নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Name: Garuda Gamana Vrishabha Vahana
Country: Kannada(Indian)
Gen: Thriller
Personal Recommendations: Must Watchable.
IMDB: 8.7/10
Personal: 9/10
কেজিএফ এমন একটা ক্যারেক্টার যার কোনো পরিচয়ের প্রয়োজন নাই। এটি ভিন্ন ধরনের এক সিনেমা আপনাকে বাস্তবতা ভুলে একটি কল্পনার জগতকে বাস্তবে পরিণত করতে বাধ্য করে। এখন সুখবর হল যে, একই কান্নাডা মুভি ইন্ডাস্ট্রি থেকে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমরা সাধারনত সিনেমাকে কয়টা ভাগে ভাগ করি? আমার মতে, এক হল সুন্দর মুভি, এই মুভিগুলা আমাদের হৃদয়কে নাড়া দিতে পারলেও মস্তিষ্ক না, তারপর আসে, সেই শ্রেণির মুভি যেখানে হৃদয়কে ছুটিতে পাঠিয়ে মস্তিষ্ককে নাড়া দেয়। কিন্তু এই মন আর মস্তিষ্ককে নাড়া দিতে পারে এমন মুভি খুব কমই আছে। এগুলাকেই আমরা সাধারনত মাস্টারপিস বলে থাকি।
প্রথমে, মুভির নামের অর্থটি বুঝুন, নামটার সরাসরি সংযোগ মাইথলজি কাহিনীর সাথে। শুরু হওয়া দুটি শব্দ, গরুড় গামনা বিষ্ণুর জন্য ব্যবহৃত হয়, যাকে বলা হয় রক্ষক। উনি ভাল এবং খারাপ এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। নামের ২য় অংশ বিষ্ণুকে রিপ্রেজেন্ট করে। বিষ্ণু হলো মুভির শিবা যার রাগ এতটাই বিপজ্জনক যে এটি সারা বিশ্বকে শেষ করে দিতে পারে, তাই তাকে ধ্বংশও বলা হয়। গল্পটি একটা অপরাধ গ্রাউন্ডকে ঘিরে, যা 2 জনকে নিয়ে শুরু হয়েছিল, একজন হরি এবং অন্য শিবা যারা ছোটবেলার বন্ধু। যারা এখন ম্যাঙ্গালুরু শহর শাসন করে।
আচ্ছা অপরাধ বন্ধ করা কাদের কাজ?, পুলিশের তাইনা? কিন্তু এই শহরে পুলিশের সম্মান ডাবল জিরো। বরং পুলিশ নিজের জীবন বাচানোর ধান্দায় থাকে।হারিশের গল্প খুবই সিম্পল, একটি ছোট শহরে বড় স্বপ্ন নিয়ে একটি ছোট ছেলে থাকে যে অপরাধের জগতে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার হয়ে যায়।
কিন্তু অন্যজন, শিব ভূতের মতো, কোথা থেকে কিভাবে আসছে কেউ জানেনা। তার অভ্যাস হলো যাকেই খুন করে তার জুতা-চপ্পল পরে নিজে বাড়ি ফিরে যায়, তার কাছে এটা খেলার পর ট্রফি জেতার মতো। এখন মাইথলজিতেত তিনজন আছেন, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ, তাদের দুজনকে এখানে পাওয়া গেছে কিন্তু তৃতীয়জন ব্রহ্মা তার এন্ট্রি একটু দেরীতে কিন্তু সে পুরো শহরের চিত্রটাই পাল্টে দিছে, এই ব্রহ্মা হলো শহরের নতুন ইন্সপেক্টর যে কিনা এই এলাকায় আসতে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু তাকে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কাছে মাথা নত করতে হয়েছিল।
এখন হরি শিবের সাথে ঝামেলা করাটা তার জন্য ডু অর ডাই এর মত হয়ে গেছে। গ্যাং বাচলে সে মরবে সাথে তার পরিবার বাই ওয়ান গেট ওয়ানের মত মরবে। কিন্তু বাঁচতে চাইলে হরি আর শিবের নামই মুছে দিতে হবে ব্যাঙ্গালোরের ইতিহাস থেকে। তাও আবার এমন একটা সিচুয়েশনে যখন শহরের সব পুলিশ তাদের ভয়ে থর থর করে কাপে। আচ্ছা বলুনত, আজ পর্যন্ত ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশের অনেক গল্প শুনেছেন, একজন বিশ্ব তৈরি করে, আরেকজন বাঁচাইয়, ৩ নাম্বার জন সময় হলে সব ধ্বংস করে দেয়। তো এই তিনজন যদি নিজেরাই নিজেদের মারামারি লাগে তাহলে কে হারবে কে জিতবে? এই প্রশ্নটা কখনো আপনার মাথায় আসছে? আসেনি তাইনা।
অনেকটা বাংলাদেশের পলিটিক্সের মত একদল সরকারে, আরেকদল বিরোধিদলে আর আরেকজন হচ্ছে তত্বাবধায়ক সরকার। যদিও বাংলাদেশের পলিটিক্স থেকে বিরোধীদল আর তত্বাবধায়ক সরাই দিছে কিন্তু ভাবেনত যদি আসলেই এই তিনের মধ্যে বেচে থাকার লড়াই লাগে তাহলে কে জিতবে? আমি উপরে বলছি যে এই ছবি পুরাই অন্য লেভেলের ছবি। কে জিতবে ,কে হারবে সেটা দেখতে হবে মুভিটা। এটা সাধারন কোন মারামারির মুভি না। দেখতে হলে দিলের বাত্তি জ্বালাইয়া, মস্তিষ্কের সব জানালা খুলে দিয়ে দেখতে বসে যান। কথা দিচ্ছি নিরাশ হবেননা।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: কেজিএফ টু আসবে আগামী মে মাসে।
পুষ্পা মুভিটা নিশ্চয়ই দেখেছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৪
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: Link ইয়া কুচ নেহি বাতায়া কিছলিয়ে?