলেন উরালপংখিতে আর মা,বাবা ও রিফাত ভাই চলে আসলেন বাসায় ।
মা আলাপ করছেন বাবার সাথে মোশারফ বিদেশ গেছে আজ প্রায় তিন বছর হয়ে এল সেইদিন ফোন করে ছিল মোশারফ এর মাঝে নাকী ও আসতে পারে দেশে তা আমি চেয়েছিলাম ছেলের বয়স হয়েছে এবার এলে ওকে বিয়ে দিয়ে ঘরে সুন্দর লাল তুকতুকে দেখে পুতুলের মতো একটি বউ আনবো । বাবা ,,মাকে বলছেন হ্যা তুমি ঠিকই বলেছ এ কথাটা আমার মাথায় আজ কিছু দিন যাবত গুরতেছে তা তোমার বান্ধবী সিমলার একটি মেয়ে ছিল যে ওকেই কিনতু ছোট থেকে আমি আমার মোশারফের বউ হিসেবে ভেবে এসেছি । তুমি কি বল আমার ওকেই পষন্দ ।
বাবা,,মাকে বলছেন তাহলে তুমি মোশারফের সাথে কথা বল ও কি বলে শোন তার পর না হয় আমরা তোমার বান্ধবী সীমলার সাথে কথা বলবো মা বলছেন ঠিক আছে আমি কালকেই মোশারফের সাথে কথা বলব ।
পরদিন সকালে মা মোশারফের সাথে ফোনে কথা বললেন । মোশারফ বল্ল মা তোমাদের পষন্দই আমার পষন্দ তোমরা কথা পাকা করে আমাকে জানিয়ে দিও আর হ্যা মা আমার আসতে আর
এক বছর সময় লাগবে । মোশারফ মাকে আর বল্ল তোমরা কথা ফাইনাল করে আংটি পরিয়ে রেখো আর এতাতে তাদের বিশ্বাশ না আসলে আমাকে জানিয়ে দিও আমি ফোনে বিয়ে করবো । মা বল্ল
ঠিক আছে বাবা আমি আর তোমার বাবা আজকেই ওদের বাড়িতে যাব এবং ফাইনাল কথা বলবো।
মা ,এবং বাবা দুজনে মীলে দুপরে সীমলা আংটিদের বাড়িতে গেলেন এবং তারা কথা পাকা করলেন ।
ফাইনালে মা,এবং বাবা সীমলা আংটিকে বললেন ফোনে বিয়ে হবে ।সীমলা আংটি বললেন ঠিক আছে ভাইসাব আমরা আগামী মাসের
প্রথম শুক্র বারে শুভ কাজের ডেট ফালাই ঠিক আছে সীমলা আমাদের কোন আপত্তী নাই ।
বাবা বললেন তবে সীমলা আমরা কিন্তু বউ উঠিয়ে নিয়ে যাবো এক বছর পরে । ঠিক আছে ভাইসাব তাই হবে । আর সীমলা আরেকটি
কথা আমরা কিন্তু এখন বিয়াই বিয়ান সে কথাটি মনে রেখ । ঠিক আছে ভাইসাব আবার ভাইসাব বিয়াই বল বিয়াই ।
অবশেষে শুভদিন এলো আর শুভদিনে সীমলা আংটির মেয়ের মিস সীমলা সাহেরার সাথে আর বর মোশারফ আহামেদ্দের সাথে মোবাইল+টেলিফোনে বিয়ে হলো ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ এমএম মিন্টু
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
আজীব ০০৭ বলেছেন: আর একটু বড় করা গেল না ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
মামুন ইসলাম বলেছেন: না বড় করা গেলো না
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৯
কালের সময় বলেছেন: বাহা কি সুন্দর একখানা গল্প ।
গল্পে ++++++++++ :> :>
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০০
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কালের সময় ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:১৮
এমএম মিন্টু বলেছেন: দুটি পর্বের শেষ হয়ে গেল গল্পটি । কেন আর একটু বড় করা গেল না ।
ভাল হয়েছে গল্পটি ।