নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৫ই আগস্টের দিনটি একটি যুগান্তকারী মোড় এনে দিয়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। দেশ যখন বিপদের মুখে পড়ে, তখন মানুষের প্রতিবাদ ও বিদ্রোহের মাধ্যমে নিজেদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো স্বাভাবিক। দেশের জনগণ স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, এবং শেখ হাসিনার মত একজন শক্তিশালী নেত্রীকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের মধ্য দিয়ে তারা বিজয় লাভ করে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রাজনৈতিক নাটক দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। দেশের জনগণ যখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছে, তখন ছাত্রজনতা দেশের প্রতিটি বিষয়েই নিজেদের নাক গলাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রজনতার আন্দোলন নতুন নয়, তবে সম্প্রতি তাদের তৎপরতা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ইস্যুতে তারা নিজেদের মতামত প্রকাশ করছে এবং নানা দাবিতে রাস্তায় নেমে আসছে।
বিশেষ করে, শিক্ষাখাতে ছাত্রদের কিছু দাবি নিয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক চলছে। যে সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে থাকার কথা, সেই সময়ে তারা রাস্তায় নেমে অটো পাসের জন্য আন্দোলন করেছে। পরীক্ষার নিয়ম পরিবর্তন করে অটো পাসের দাবির বিষয়টি শিক্ষার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যার জন্য একসময় দেশকে মাসুল গুনতে হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের ভিবিন্ন অন্যায় দাবিও অনেকাংশেই মেনে নেয়। সরকারের এই সমঝোতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রজনতার ভূমিকা শুধুমাত্র আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের কব্জায় নিতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের হস্তক্ষেপ দিন দিন বেড়ে চলেছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠান অন্যায়ভাবে দখল করার অভিযোগও রয়েছে। এ ধরনের কার্যকলাপ দেশের সুশাসন ও স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করছে। অনেকেই মনে করছেন, ছাত্রজনতার এই অতিরিক্ত তৎপরতা বাংলাদেশকে একটি ‘মগের মুল্লুক’-এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কোনো আইন বা শৃঙ্খলা মানার বাধ্যবাধকতা নেই।
বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর সাধারণ মানুষের আশা ছিল একটি স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ যেন নতুন করে অস্থিতিশীলতা এবং বিভাজনের পথে হাঁটছে। আন্দোলনকারীদের দাবি ও কার্যক্রমের পরিণতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বাঁধা সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছাত্রজনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অতীতে বিভিন্ন আন্দোলন এবং বিপ্লবে ছাত্রদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের কর্মকাণ্ড এবং দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেসব ইস্যু নিয়ে তারা রাস্তায় আন্দোলন করছে, তা অনেকের দৃষ্টিতে যথাযথ নয়। কিছু অযৌক্তিক দাবি নিয়ে তাদের আন্দোলন দেশকে আরও অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রমকে সঠিক পথে পরিচালিত করা। একদিকে আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সহানুভূতি দেখানো প্রয়োজন, অন্যদিকে তাদের কার্যকলাপ যেন দেশের স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলাকে ব্যাহত না করে, সেদিকেও নজর দিতে হবে।
দেশের জনগণেরও এই পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সংকটময় পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সব পক্ষেরই সমঝোতা এবং সহযোগিতা করা প্রয়োজন। সংকটময় সময়ে উত্তেজিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া বা অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করা দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বাংলাদেশ বর্তমানে একটি জটিল রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর জনগণের যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, তা যেন নতুনভাবে হতাশার দিকে মোড় নিচ্ছে। ছাত্রজনতার আন্দোলন এবং সরকারের নীতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দেশের স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি। এই মুহূর্তে আমাদের দেশের প্রয়োজন একাত্মতা, স্থিতিশীলতা এবং সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। এ ধরনের সংকট মোকাবেলায় সকলেরই দায়িত্বশীল এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, যাতে দেশ পুনরায় একটি সুস্থ এবং স্থিতিশীল সমাজের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:৫৯
আমিই সাইফুল বলেছেন: নাম বললে চাকরি থাকবেনা
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫২
আহরণ বলেছেন: এখন শোনাযাচ্ছে ছাত্ররা পড়া-লেখা (যদিও অটোপাশ) বাদ দিয়ে ট্রফিক/জানজোট নিয়ন্ত্রনে আবার নাকি রাস্তায় নামবে। কারণ, ছাত্ররা জেনে গেছে, " শুধুমাত্র ঢাকা শহরে প্রতি দিন যানবাহনে ১০০ কোটি টাকার রমরমা চাঁদা বানিজ্য হয়"। লোভ কার নেই?টোকাই ছাত্ররা এই সুযোগে আখের গুছিয়ে নেবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৩:০০
আমিই সাইফুল বলেছেন: ভাই, এদের বাপ মা কারা???
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: চলিতেছে সার্কাস।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৩:০০
আমিই সাইফুল বলেছেন: চলতে দিন!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরা ছাত্র কিনা সন্দেহ আছে। তাদের উদ্দেশ্য সাধারণ ছাত্রদের ব্রেইন ওয়াশ করা। আন্দোলনে আমি নিজেই ছিলাম।ছাত্র-জনতার একজন অংশীদার হয়ে। কয়েকটি স্কুল কলেজে এরা তাদের প্রচারণা চালিয়েছে। তাদের স্কুল কলেজে কি কাজ?