নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি বই পড়তে আর পছন্দ করি টুকটাক লিখতে, ভালো লাগে বুদ্ধিমানদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। দেশটাকে ভালোবাসি। সৎ-পরিশ্রমীদের শ্রদ্ধা করি। । আমার ব্লগ নিয়ে অনেক আগ্রহ আছে। কিন্তু কিছু জানি না। তাই জানতে চাই
বাস না চলার কারনে আজ রিকশা দিয়ে কয়েকটি জায়গায় যেতে হল।
ছাত্র-ছাত্রীদের “নিরাপদ সড়ক চাই” আন্দলোনের কারনে রিকশা গুলো বেশ লাইন ধরে ধরে মরুভূমির উটের মত এগুতে থাকলো। আমার পশে মোটর সাইকেলে এক পুলিশ বন্ধু(পুলিশ জনগনের বন্ধু) যাচ্ছে, এমন সময় উল্টোদিক থেকে আরেক মোটর সাইকেলে এক পুলিশ বন্ধু আসছে আর আমার পাশে থাকা পুলিশ বন্ধু কে বলছে-
-আরে ভাই, গাড়ি ঘুরান, গাড়ি ঘুরান, সামনে দিয়া যাইয়েন না।
--ক্যা? ভাই কি হইছে সামনে?
-ভাই সামনে পোলাপানে লাইসেন্স চেক করতাছে।
--কি কন ভাই? সর্বনাস…!!
এটা বলতে বলতে আমার পাশে থাকা পুলিশ বন্ধু মোটর সাইকেল নিয়া উল্টোদিকে পরে কি মরে করে টান। ঐ পুলিশ বন্ধু কি করে জানলো এর লাইসেন্স নাই?? মানে সব রসুনের এক গোয়া।
এমন ভয় কে কবে পাইছে কে জানে??
ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে কিইবা জোর আছে?
ছাত্র-ছাত্রীদের কিইবা শক্তি আছে??
-ভাই আছে। জোর আছে সাহস আছে, সত্যের জোর।
দেখলাম বংশাল মোড়ে দাড়িয়ে পোলাপানরা মানে ছাত্র-ছাত্রীরা আঙ্গুল ইশারা করতাছে সব সুরসুর কইরা গাড়ি থামাইয়া লাইসেন্স বাইর কইরা ৩২টা দাঁত ক্যালাইয়া ক্লোজআপ মার্কা প্লাসটিক হাসি দিতাছে। আর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে। অনেকক্ষন হাগা আটকাইয়া রাখলে যে ঘামটা জমে ঠিক ঐটার মতন।
::এখন কথা হচ্ছে এই আঙ্গুলের এত কি শক্তি??
-হ্যা…. এর শক্তি আছে..জাতির পিতার আঙ্গুল কি মনে আছে?
-৭মার্চ ভাষনের আঙ্গুল কি মনে আছে?
- এই আঙ্গুল হল সত্যের আর সাহসের।
- এই আঙ্গুল হল বাঙ্গালীর মাথা নত না করার।
- এই আঙ্গুল হল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আঙ্গুল।
- এই আঙ্গুল হল ১৮ বছর বয়সে মাথা নত নাকরা।
- এই আঙ্গুল হল নিজের চলার পথ নিজে নিরাপদ করা।
রক্তে তো ভাই বীর বাঙ্গালীপনা শতভাগ, ৫২ আর ৭১ বইছে।
ক্যামনে রে আমাগো ভয় দেখাইয়া দমন করতে চাষ..???
শুনেছি ১৫ আগস্ট,১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হায়েনারা হত্যার পরে নাকি সেই আঙ্গুল এর উপরও নাকি র্নিযাতন চালিয়েছিল। ক্যামনে সেই বাংলাদেশ কে নষ্ট করার দল আবারো জয়ী হবে।
আমাদের বেড়ে উঠা কিভাবে থামাতে চায়??
আমরা আমাদের পথ তৈরি করে নিতে পারি।
ছাত্র-ছাত্রীদের কথা হচ্ছে “নিরাপদ সড়ক চাই”
-নিরাপদ কইরা দিলে দেন, নাইলে আমরা কইরা লইলাম। কোন প্রবলেম মামা………
-আমরা আমাগো দেশ নিজ হাতে গড়তে চাই, কোন সমস্যা………
-প্রষাশন ধুয়া সকালে খাবার আগে একবার কইরা পানি খান, আর আন্দোলন আমাগো করবার দেন।
-জবাবদিহি আমাগো মতন জনগনের কাছে করতে হইব। করবেন ক্যান?
উত্তর: আমরা দেশের মালিক।
-আমাগো দেশের মালিক ক্যাঠা বানাইছে?
উত্তর: আমাদের সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।
নেতা বা লিডার তৈরি করা জায়না, নেতা জন্মায়। আর আন্দোলন ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না, আন্দোলন ছাড়া ভাষা পাওয়া যায় নাই, আন্দোলন ছাড়া দেশ পাওয়া যায় নাই।
**But, আমি মনে করি আন্দোলন যা করা হইছে, বা আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের “নিরাপদ সড়ক চাই” আন্দলোনের নামে যে শিক্ষা দিছে তা সবাই মনে রাখবে। এবার সরকার কে কাজ কারার সুযোগ দিতে হবে। সরকার তো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে আমরা জানি। সরকার কথা না রাথলে আবারো আন্দোলন কার যাইতে পারে। ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনেরা রাস্তায় থাকবে এটা আমাদের কাম্য নয়।
এবার ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের পড়াশুনায় মন দেয়া উচিত চোখ, কান আর মেধা খোলা রেখে সামনের সোনার বাংলা ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা খেয়াল করা দরকার বলে আমার মনে হয়।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সরকারের অসহিষ্ণুতা আজ প্রকট হল ধানমন্ডি, ঝিগাতলা মিরপুরে!
ছাত্রদের প্রতিনিধিদের সাথে বসে একটা মীমাংসায় আসা উত্তম
তারাতো আবেগী হবেই। কিন্তু সরকারেরতো বিচক্ষনতার পরিচয় দেয়া উচিত!
কিন্তু আঘাত, হত্যা, ধর্ষনতো বিষয়টাকে গুবলেট করে ফেলবে।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ১৩ আগস্ট চলে আসছে কাছেই I ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীর দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে খুব মনে পড়ছে খ্যাতিমান চলচ্চিত্রনির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিশুক মুনীরের । ছয় বছর আগে রাজপথে সেই করুন মৃত্যুর পর গরু ছাগল আর বাস ড্রাইভারের লাইসেন্স তথ্যের উদ্গাতা হয়ে এসেছিলেন আমাদের মহান মন্ত্রী শাজাহান খান I অপদার্থ এই মন্ত্রীকে (উপ না পাতি মনেও থাকে না ছাই) সেদিনই যদি প্রধানমন্ত্রী কিক আউট করতেন তাহলে কিন্তু এই ঝামেলাগুলো হত না I ক্ষমতার প্রতিটা জায়গায় যদি অযোগ্য লোকজন বসে থাকে তাহলেতো দেশ চলে না --এই বিক্ষোভ তখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে যায় I এই ছাত্র বিক্ষোভ একটা আর স্থবির সরকারের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, আরতো কিছু না |
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ছাত্রছাত্রী স্কুলে ফিরে যাক। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হোক।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২১
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন যৌক্তিক আন্দোলন। তারা সারা দেশকে দেখিয়ে দিলো চাইলেই সড়কে নিয়ম কানুন প্রয়োগ করা যায়, দুর্ঘটনা হ্রাস করা যায়। কিন্তু এ দেশ যে বাংলাদেশ। এখানে সরকার যৌক্তিক আন্দোলনকেও ভয় পায়। তাই ছাত্রদের উচিত হবে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবার আগেই ঘরে ফিরে যাওয়া।
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: রাস্তাঘাটের অবস্থা কি? সাভার পথ কি চালু আছে?
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
তাদের কাজ তারা করছে। এখন সরকারের কাজ! উনারা করুক!
ছাত্রছাত্রী ভাইবোনেরা রাস্তায় থাকুক এটা আমাদের কাম্য নয়! ঠিক বলেছেন!