নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন ভিবিন্ন খেলনা আপনার সন্তানের মস্তিস্কের জন্য ভালো কিনা? বা মস্তিস্কের বিকাশে গান কিংবা আপনার মুখের কথা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? অবশ্যই করেছেন হয়ত। আর এ চিন্তা আপনি একা করেননি! পৃথিবীর ভিবিন্ন প্রান্তের মানুষ এটা নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাবে। এই যেমন আমি বাবা না হয়েও এ বিষয়ে পড়ার আগ্রহ খুজে পাচ্ছি। তো যাই হোক আজকে আমি ৪ টা বিষয় শেয়ার করবো যেগুলো আপনার সন্তানের বিকাশকে সহজতর এবং গতিশীল করে তুলবে।
1. যতটা সম্ভব বাইরে খেলতে দিন।
আচ্ছা কখনো কি ভেবে দেখেছেন একটা বনের পশুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ কোনটা। আমাজনের জংগল নাকি আমাদের ঢাকার চিড়িয়াখানা? চিড়িয়াখানা অবশই না নিশ্চই। তাহলে আমাদের সন্তানের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ কি হতে পারে? এক্ষেত্রে দুইটা বিষয় হয়ত আপনার মাথায় আসবে খেলা আর প্রকৃতি। এগুলি একটি শিশুর মস্তিষ্কের প্রত্যাশা, এবং একটি শিশুর বিকাশের প্রয়োজনীয় অংশ। এটাই আমাদের সন্তানের জন্য সবচেয়ে স্ট্যান্ডার্ড পরিবেশ।
কিছুদিন আগে কোন একটা গভেষনায় যেন দেখলাম, যে বাচ্চারা তাদের চারপাশে সবুজ জায়গা নিয়ে বেড়ে ওঠে মানে যেটাকে আমরা গ্রাম্য পরিবেশ বলি আরকি। সেসব শিশুদের পরবর্তী জীবনে মানসিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৫৫% কমে যায়। এবং এদের মস্তিষ্কের বিকাশ দ্রুত সময়ে হয়।
আরো একটি গভেষনায় দেখা গেছে বাহিরে খেলাদুলা বাচ্চাদের ADHS হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। ADHS মানে Attention deficit hyperactivity disorder(এক ধরনের মানসিক রোগ যা শিশুর উচ্চ রক্তচাপ এবং ইম্পালসিভ আচরণের কারণ হতে পারে।)
আর বাহিরে খেলাদুলা বাচ্চাদের মেজাজের জন্যও ভালো। সারাক্ষন বদ্ধ পরিবেশে থাকলে এমনিতেই বাচ্চাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব বাচ্চাকে বাহিরে খেলতে দিন।
২. খেলনা এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
যদিও শিশুরা প্রযুক্তি থেকে নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারে কিন্তু গভেষনায় দেখা গেছে শিশুর বিকাশে প্রযুক্তি নিগেটিভ ইফেক্ট ফেলতে পারে। ইলেকট্রনিক স্ক্রিন যেমন ফোন, ট্যাব, টিভিতে আপনার শিশু কতক্ষন সময় দিচ্ছে এবং সে কি ধরনের ভিডিও বা শো দেখছে কিংবা কি ধরনের গেমস খেলছে সে দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। এবং যেকোনটা তাদের নেশায় পরিনত হওয়ার আগেই নিয়ন্তনে আনতে হবে।
৩। শিশুর বন্ধু হয়ে উঠুন
এটি শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন । গভেষনায় দেখা গেছে মা বাবার সাথে একটি ভালো সম্পর্ক সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। আর এটা শুধু মানষিক নয় বরং শারীরিক বিকাশেও সহায়তা করে। ড ওয়াল্ডিংগার একবার টেডের আলোচনায় বলেছিলেন, একটি ভালো সম্পর্ক শুধু আমাদেরকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করেনা বরং এটা ব্রেনকে রক্ষ্যা করে এবং একাকীত্ব দুর করে। একাকীত্ব স্মোকিং কিংবা নেশার চেয়েও বেশি খারাপ হিউম্যান লাইফের জন্য।
৪। আপনিই আপনার সন্তানের জন্য সেরা ‘খেলনা’
সন্তানের সাথে কথা বলা, গান গাওয়া, তাকে জড়িয়ে ধরা তার সাথে ভিবিন্ন বিষয়ে কথা আলোচনা করা তাকে শিখতে এবং বড় হতে সাহায্য করে। মজার বিষয় কি জানেন? ইদুর নিয়ে একদল গভেষক রিতিমত গভেষনা করে ফেলেন। গভেষনায় দেখা যায়, যেসব ইদুরকে মা ইদুর বেশি আদর করে, গায়ে লেগে থাকে, মুখ দিয়ে আদর করে দেয় তাদের গ্রোথ অন্যান্য ইদুরের চেয়ে বেশি হয় এবং এরা অন্য ইদুরের তুলনায় চালাক হয়।
সুতরাং, আপনার সন্তানের স্বাভাবিক বেড়ে উঠার পরিবেশের একটি প্রয়োজনীয় অংশ হচ্ছেন আপনি নিজে আর এটা কোনভাবেই ভুলে যাবেন না। তারা শুধু আপনার সাথে থাকা থেকে অনেক কিছু শিখবে। কথা বলা, হাটা, খাওয়া প্রত্যকটা জিনিসই আপনার বাচ্চা আপনার কাছ থেকে শিখবে। তাকে নিয়ে গান গাওয়া, ছবি আকা , ধর্ম চর্চা করা এসব আপনার সন্তানকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
পরিশেষে বলতে চাই, উপরের সব গুলি জিনিস করা প্রয়োজন এটা মনে করবেন না। আপনার বাচ্চাদের দরকার আপনাকে, বন্ধু, স্বাস্থ্যকর খাবার, কিছুটা তাজা বাতাস এবং অবাধে খেলাদুলা।
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫১
আমিই সাইফুল বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:১৭
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫১
আমিই সাইফুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১১
রাসেল বলেছেন: ভালো লাগলো। নতুন লেখা পাইনা কেন।
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫২
আমিই সাইফুল বলেছেন: আমি অনিয়মিত ব্লগার।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখা কিন্তু সত্যিকার অর্থে শিশুদের সংগে আমরা যা করার তা করিনা।