নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তথ্যের মৌমাছি, জ্ঞানের ভিক্ষুক, প্রজ্ঞার সাধক।

মিথমেকার

তথ্যের মৌমাছি, জ্ঞানের ভিক্ষুক, প্রজ্ঞার সাধক।

মিথমেকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিস হিনিয়াস পলিটিকাল মানিউভার মাইট ব্যাকফায়ার অন বিজেপি: ইণ্ডিয়াস ওমেন সিকিউরিটি ইস্যু

১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:১১



যেকোনো আন্দোলনের জন্যই দরকার এক বা একাধিক ইস্যু। আর সেটি যদি হয় ভারতে নারী ধর্ষণের পর হত্যার ইস্যু, তাহলে গণেশ উল্টানোর জন্য বেশ উপযোগী বইকি!
বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার গণঅভূত্থানে ভারতের ছাত্র সমাজের একটি অংশ সমর্থন করেছিল। বাংলাদেশও তাঁদের এই নৈতিক সমর্থন গ্রহণ করেছিল। কিন্তু কেন্দ্র এবং বিজেপি সেটা কিভাবে নিয়েছিল সেটা সবাই জানে। বাংলাদেশের রক্তে আগুন লাগা ছাত্র-জনতার গণজোয়ার ভারতের রাজনীতিতে যে একটা ব্যপক প্রভাব ফেলেছে সেটা চলমান এবং আসছে সময় গুলো পর্যবেক্ষণ করলে একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আরজি কর হসপিটালে একজন ইন্টার্ন ডক্টর ৯ আগস্ট প্রাণ হারান। প্রথমে পুলিশ এবং হসপিটাল কর্তৃপক্ষ এই অপমৃত্যুকে আত্মহত্যা বললেও পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, নিহত নারীকে মৃত্যুর আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। অনেক সংবাদমাধ্যম বলছে গণধর্ষণ। ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর কলকাতা সহ ভারতের বেশ কয়েকটি বড় শহরের রাস্তায় ব্যপক বিক্ষোভ দেখা যায়। বিক্ষোভকারী জনতা সারারাত রাজপথে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের দাবি একটাই "দে ওয়ান্ট জাস্টিস"।

ভারতে ধর্ষণ খুব বড় কোনো ব্যপার নয়; ২০২২ তথ্য অনুযায়ী সেখানে প্রতিদিন ৯০ জন নারী ধর্ষণের শিকার! পৃথিবীর রেপ ক্যাপিটালও বলা হয় দিল্লিকে। এই ধর্ষণ বিরোধী এবং নারী নিরাপত্তা নিয়ে ভারত আগেও উত্তাল হয়েছে। দিল্লির সেই ২০১২ এর ঘটনায়, ৪জনকে ফাঁসি ও দেয় হয়েছিল।
কিন্তু,বিলকিস বানু ধর্ষণ মামলার কী হলো?

২০০২ সালের গুজরাটের দাঙ্গার সময় বিলকিস বানু কে ১১ জন নরপশু গণধর্ষণ করে শুধুমাত্র ধর্মের নামে। তাদের মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে দেয়া হয় যাবতজীবন কারাদণ্ড। ২০২২ সালে ভারতের মোদি প্রশাসন তাদের মুক্ত করে দেন। এই কারণে আবার জনরোষ দেখাদিলে তাদের আবারও কারাবন্দী করা হয়।

এছাড়াও কাশ্মীরের শিশু আসিফার মর্মান্তিক মৃত্যু পুরো পৃথিবীতেই বিরল ঘটনা। ৮ বছরের আসিফাকে মন্দিরে আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে পাথর দিয়ে তার মাথা পা থেতলে দিয়ে মৃত্যু নিচ্ছিৎ করে তাঁর লাশ জঙ্গলে ফেলে দেয়া হয়। বিজেপির কিছু নরপশু আইনজীবী পুলিশকে বাধা দে কোর্টে চার্জশিট ধাখিলের সময়। ওই নরপশুগুলো আসিফকে নিজের গ্রামে কবরও দিতে দেয়নি।

যে রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে দাঙ্গা বাধিয়ে গণধর্ষণ করিয়ে পরবর্তীতে আবার অপরাধীদের মুক্ত করতে পারে, শিশু গণধর্ষণের মতো অমানবীয় জঘন্য কর্ম করে সেটার ডিফেন্স করতে পারে; তারা যে ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি বা হিনিয়াস পলিটিকাল মানিউভার করবে না এটা প্রেডিক্ট না করা রীতিমত বোকামি।

সম্প্রতি পশিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশে চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্তব্যে বেজায় চটেছিল দিল্লি গোদি প্রশাসন এবং বাংলাদেশের স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার। বাংলাদেশ থেকে হয়তো প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় ভাবে ভারতের কোনো মন্তব্যের প্রতিবাদ করা হয়। বাংলাদেশের চলমান আন্দোলন যখন ভারতের মাথা ব্যথার কারণ হয় তখন দেখা যায় কলকাতার একজন বিজেপি প্রধান কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ এম্বাসিতে যেয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধির সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। এবং সেই প্রচেষ্টাকে মমতা প্রসাশন বাধা প্রদান করেছিল।

মমতা ব্যানার্জির সামনে এখন বেশ বড় চ্যালেঞ্জ হলো, আন্দোলনকারীদের জাস্টিস দেয়া। যেটা খুব একটা সহজ হবে না। কারণ এই ধর্ষণ এবং হত্যা কাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। এদিকে আবার সেই হসপিটালে কিছু দুষ্কৃতীকারী ভাঙচুরও করেছে। সেখানে প্রমাণ নষ্টের শরগোলও শোনা যাচ্ছে। মমতা প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য, আসছে সময় হয়তো স্লোগান উই ওয়ান্ট জাস্টিস থেকে মমতার পদত্যাগও হয়ে যেতে পারে!

পাবলিক সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলার ভালই অভিজ্ঞতা রয়েছে বিজেপির। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা ভারতের এই আন্দোলন কোন দিকে যায়। মমতা কী এই আন্দোলন সামাল দিতে পারবে? পারবে অ্যাকচুয়াল জাস্টিস দিতে? প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে? নাকি গণেশ উল্টে যাওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র! শেষমেশ, বিজেপির হিনিয়াস পলিটিকাল মানিউভার ব্যাকফায়ার করবে নাতো???!

গ্র্যাব সাম পপকনর্স এন্ড অবসার্ভ। এন্ড ডন্ট ফরগেট টু বি উইথ দ্য ট্রুথ এন্ড জাস্ট!

ওয়ান মাস্ট নো; দেয়ার ইস নো এন্ড ইন পলিটিক্স এন্ড গেম অফ থ্রোনস। টু অ্যানলাইস দ্য পলিটিক্স; ওয়ান মাস্ট থিঙ্ক দ্য আনথিংকবল, টু প্রেডিক্ট দ্য আনপ্রেডিকটেবেল।

দ্য ট্রুথ উইল কাম আউট, টুডে অর টুমরো।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

জুন বলেছেন: আরজি কান্ডে এখন যদি মমতা ব্যানার্জি আমাদের দরজায় এসে খটখট করে তবে কি আমরা তাকে ফিরিয়ে দেবো! উনি এই কথা বলায় আমাদের প্রাক্তন আর ভারতের বর্তমান পিএম সে কি গোস্বা! একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এত বড় কথা বল্লো কি করে! কিন্ত কপালের কি ফের সেই তাকেই কি না ভর দুপুরে টেবিলের খানা টেবিলের টেবিলে ফেলেই হেলিকপ্টার এর ঘট ঘট শব্দ তুলে উনাদের দরজায়। কি অবস্থা!!
ধর্ষণের কথা যখন তুল্লেন তখন সেই কাশ্মীরের সাত বছরের মেয়ে আসিফার কথা বললেন না যে! সাত জন নরপশু মিলে যার মাঝে বাবা ছেলে ছেলের বন্ধুও ছিল। আর এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছিল এক মন্দিরের মাঝে। তাদের একটা প্রহসনের বিচার মনে হয় হয়েছিল তবে তেমন শাস্তি হয়েছিল বলে শুনিনি।
আপনার লেখাটি মনে দাগ কেটেছে তাই বিশাল একটা মন্তব্য করলাম।

১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

মিথমেকার বলেছেন: ধর্ষণের কথা যখন তুল্লেন তখন সেই কাশ্মীরের সাত বছরের মেয়ে আসিফার কথা বললেন না যে!

লেখার সময় তৎক্ষণাক মনে আসেনি। বিষয়টি উল্লেখকরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
আসিফার মর্মান্তিক ঘটনাটি উল্লেখ করে দিব।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা বিজেপির দিন ঘনিয়ে আসছে ধীরে ধীরে। তবে সেটা শেখ হাসিনার মত দ্রুত হবে না। আরও কয়েক বছর লাগবে। ভারতেও বিবেকবান মানুষ আছে। সবাই হিন্দু মৌলবাদী না। ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি করে বেশী দিন টিকে থাকা যায় না।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১২

মিথমেকার বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
যদিও ভারতে মার্জিনাল জনতার ভেতর ধর্ম অনেক বড় একটা ফ্যাক্ট। এই সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বিগত দিন সহ বর্তমানে তাদের অপকর্ম করে চলেছে।
একটা আশার বিষয় বাংলাদেশের মানুষ, ভারত-পাকিস্তান এর মানুষের থেকে ধর্ম বিষয়ে বেশ সচেতন। এদেশের মানুষ তাঁদের অধিকার সচেতন। তাঁরা এখন ধর্মের নামে ননসেন্স প্রোপাগান্ডা গ্রহণ করেন না।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:২১

মিথমেকার বলেছেন: প্রেডিকশন বিকামিং রিয়ালিটি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.