নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
View this link মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাকাণ্ডে সুজাসহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতা জড়িত
---------------আদালতে রুমী
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও খুলনা মহানগরীর সাবেক সভাপতি এডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম হত্যা রহস্য নতুন মোড় নিয়েছে। লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খোদ আওয়ামী লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক সাবেক হুইপ মোস্তফা রশিদী সুজা ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিজানুর রহমান মিজানসহ প্রভাবশালী পাঁচ নেতা জড়িত রয়েছে বলে নিহতের পুত্র আবদুল্লাহ হারুন রুমী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া, নিহতের পুত্র আদালতে সাক্ষী হিসেবে আট শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার নামও প্রকাশ করেছেন। আদালত আগামী ২রা মার্চ সাক্ষীদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে খুলনা মহানগরী আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। নিহতের বড় পুত্র আবদুল্লাহ হারুন রুমী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ সময় তিনি আদালতে বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে একদিন রাতে ভাত খাওয়ার সময় আমার বাবা বলেছিল যে, আমি বোধ হয় বেশিদিন বাঁচবো না। দলীয় লোকজন আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে না। আমি কিছু নাম বললে আমার বাবা বলে আওয়ামী লীগের সুজা ও তার ভাই দোজা, মিজান ছাড়া আর কে মারবে। বাবা নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পরে জানতে পারি যে, আওয়ামী লীগ নেতা মিজান জড়িত। পরে আমি মিজান ভাইকে বলি যে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে। সে আমার কথায় কোন সদুত্তর দেয়নি। ঘটনার সময় খুলনার সাবেক মেয়র কাজী আমিনুল হক দেশে ছিল না, আমরা তাকেও সন্দেহ করতাম। সে একদিন আমাদের ডেকে পাশে বসিয়ে মিজান সাহেবকে ফোনে বলে ‘তোমরা মঞ্জুভাইকে হত্যা করিয়ে লোকগুলোকে টাকা দিলে না কেন’। তখন আওয়ামী লীগ নেতা মিজান বলে মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা দেশে নেই। আসলে টাকা দিয়ে দেয়া হবে। রুমী আদালতে বলেন, আমি মিজান সাহেবের গলার স্বর পরিষ্কার শুনতে পেয়েছি। পরে আবার তার মোবাইলে ফোন করে নিশ্চিত হয়েছি যে, আমিন সাহেব ঠিকই মিজানকে ফোন করেছিলেন। এছাড়া, নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার ইমাম হাসান চৌধুরী ময়নাকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করতাম। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বের করে দেয়ার কারণে সে বাবার উপরে ক্ষিপ্ত ছিল। রুমী আদালতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুজ্জামান টুকু, সদর থানা সভাপতি ও ওয়ার্ড কমিশনার আজমল আহমেদ তপন, সোনাডাঙ্গা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিক লীগ সভাপতি আলাউদ্দীন আল আজাদ মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি বীরেন ঘোষ, ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল মুন্সীর নাম উল্লেখ করে বলেন, এদের জিজ্ঞাসা করলে সাবেক হুইপ সুজা, তার ভাই দোজা এবং নগর আওয়ামী লীগ সম্পাদক আলহাজ মিজান এবং কমিশনার ময়নার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে। এদের সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বার বার বলা সত্ত্বেও তারা উল্লিখিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নি। অপরদিকে তিনি উল্লেখ করেন আসামি গণেশ ও রিপনকে আমি চিনি। তাদেরকে আমরা এই হত্যার জন্য সন্দেহ করিনি। আওয়ামী লীগ নেতা সুজা ও আমিন দুদক তালিকাভুক্ত হওয়ায় পলাতক রয়েছে। ওদিকে খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম শিকদার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঞ্জুরুল ইমাম পুত্র রুমীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী আওয়ামী লীগের আট শীর্ষ নেতাকে সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করে আগামী ২রা মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২৫শে আগস্ট সকালে এডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম রিকশাযোগে আদালতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় নিহত হন। এ ঘটনার পরদিন নিহতের পুত্র আবদুল্লাহ আল মামুন জামি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত আদালত ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭
রাতমজুর বলেছেন: ঘটনা সত্য। আমি ওই পরিবার এর সাথে জড়িত একজন। রুমি সাহেব এর কথা ১০০% সত্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:১৪
রাতুল" বলেছেন: ভাল