নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তথ্যের মৌমাছি, জ্ঞানের ভিক্ষুক, প্রজ্ঞার সাধক।

মিথমেকার

তথ্যের মৌমাছি, জ্ঞানের ভিক্ষুক, প্রজ্ঞার সাধক।

মিথমেকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেঙ্গু মশাদের ইলিগ্যাল রেইজিম

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৫


ছবি: নেট

বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক ভয়াবহ! গোয়েন্দা তদন্তের একটি রিপোর্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।

গত বছর থেকে ডেঙ্গু সেলিমের ব্যাপক ব্যস্ততা, সুন্দর করে যে একটু গুনগুনিয়ে গান করবে সেই ফুরসত টুকু নেই। চারিদিকে তার লক্ষ-কোটি প্রতিনিধি কাজ করছে সবাই মহাব্যস্ত, এই কাজে সেলিম এর প্রতিনিধিরা টাকা পয়সা নিচ্ছে না। নেতা দয়া করে ওপর-লেভেলে কথা বলে দু ফোঁটা রক্তের ব্যবস্থা করেছেন এটা বেশ ভাগ্যের বাপের বইকি!

এজেন্ট রাফিন কে বলছিল ডেঙ্গু নেতা সেলিমের পিএ। সে একটি ফোন আলাপও ফাঁস করে, নাম না প্রকাশ করার শর্তে।

ফোনে পিএ ও ডেঙ্গু নেতা সেলিম।

পিএ: স্যার! হ্যালো স্যার!
সেলিম: হা শুনতে পাচ্ছি, শোন রাইতে আমার জন্য কচি দেখে একটা মানুষের বাচ্চার ব্যবস্থা করে রাখবা, সারাদিন এই বাহিনী সামাল দিতে অবস্থা খারাপ। আমি যতই বোলতাসি যে, এখনো পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যাটারা শুনতাছে না! বলে কিনা বাতিক আর পাপোস সাহেব বলেছেন নাকি বিদেশ থেকে মারাত্মক ঔষধ আনছেন, ছিটিয়ে দিলেই নাকি কেল্লাফতে! আরে, ব্যাটারা বোঝে না কেন? আমরা সরকার দলীয় মশা!

পিএ: ব্যাটারা বলদ! স্যার, রক্ত খাইয়াও নিমকহারামি করে। স্যার আমি আপনার জায়গাতে থাকলে ব্যাটাগো গরুর রক্ত খাওয়াতাম তখন বুঝতো।

সেলিম; হা হা বাদ দাও যা বলছি তাই ব্যবস্থা করে রাখ।

“(২য় ফোন আলাপ)”
( নেতা বাতিক, পাপোস এবং ডেঙ্গু নেতা সেলিম)” কনফারেন্স কলে।

সেলিম: "স্লামলাইকুম স্যার!"
বাতিক: "সারাদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমিতো মারা যাচ্ছি, কিছুদিন পর আমার পদটা না নিয়ে এরা টানাটানি করে!” বলেছিলাম যে কিছুদিন জনমনে আতঙ্ক থাকুক, তাতে করে আমাদের দলীয় ব্যবসায়ীদের কিছু আয় উন্নতি হবে। কিন্তু তোমার বাহিনী যা শুরু করেছে তাতে তো জাতিসংঘ থেকে ডেঙ্গু কে মহামারি ঘোষণা করবে!"

সেলিমঃ “ স্যার টেনশন নিতাছেন কেন, আর কিছুদিন তার পরতো আমরা আন্ডার গ্রাউন্ড হচ্ছি আর কোন টেনশন থাকবে না। ক্ষমতা-পয়সা দুটোই তো আমাদেরই থাকবে!”

পাপোস: “না না এত লোক মরলে তো বিপদ! তোমারে বলছিলাম হসপিটালে পাঠাও, তুমি মিয়া যে তাওরাস শুরু করছ। আমর ওপর প্রচুর চাপ আসতেছে।
সেলিম: "স্যার, আমরা তো মশা, মানুষ না। ঝোপ বুঝে কোপ মারা আমরা অত ভালো পারি না। আপনি বলছিলেন কিছুদিন সমানে জনমনে আতঙ্ক ছড়াতে তাই তো করলাম। এখন কামড় খেয়ে কে মরল, কে বাঁচল এডা তোহ আমাদের হাতে নাই।"

পাপোস: "ধুর! তোমারে দিয়ে কাজ হয় না। কামরায় কিছুদিন হসপিটালে পাঠাবাকী, তুমি ডেঙ্গু মহামারি লাগায় দিছো!"

সেলিম: "স্যার, মানুষ আর আগের মতো নাই স্যার! ভেজাল, বাঁশি পচা খাইতে খাইতে পার্টস পাতি সব গেসে গা, কামরাইলেই কাইত্। আগে তাও কামড় খাইয়া বাঁচত, ডাব-ট্যাব খাইয়া শরীর চাঙ্গা করত। এখন তো স্যার ডাব-স্যালাইন খাইলেও কাজ হয় না।"

বাতিক: "শোন, মার্কেট থেকে যা উঠানোর তা উঠে গেছে, তুমি এখন আন্ডারগ্রাউন্ড যাও। এত মানুষ মরলে দল বিপদে পড়বে ত।"
সেলিম: “শোনেন স্যার, আমর বিশাল বাহিনী চালাতে অনেক রক্ত লাগে,আমার লোকেরা সারা বছর না খেয়ে থাকে। ওই বেয়াদব হাইব্রিড মশাদের উৎপাতে এক ফোঁটা রক্তও পায় না আমার লোকেরা। ব্যবসায়ী যারা আছেন তারা তো নিজের পটোলা ভরছে। আমরা দুই ফোঁটা রক্ত খাই তাতেই আপনেগো গায় জ্বালা ওঠে! আবার শুনতেসি ডেঙ্গুর টিকা বানাচ্ছেন, ঐহানে কয় হাজার কোটি ঘাপলা হইছে তা আমরা জানি।"

পাপোস: "বেশি গুন-গুন করে না, গত বছর তো কম খাইল না রক্ত। এখন দলের টানাপড়েন চলতেসে, কে কখন পাল্টি মারে বলা যায়না। অনেকে নাকি ক্যারেবিও কোন কোন দেশ এর নাগরিক হয়ে গেছে! এরা দেশ দিয়ে ভাগলে বিপদ।"
সেলিম: "স্যার, আপনারা তো নিজেগো পটলা ভালোই ভরসেন, টাইম পাইলেই ভাগবেন। আমরা মশারা তো আজেক হোক কাল হোক মরবই, যা দুই ফোঁটা রক্ত খাইতাসি মার্কেট দিয়া এতেও যদি সানক্শন দেন! বেশি মরে নাই ১৭০৫ জন মাত্র, তাতেই আমগো খাওন বন্ধ করতাসেন!"

বাতিক: "আরে, শোনো শোনো, রাগ করলে কী হবে! দলের এই সময় সবাইকে রয়েসয়ে খেতে হবে। এই টার্মে দল টিকে গেলে তো ১৮ কোটির রক্ত সবই আমাদের, ইচ্ছা মতো খাব।"

(২য় ফোন আলাপ শেষ)


২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১৭০৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২১,১৭৯ জন। ২০২৪ সালে ১৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১১২১ জন।*
বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জীবনের দাম দেশের মুদ্রার মতোই কমছে। মানুষ মরছে, মরুক! বিশ্ব রেকর্ড হচ্ছে হোক! কারোর কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।

*তথ্য সূত্র: দা ডেইলি ষ্টার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.