নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি বই পড়তে আর পছন্দ করি টুকটাক লিখতে, ভালো লাগে বুদ্ধিমানদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। দেশটাকে ভালোবাসি। সৎ-পরিশ্রমীদের শ্রদ্ধা করি। । আমার ব্লগ নিয়ে অনেক আগ্রহ আছে। কিন্তু কিছু জানি না। তাই জানতে চাই
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়ঃ
প্রোটিন:
প্রোটিন শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বাড়ায়, রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। এই মৌসুমে শরীর সুস্থ রাখতে উন্নত মানের প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল থেকে পেতে পারেন প্রোটিন। তবে লাল মাংস এড়িয়ে যাবেন। ভালো প্রোটিনের যে উপকার, লাল মাংসে তা পাওয়া যায় না। প্রোটিনের এই ডোজ হচ্ছে শরীরের ওজনের প্রতি কেজির জন্য এক গ্রাম করে। অর্থাৎ, কারও ওজন যদি ৬৮ কেজি হয়, তবে দৈনিক তাঁর ৬৮ থেকে ৭০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন দরকার।
ভিটামিন সি:
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর। ভিটামিন সি মানবদেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি-ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে হৃদ্রোগ, ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
এই ভিটামিন পরিচিত ফল এবং বিভিন্ন শাকসবজি যেমন: আমলকী, লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমড়া, পেয়ারা, পেঁপে, কাঁচা মরিচ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে থাকে। তবে যেহেতু আমাদের শরীর ভিটামিন সি জমা করে রাখতে পারে না, তাই প্রতিদিন গ্রহণ করা প্রয়োজন। পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ৯০ মিলিগ্রাম এবং নারীর ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি দরকার।
ভিটামিন বি১২-
ভিটামিন বি১২ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে ভিটামিন বি১২ দারুণ কার্যকর। বিভিন্ন দুগ্ধজাত খাবার ও ডিমে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।
জিঙ্ক:
শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি হলে রক্তে শ্বেতকণিকার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বাদাম, শিম, দুগ্ধজাত পণ্যে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকে। মনে রাখবেন, শিশুদের ক্ষেত্রে জিঙ্কের পরিমাণ কমে গেলে তারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।
মানসিক চাপ কমানঃ
আপনি যদি মানসিক চাপে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে স্ট্রেস হরমোন (Stress hormones) যেমন করটিসল (cortisol) ও বৃক্করস এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা কিনা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে। তাই সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য মানসিক চাপ কমান। তবেই আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনাআপনি বাড়বে।
নিয়মিত হাঁটুন
এটা দেখা গিয়েছে যে আপনার শরীরের গুরুতর রোগ প্রতিরোধের জন্য সামান্য ছোটখাটো ব্যায়াম খুব কাজে দেয় যেমন হাঁটাহাঁটি। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ হাঁটলেও আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই রোজ রোজ একটু করে হাঁটার অভ্যাস করুন।
পর্যাপ্ত ঘুমানঃ
যখন আমরা রাতে ঘুমাই তখন প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটে। তাই যদি চান সহজে আপনার শরীর আরও একটু বেশী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করুক তাহলে রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান।
খাদ্য তালিকায় কিছু আদা যোগ করুনঃ
অসংখ্য দেশে ঐতিহ্যগতভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম উপাদান হিসেবে আদাকে মূল্যায়ন করা হয়। কেনোনা আদা আপনার শরীরের টক্সিন নির্গত করে শরীরকে সুস্থ ও ঝরঝরে রাখে।
যতোটা পারেন আপনার নিয়মিত খাবারের সাথে একটু বেশী পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও পরিমিত পানি পান করুন। অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়িয়ে চলুন দেখবেন আপনার শরীর যেকোনো রোগের মোকাবেলা করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।
তথ্যসূত্র: অনলাইন।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মূল্যবান পোস্ট। ধন্যবাদ ভাই লিঙ্কন বাবু ০০৭।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ।