নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি বই পড়তে আর পছন্দ করি টুকটাক লিখতে, ভালো লাগে বুদ্ধিমানদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। দেশটাকে ভালোবাসি। সৎ-পরিশ্রমীদের শ্রদ্ধা করি। । আমার ব্লগ নিয়ে অনেক আগ্রহ আছে। কিন্তু কিছু জানি না। তাই জানতে চাই
১লা বৈশাখের সাথে পান্তা ইলিশ কেন খাওয়া হয়?? এইটা আমার বিশেষ কৌতুহলের কারনে অর্জিত তথ্য ঘেটে কোথাও পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ মাছের মিল পেলাম না।
খাওয়াতে মানা নাই… তবে…
ইলিশ কোন ভাবেই বৈশাখের মাছ না , তার উপরে এখন মা-ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়।ইলিশ এখন তার আন্ডা ফুটে বাচ্চা বের হলে তাদের বড় করার কাজে ব্যাস্ত থাকবে আর আমরা তাদের সেই সুখময় সময়ে হানা দিচ্ছি…???
গত কয়েক দশকে ক্যামনে ক্যামনে আমাগো রং ঢং করা বাঙালীদের বানানো নিয়মে এটা হচ্ছে।
>>উপদেশ:: আসুন আমরা নিজেরা এই সময় ইলিশ মাছ খাওয়া ও ফ্রিজে জমানো থেকে নিজে বিরত থাকি এবং ধরা থেকে জাইল্লা কে বিরত রাখি…….<<
**বি:দ্র: রং ঢং করা বাঙালী- বলতে এখানে বলা হয়েছে সকালে শাড়ির নিচে জিঙ্ছ পরে শাড়ির আচল টানতে টানতে জান শেষ। আর বিকালে ইয় মামা ফাস্ট ফুড আর বিচ্চি-বাবা, শিশা-বাবা……….।
>>(গত বছরের পোষ্ট টা কপি করলাম। সকালে Akku Chowdhury স্যার এর শেয়ার করা একটা পোষ্ট দেখে এখানে ইলিশ মাছকে না করা হয়েছে একটা চিহ্নের মাধ্যমে আমার গত বছরের কথা মনে পরলো। আসলে আমাদের এমন করে ভাবতে হবে।
গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে কিছু করার আগে ভাবতে হবে কি কি আমাদের না-করাতে মঙ্গল, আর কি কি আমাদের করাতে মঙ্গল।
কেননা সকালে সবার মঙ্গল কামনা করে সোভাযাত্রা করা হয় আর একটু পরে জাতীয় মাছের উপর হামলা করে মৎস-অর্থনীতি ধ্বংশ করা হয়। আমাদের দুই দিকেই ভাবার সময় এসেছে।)<<
ভাল থাকুক সকল মা-ইলিশেরা, ভাল থাকুক সকল বাঙালী মায়ের সন্তানেরা....শুভ নবর্বষ। ০১/০১/১৪২২..... .
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০৮
লিংকন বাবু০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। আরো কিছু অজানা তথ্য জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১০
সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার কালচার শুরু হয়েছে আজ থেকে মাত্র ৩২ বছর আগে। যদিও অনেকে বলে থাকে, বাঙালী’র সংস্কৃতি হিসেবে পান্তা-ইলিশ চালু হয়েছে, আবার অনেকে বলে থাকে, গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে পান্তা-ইলিশ চালু হয়েছে। কিন্তু আমি বলবো ভিন্ন কথা, যারা এ কালচারগুলো বাংলাদেশে চালু করেছে, তারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকেই ভারতীয় দূতাবাস থেকে নিয়মিত ভাতাপ্রাপ্ত তথাকথিত সংস্কৃতিবাদী ব্যক্তিত্ব। তারা এমনি এমনি পান্তা-ইলিশ চালু করেনি, তাদের পান্তা-ইলিশ চালুর পেছনে ছিলো দুটো ভিন্ন থিউরী বা বিশ্বাস। আসুন দেখি------
১) পান্তা থিউরী: চৈত্রের শেষ দিন হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশেষ পূজার নাম হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি। এ দিন হিন্দু নারীরা স্নান, ব্রত আর উপবাস করে দিন কাটায়। কোন খাবার খেতে পারে না। তাই ঐ দিনের ভাত পানি দিয়ে রেখে দেয় এবং পরদিন সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সেটা পান্তা হিসেবে খায়। এখান থেকে আগমণ ঘটে পহেলা বৈশাখের ভোরে পান্তা খাওয়ার থিওরী’র।
২) ইলিশ থিউরী: বালাদেশে গ্রাম বাংলার মানুষের জন্য ইলিশ খুব সহজলভ্য মাছ কখনই ছিলো না, তাই সেটা গ্রাম বাংলার চিরাচরিত কালচার নয়, এ কালচার এসেছে ভিন্ন স্থান থেকে। মূলত: চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে মেয়ের জামাইকে দাওয়াত দেয়া হিন্দু ধর্মালম্বীদের একটি পুরাতন ঐতিহ্য। আবার গোড়া হিন্দুরা জামাই সমাদর ইলিশ ভিন্ন করতেই পারে না (জামাইষষ্ঠী পূজার কথা মনে আছে তো ?) ফলে ঐ দিন বাসায় অবশ্যই থাকতো ইলিশ মাছের আইটেম। হিন্দু ধর্মালম্বীদের সেই আচার পুরো বাঙালী (হিন্দু + মুসলিম) জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চালু করা হয় পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার সংস্কৃতি।