নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন নিউজিল্যান্ডে যাই মাত্র ১৩শ ডলার ক্যাশ নিয়ে গিয়েছিলাম এই গল্প আগেই বলেছি। আজকে আমি জানাবো আমি কিভাবে আমার পড়াশোনার খরচ জোগাড় করেছি। নিউজিল্যান্ড গিয়ে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করে আমি সপ্তাহে পেতাম ২৮০ ডলার(ট্যাক্স কাটার পর)। কিন্তু এই টাকাটা আমার জন্য এনাফ ছিলো না অনেস্টলি। কারন আমি বাসা ভাড়া দিতাম ১৫০ ডলার, খাওয়া দাওয়া আরো ৫০ ডলার যেতো। ৮০/১০০ ডলার সেভ হতো সপ্তাহে কিন্তু সেটা কি আমার জন্য যথেষ্ট ছিলো? না! কারন আমি বাড়িতেও সাপোর্ট করার চেষ্টা করতাম। নিউজিল্যান্ডের ১০০০ হাজার ডলারে বাংলাদেশের ৫০হাজার টাকা কিন্তু এই জব দিয়ে আমার ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে আমার ৩/৪ মাস লাগতো আর বছর শেষে টিউশন ফী যেটা আসতো সেটার কথা বাদই দিলাম।
নিউজিল্যান্ড গিয়ে এএসবি ব্যাংকে একাউন্ট খুললাম। তখনকার সময়ে একাউন্ট খোলার সাথে সাথেই ১০০০ ডলারের ক্রেডিট কার্ড দিতো। আর জব থেকে স্যালারি ব্যাংকে ঢুকলে আরো ২৫০০ ডলার ওভার ড্রাফট হিসেবে দিতো। তখন আমি টেকনিকালি ৩৫০০ ডলারের মালিক । এই টাকা দিয়ে কি করবো তা নিয়ে ভাবতে থাকি। সুখে থাকতে ভুতে কিলায় টাইপ অবস্থা আরকি। BET365 সাইটে রেজিস্ট্রার করে ফাইনান্সিয়াল বেটিং শুরু করলাম। ফাইনান্সিয়াল বেটিং কি সেটা বুঝাতে চাচ্ছিনা। শুধু বলি, এটা অনেকটা খেলায় বাজি ধরার মত। আপনি প্রেডিক্ট করলেন ১ডলারের দাম আগামি পাচ মিনিট পর ৮৪ এর উপর থাকবে। যদি আপনার প্রেডিকশন ঠিক হয় আপনি জিতে যাবেন। এই বেটে বেশিদিন টিকতে পারিনি! লাভ লস মিলিয়ে প্রায় সমান অথবা কিছু লসে ছিলাম তাই সেটা ছেড়ে দিলাম। আমার লাইফে আমায় কোন কিছুর নেশায় ধরেনি সেটা হৌক টাকা, সিগারেট কিংবা এলকোহল। আমি কোনদিন নিজ টাকায় সিগারেট কিনে খাইনি, বন্ধু বান্ধবকে কিনে দিয়েছি সেখান থেকে একটা টান দিসি। কিন্তু আমি টানার জন্য কখনো কিনি নাই। কোন কিছুর নেশাই আমাকে কোনদিন কাবু করতে পারেনি। তাই বেটিং ছাড়তে আমার একদিনও টাইম লাগেনি।
এরপরই আমার লাইফে আসে ফরেক্সের আইডিয়া! শিখার ট্রাই করলাম কিন্তু এত জটিল বিষয় মাথায় ঢুকানোর ইচ্ছে হলোনা। কিন্তু বিষয়টা ভালো লাগতো তাই আমি ক্রিপ্টো কারেন্সিতে হাটা চলা শুরু করলাম! আস্তে আস্তে ক্রিপ্টো মার্কেটে বাই সেল শুরু করলাম। শুরুতে অনেক কম ইনভেস্ট ছিলো তাই একটা কারেন্সি কিনে অনেকদিন লেগে যেতো লাভ পাওয়ার জন্য। পরে আমি শাতোশি তে ফোকাস করতে লাগলাম। বিষয়টা অনেকটা এমন বেশি ইনভেস্ট করে কম লাভ করা। কিন্তু সল্প সময়ে লাভ করা। একটা এক্সাম্পল দিয়ে বুঝাই, ধরুন আমি একটা কারেন্সিকে 0.2800 রেটে কিনলাম এখন এটার রেট 0.2900 উঠতে একদিন সময় লাগবে। আবার এটার রেট নেমেও যেতে পারে। নেমে গেলেই লস। তো সেক্ষেত্রে আমি রিস্ক না নিয়ে 0.2820 তে বিক্রি করে দিলাম। যেটা ১০ মিনিটেই এই রেটে ঘুরাঘুরি করে নিশ্চিত আর আমি ১০ মিনিটে জন্য ইনভেস্ট করি।
ধরুন 0.2800 রেটে আমি ২০০০ডলারের কয়েন কিনলাম। তাহলে আমি পেলাম ৭১৪২ টি তাহলে আমি ২০ মিনিটের মধ্যে আমি এই কয়েন গুলো 0.2820 রেটে বিক্রি করে দিলাম তাহলে আমার লাভ কত হলো? 0.002 × 7142 = 14.28 ডলার। জ্বী অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আমি ২০০০ ডলারে মাত্র ১৪ ডলার লাভ করতাম আর আমি তাতেই খুশি। কারন আমি প্রতিদিন ১০টা ট্রেড করতাম আমার ১০০ ডলার আসতো। অনেকে বলে বিট কয়েনে ইনভেস্ট করে বড়লোক হয়ে যাবো কিন্তু না রাতারাতি বড়লোক হতে গেলে ফকির হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ভাগ্য ভালো হলে হয়ত মিলিওনিয়ার কিন্তু খারাপ হলে একেবারে ফকির আর আমার ভাগ্যের উপর আমার অগাত বিশ্বাস তাই তার উপর আমি ভরসা করিনা। আপনাদের জন্য আমি একটা একাউন্টের কিছু ট্রেড হিস্টোরিলাম। এই ট্রেড গুলো জাস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবার জন্যই করেছি। এইভাবে ট্রেড করে আমি নিউজিল্যান্ড লাইফের অনেকটা কাটিয়েছি।
ফুল ইমেজ লিংকঃ Click This Link
এই পোস্টটা কেউ আবার মোটিভেশন হিয়েবে নিয়েননা। আমি জাস্ট আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৩
আমিই সাইফুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ব্যাচেলর কমপ্লিট করে ইউরোপ মুভ করেছি। জবও পেয়েছি, বিয়েও করেছি।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীবনের এমন বিস্তারিত বর্ণনা কেউ দিয়ে চায় না। সবাই তার খারাপ সময় লুকিয়ে রাখতে চায়। আপনি প্রকাশ করেছেন তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনেক কিছু শেখার আছে সবার জন্য। আপনার পরবর্তী সাফল্যের জন্য অভিনন্দন। একটা কথা আছে যে ফরচুন ফেভার দা ব্রেভস। তবে অবশ্যই আল্লাহই আপনাকে সব কিছু দিয়েছেন আপনার চেষ্টার বিনিময়ে। লেখাটা চালিয়ে যান।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৬
আমিই সাইফুল বলেছেন: ভাই আমি আষাঢ়ে গল্প শুনালে হয়ত সবাই বলবে ওয়াও! আর আফসুস করবে কেন তারা বাহিরে আসলোনা বা আসতে পারছেনা। তাই বাস্তবতাটাই তুলে ধরি।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৮
হাবিব বলেছেন: আপনার সাফলতা কামনা করছি।
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৬
গফুর ভাই বলেছেন: কষ্টের পর সস্তি আসে সেটাই দারুন লাগে
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১০
জগতারন বলেছেন:
আপনার দেওয়া পোষ্টটি পড়লাম। ভাল লাগল এবং আমার পড়তে বিদেশে এসে বিগত দিনের অনেক স্মৃতিতে ভরা সময়ের কথা মনে পরল। আমার জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত অভিজ্ঞতা থেকে আপনাকে একটি কথাই বলবঃ আপনি বিদেশে গিয়াছেন পড়াশুনা করতে, সেখানে পড়াশুনার পাশাপাসি চাকুরী করে নিজের খরচ, পড়াশোনার খরচ চালিয়ে দেশে টাকা না পাঠানোই ভালো। কারন দেশে বাবা, মা, ভাই, বোন, আত্মীয় স্বজন সম্যক উপলব্ধি করতে পারবেনা যে আপনি নিজের শরীরের মাংস বেচে চাকুরী করে টাকা পাঠাচ্ছেন। তারা দেশে মোহান্দে আপনার পাঠানো টাকা খরচ করবেন। বিদেশে যে উদ্দেশ্যে গিয়াছেন; পড়াশোনা করতে সেই লক্ষপূরনই আপনারা প্রাধান্য দেওয়া উচিত। পড়াশোনা সম্পন্ন করে ভাল চাকরি পেলে পরে অনেক টাকা পাঠানো যাবে। আর জীবনকে সংগী নির্বাচনে নিজের ইচ্ছার ভাল মন্দকে প্রাধান্য দিবেন
কারণ আপনার পছন্দ দেশের অন্য আত্মীয়ের অনেক যুক্তি সংগত ভালোই হবে।