নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তথ্যের মৌমাছি, জ্ঞানের ভিক্ষুক, প্রজ্ঞার সাধক।

মিথমেকার

তথ্যের মৌমাছি, জ্ঞানের ভিক্ষুক, প্রজ্ঞার সাধক।

মিথমেকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শত্রু হরেক রকম হয়..

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৪১



এ দেশের মানুষ;
৫২ তে রক্ত দিয়েছে
৭১ এ রক্ত দিয়েছে
৯০ এ রক্ত দিয়েছে

সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এর স্বপ্নে গঠিত দেশটি ২০২৪ এ ও রক্ত দিল এবং খুনি স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলো।

কিন্তু, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে বারবার এত রক্ত দিতে হবে কেন? ৭১ এ প্রকাশ্যে-প্রধান শত্রু ছিলো পাকিস্তান।
এখন বাংলাদেশের শত্রু কে? কার জন্য ২৪ এ হাজার মানুষের প্রাণ ঝড়লো! কাদের জন্য হাজার হাজার মানুষ আহত হলো! কাদের জন্য শত শত মানুষ অন্ধ হলো, অঙ্গ হারাল! স্বৈরাচার সরকার? কিন্তু সেই খুনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা কে কোন দেশ আশ্রয় দিয়েছে? কোন দেশের প্রকাশ্যে সমর্থনে খুনি স্বৈরাচারী সরকার টিকে ছিলো একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্টের বুকে?

বাংলাদেশ ৭১ এ প্রকাশ্যে শত্রু থেকে স্বাধীনতা পেলেও বন্ধুরূপী শত্রু থেকে এখনও মুক্তি পায়নি। ২৪ এর রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বাংলাদেশ শুধু মাত্র সেই বন্ধুরূপী শত্রুর নিয়োগ কৃত গভর্নর থেকে মুক্তি পেয়েছে।

বাংলাদেশের মানুষকে প্রকৃত শত্রু চিনতে হবে নাহলে; ৭১ এ যেমন পাকিস্তানি বাহিনীকে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করানো হাতছাড়া হয়েছে, হাতছাড়া হয়েছে স্বাধীনতার দলিল এবং ইতিহাস। তেমনি বন্ধুরূপী শত্রুকে বন্ধু ভাবলে সেই বন্ধু, ছলে বলে কৌশলে বাংলাদেশকে নিও-কলোনাইজড একটি রাষ্ট্রে পরিণত করবে। অথবা তাদের আল্টিমেট গোল বাস্তবায়ন করবে।

শুধু শত্রু চিনলে হবে না; শত্রুর দোসর গুলোকেও চিনে রাখতে হবে, এরাই হলো সাইলেন্ট কিলার! এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: আন্দোলনকে দানবিয় রূপ না দিলে এতো লোক নিহত হতো না।গুলি দুদিক থেকেই হয়েছ। গুলির শানে নুযূল বলতে গিয়েই স্বরাষ্ট উপদেষ্টার চাকরি নট।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

মিথমেকার বলেছেন: আন্দোলনকে দানবিয় রূপ না দিলে এতো লোক নিহত হতো না।

আন্দোলনকে দানবীয় রূপ দিয়েছে কে?

গুলি দুদিক থেকেই হয়েছ।

এসব গুজব বেহায়ার মতো ছড়াবেন না। কারা নির্বিচারে নির্মম ভাবে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করেছে মানুষ দেখেছে।

যাদের প্রাণ মেট্রো রেল, বি টিভি এর জন্য কাঁদে তারা কত বড় রক্ত পিপাসু রাক্ষস এদেশের মানুষ তা দেখেছে, দেখছে।

একটু লজ্জা করুন আওয়ামীলীগ করলে কী লজ্জা-শরম মানবিকতা বিসর্জন দিতে হয়? ছিঃ

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১৯

ক্লোন রাফা বলেছেন: আমাদের প্রধান এবং একমাত্র শত্রু আমরা নিজেরাই। আমরা ৭১এ হিমালয়ের মত শীর উঁচু করে নিজেদের লড়াইটা নিজেরা করেছি । এরপর আমরা আর কখনই সেই ইস্পাত দৃরতা নিয়ে একতাবদ্ধ হইনি। স্বাধীনতা শব্দটুকু শুধু উপলব্দি করতে ব্যার্থ হইনি। ব্যার্থ হয়েছি অনুধাবন করতে কত বিশাল ছিলো সেই অর্জন‼️সেই অর্জন’কে তাই ধারন করতে পারিনি সঠিক মর্যাদায়। তাই খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে আমেদের স্বাধীনতা ফিরে গেছিলো পরাধীনতার পুরনো খোলসে। পৃথিবি’তে ২য় কোন দেশ নেই এত রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশে পরাজিত শক্তি’কে সম মর্যাদা দিয়ে বরণ করার‼️সেই পরাজিত শক্তি’কে পাশে নিয়ে দেশ পূনর্গঠন যে কত বড় ভুল তা আজো উপলব্দি করতে কি পারছি আমরা⁉️ আমরা যত বেশি মানবিক হয়েছি তারা তত বেশি চেপে বসেছে আমাদের উপর।কারন তারা তাদের পরাজয়ের গ্লানির জন্য বার বার আঘাত হেনেছে আমাদের স্বাধীনতায়। আজো প্রতিশোধের আগুনে ছারখার করে দিতে ভুমিকা অব্যাহত রেখেছে আমাদের সকল সাফল্যে। চুরান্ত একটা লড়াই এখন অনিবার্য আমার সোনার বাংলার জন্য। হয় তারা থাকবে না’হয় আমরা ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ॥

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

মিথমেকার বলেছেন: আমাদের প্রধান এবং একমাত্র শত্রু আমরা নিজেরাই।

২৪ এ প্রমাণিত হয়েছে আমাদের নিজেদের মধ্যে কোন শত্রু গুলো ঘাপটি মেরে বসেছিল।

৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্ধি থাকার পর দেশের মাটিতে পা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিল শেখ মুজিব। সে মহান মুক্তি যুদ্ধ যুদ্ধ-যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত না হয়েই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। কিছু কিছু প্রতারক, বেঈমান, নরপুশুদের বাঁচিয়ে রাখে এদের বিচার না করে। এই দায় সম্পূর্ণ শেখ মুজিবের। জনগণ যে নরপশুদের ক্ষমা করেনি সে উড়ে এসে ক্ষমা করে দেয়ার কে! পরবর্তীতে রাজাকার-পরাজিত শক্তি শব্দগুলো পুঁজি করেই তার মেয়ে শেখ হাসিনা ১৬ বছরের স্বৈরশাসনে গুম-খুন, দুর্নীতি, লুটপাটের রাজনীতি শুরু করেছিল। ৫৪ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধের কৌশলে জিইয়ে রাখা বিতর্ক তারা কালে কালে তাদের স্বৈরশাসন শক্তিশালী করার জন্য ব্যবহার করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম স্বৈরশাসক ছিল শেখ মুজিব। সে তার সকল সম্মান অর্জন স্বাধীনতার পর তার কর্ম দিয়ে কালিমা লেপন করে গিয়েছে। তার পরিবার তার মেয়েরা ২৪ এ প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশ এর মানুষকে কতটা ঘৃণা করে! তাদের নির্দেশেই নির্বিচারে নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে তাদের পলিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রান্ত একটা লড়াই এখন অনিবার্য আমার সোনার বাংলার জন্য। হয় তারা থাকবে না’হয় আমরা ।

২৪ এর চূড়ান্ত লড়াইয়ে খুনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানা সহ শেখ পরিবারের সকল বদমাইশ ছাত্র-জনতার ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ওদের সকল দুর্নীতি, অপকর্ম এখন মানুষের সামনে আসছে একটার পর একটা।

বাংলাদেশের মানুষ এখন বন্ধুরূপী শত্রু, এবং তাদের দোসরকে চিনে ফেলেছে! এই খুনি-স্বৈরাচারী অপশক্তির আর বাংলাদেশে কোনোদিন স্থান হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.