নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,
দত্তক
(১)
সালটা ঠিক মনে নেই। আমার বয়স তখন আট। সেই হিসাবে,আনুমানিক আটত্রিশ বছর আগের পুরানো কাসুন্দি।তবে পুরো ঘটনাটি এখনো মনের মধ্যে গেঁথে আছে। মনে হয় এই'তো গতকাল ঘটে যাওয়া এক বিপত্তিকর মুহুর্ত মনের মাঝে বিদ্ধ হয়ে আছে । আজকাল মনের পর্বত সমান ভারে এমনিতেই ভুলোমনা। কোনকিছু হারিয়ে গেলে তা খুব সহজে ভুলে যাই। গত সপ্তাহের কোন ঘটনা মাঝে মাঝে মনে করতে শ্বাসকষ্ট হয়। আর সেই আটত্রিশ বছর আগের বিস্মৃতি আটপৌরে গল্পের মতো আজোও টিঁকে আছে। আর সেই অচেনা বিভীষিকাময় ফোঁড়া আঁতে লেগে আছে। সেটা মনে করে প্রায় রাতেই বিমূর্ত রূপের ভয়ে আঁতকে ওঠি। আমার জন্ম আফগানিস্তানের পশতুন এলাকায়। আমার বাবা রহমত মোল্লা ছিলেন সরকারি ভূমি অফিসের কানুনগো। মা একজন গৃহিণী। বাবা আদর করে আমার নাম রাখেন রহিম মোল্লা। আর আমার চেয়ে দু বছরের ছোট ভাইয়ের নাম রাখেন করিম মোল্লা। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের ছোট গৃহে বিশাল বিস্তৃত সুখ ছিলো। তবে ঘরের বাইরের প্রতিদিন ছিলো অস্হিরতায় ভরপুর। আমাদের চারপাশে গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকতো। মোল্লা আর মুজাহিদদের মারামারি,কলহ, বিরোধ, ছিলো প্রতিদিনকার সমাজের নির্মম প্রতিচ্ছবি। আমাদের এলাকার বেশিরভাগ মানুষ আফিমের চাষাবাদ,পশুপালন, ও শাকসবজিসহ নানাবিধ কৃষিকার্য করে জীবন নির্বাহ করেন। আবার অনেকে সরকারি পতিত জমি জবরদখল করে আফিমের চাষাবাদ করে। তেমনি পাহাড়ের কুল ঘেঁষে থাকা বিশাল সরকারি জমি মুজাহিদরা দখল করে আফিমের চাষাবাদ করে। সরকারি আদেশ পেয়ে বাবা আইনানুযায়ী ভুমিতে নোটিশ টাঙিয়ে দেন। সেই রাতে প্রতিশোধপরায়ন মুজাহিদদরা যা করলো তাতে আমার মনে হলো বন্য প্রাণী চেয়েও ওরা হিংস্র। সেদিন রাত আনুমানিক সাড়ে সাতটা। আমাকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হলো। যথারীতি কাজটি সারতে বাবাকে বললাম। রাত হলো বাবা আমাদের দু ভাই'কে বাড়ির পূর্ব কোণের আম গাছটির নিচে নিয়ে প্রকৃতির কাজ সারাতেন। হারিকেনের মিটি মিটি আলো। তাতে আমার ঝাপসা ঝাপসা চোখে একদল মুজাহিদ বাহিনীকে আমাদের ঘরে ঢুকতে দেখলাম। মুহুর্তের মধ্যে গুলির শব্দ। বিকট শব্দে আম গাছের ফাঁকটাকে মায়ের গর্ভ মনে করে তার ভেতরে ঢুকে গেলাম। ভয়ে বিহ্বলল, বিধ্বস্ত হয়ে কাঁপতে থাকলাম। মুজাহিদদের চলে যাওয়ার বুটের শব্দ শুনে চোখ মেলে তাকালাম। দেখলাম লোকজনের এদিকে ওদিকে দৌড়াদৌড়ি। দূর থেকে লেখলাম আমাদের লাল মাটির মেঝেতে নিথর হয়ে শুয়ে আছেন প্রাণপ্রিয় মা,প্রাণাধিক বাবা,প্রিয়মুখ ভাইটি। পরিবারবর্গকে হারিয়ে ক্ষত বিক্ষত হলাম। অনেককিছু শেষ হ'য়ে গেলো। পায়ের নিচের মাটি, বাবার ভিটা হারালাম। পুরো আকাশকে ছাদ হিসাবে নেয়া ছাড়া কোন উপায় দেখলাম না । একে একে আমার পুরো পরিবারের সদস্যের দাফন সম্পন্ন হতে দেখলাম । খুব বেশি শোকে নাকি চোখের পানিরও অভিমান হয়। তাই এতটুকু বয়সে কোন কান্না পেলো না। পরবর্তীতে স্থানীয় এনজিও সংগঠনের সহায়তায় আমাকে একটি মিশনারী রিফিউজি ক্যাম্প ঠাঁই দেয়া হয়।
(২)
আমি মোল্লাবাড়ির ছেলে হিসাবে স্বভাবতই লাজুক স্বভাবের। বড় মোল্লা হওয়ার অভিপ্রায়ে স্হানীয় মাদ্রাসায় পড়তাম। কিন্তু জীবনের অনভিপ্রেত পরিস্থিতিতে এখন মিশনারী স্কুলে ভর্তি হলাম। ক্লাসে চুপচাপ ও ঘাপটি মেরে বসে থাকতাম। কারো সাথে মিশতে চাইতাম না। শুধু নিজেকে নিয়ে থাকতে চাইতাম এমন করে প্রায় দু'তিন মাস কেটে গেলো। আমাদের স্কুলে সুইডিশ ইরানিয়ান দম্পত্তি বেড়াতে আসলো। তাদের উভয়েই আমার সাথে কথা বলতে চাইলেও আমি চুপচাপ হয়ে রইলাম। কিছুদিন পর সে দম্পতি আমাকে তাদের দত্তক সন্তান হিসাবে নিতে ইচ্ছে পোষণ করলেন। তারপর চার থেকে পাঁচ মাসের মাথায় মিশনারী আবাসস্থল ছেড়ে আমার নিবাস হলো সুইডেনের স্টকহোমে। তারপর ভর্তি হলাম স্টকহোমের নামকরা 'সেন্ট জোসেফ' স্কুলে।আমি আধুনিক আর আভিজাত্যের মধ্যেই বেড়ে ওঠতে লাগলাম। নতুন স্কুলে নানান দেশের, নানান বর্ণের ছেলেমেয়ে পড়ে৷ সব ছেলেমেয়েদের তুলনায় আমি হলাম বয়সে সিনিয়র। অদ্ভুত ব্যাপার হলো,আমাকে নিয়ে মেয়েতে মেয়েতে ঝগড়া চলে। প্রায় সব মেয়েরা আমাকে বয়ফ্রেন্ড হিসাবে চায়। এক আফগান রিফিউজি থেকে রাজকীয়, অনাথ বয় থেকে অনুপম হয়ে উঠলাম। মেয়েদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় এই আমি হৃদয় বিছিয়ে দেই বাঙালি রমনী সাহারার বুকে। সাহারা,নামটি মরুভূমির হ'লেও রমনী সাহারার ভালোবাসা ছিলো সমুদ্রের উন্মাদনার মতো। একসাথে স্কুল, কলেজ শেষ করার পর। সাহারার পরিবার থেকে আমাদের বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি না থাকাতে একসময় সে পরিবার ছেড়ে আমার কাছে চলে আসে। আমি প্রফুল্লচিত্তে সাহারাকে সারাজীবনের সঙ্গীনী হিসাবে গ্রহন করি। দুজনের চাকরি, এদিকে ওদিকে ঘুরাঘুরি এসব করে ভীষণ সুন্দর দিন কাটতে লাগলো। বিয়ের দুবছর পর থেকে সাহারা নিজের সন্তান নিতে চায়। বহু ডাক্তার, আয়ুর্বেদ,ইমাম দেখিয়ে কোন লাভ হলো না। একটা অতৃপ্তি যেন বিতৃষ্ণার জন্ম দিতে লাগলো। সংসারে ধূমকেতুর কোন আর্বিভাব না হওয়াতে চলে অনভিপ্রেত পরিস্থিতি।সন্তানহীন সাহারার মরুবুকে সন্ন্যাসীর মতো অভিযান। বীজে পুষ্টিগুন না থাকাতে, রসদ যোগাতে অক্ষম হওয়াতে আমি হই অভিযুক্ত। সংসারের চরম রিক্ত তিক্ত খেলাতে বহুবার খেই হারিয়ে ফেলি। সাহারাকে অনেকবার বুঝিয়েছি।তার আধুনিক বিজ্ঞানের কোন টেস্টটউব বেবি নিতে অস্বীকৃতি ভালো কথা, বাংলাদেশ থেকে একটি শিশুকে তো দত্তক নেয়া যায়৷ আমি একজন দত্তক সন্তান হয়ে গত বছর ইরানিয়ান- সুইডিশ মা-বাবা বিমান দূর্ঘটনায় মারা যাবার আগ পর্যন্ত তাদের দেখভাল করি। এই প্রাচুর্য আর সুখের মধ্যে থেকে অযথা অসুখ টেনে নিয়ে আসার কি দরকার? জীবনের অন্বেষা কি শেষ হবার ? তারচেয়ে এভাবেই চলে গেলে ক্ষতি কি? তার কথা, এক ভাই আরেক ভাইয়ের ছেলেকে আপন ভাবে না। চৌদ্দ গোষ্ঠীর কেউ পালকসন্তান নেয়নি। সে কেন অন্যের ঝামেলা নিজের ঘাড়ে নেবে ? নিজ গর্ভের সন্তান হলে সম্পদ আর অন্যের সন্তান হলে সমস্যা ! মনুষ্য সমাজের কি অমার্জনীয় অপরাধ! একটি সাঁকোর অভাবে পাড়ি দেয়া হয়নি সংসারের সারথি। সহসাই ভেঙে পড়ে বহুদিনের লালিত সুখস্বপ্ন। অন্য ভেলায় চড়ে বসে প্রিয়তমা সাহারা।
ছোট বেলায় পিতাকে হারালাম। পিতা হতে না পারার অভিযোগে প্রিয়তমা বান্ধবীকে হারালাম। এমন অমানিশার মাঝে দিকবিদিকশুন্য আমি হাহাকার করতে লাগলাম। চরম ভীতসন্ত্রস্ত ও বিকৃত-মস্তিস্কে নারীর একমাত্র বিকল্প সারাব হতে পারে। তাই বাঁচার অবলম্বন হিসাবে মদ'কেই আপন করে নিলাম।
(৩)
প্রতিদিন সূর্য ডোবার সাথে সাথে ব্রাকহোলম্যান নদীর পাড়ে গিয়ে বসি। রয়েল ন্যাশনাল পার্কের কূল ঘেঁষে এই পোতাশ্রয়ের শুনশান নীরবতা মনে হলো কষ্টের কথা বুঝবে। একা-একা বসে জ্যাক ড্যানিয়েল, ভডকা,বেলস যে মদ পাই তাই খাই। খেয়াল করে দেখলাম আমি যে কোণায় বসি, প্রতিদিন সেদিক দিয়ে এক মা ও মেয়ে আমাকে পাশ কেটে যায়৷ শ্যাম বর্ণের রমনীর মেদযুক্ত শরীরের ভাঁজ যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। সাথের মেয়েটির বয়স দেখে আমার ছেলেবেলার কথাই মনে হয়। ঠিক এই বয়সেই মা-বাবাকে হারাই। একদিন, দুদিন তিনদিনের দিন ইচ্ছে করে শ্যামা মেয়েকে জিজ্ঞেস করি,
- Have you got any lighter? তার স্পষ্ট উত্তর
- I Don't Smoke.. Why are you having drinks here?
- মানে কি Means what?
- পুলিশ দেখলে জেল-জরিমানা হয়ে যাবে। If police see you, Than you gonna get punishment.
আমার কথা শেষ হতে না হতেই সে চলে গেলো। আমি তার প্রস্থান চেয়ে দেখলাম। সত্যি তো নদীর পাশে মদ্যপ অবস্থায় দেখলে এদেশে পুলিশ থানা হাজতে নিয়ে যাবে। মদ খাওয়ার অনুমোদিত নিদিষ্ট জায়গা আছে। কি সিস্টেম ! মদ খেতে হ'লেও আইন মানতে হবে। অতিরিক্ত মদ খেয়ে ডাইভিং করলে জরিমানা। সব ভুলেই বসেছি।
পরদিন মদের বোতল একটি প্লাস্টিকের ডোঙা দিয়ে মুড়িয়ে একটু আগে গিয়ে বসে থাকি। আমি মনে মনে মেয়েটির আসার অপেক্ষায় ছিলাম। এবার তাকে দেখামাত্র বলতে লাগলাম,
- মনের দুঃখে মদ খাই। আগে মদ,সিগারেট কিছুই খেতাম না । মনের দুঃখগুলো বড়ই বেয়াড়া।
- মনের দুঃখ হ'লেই মদ খেতে হবে, খারাপ কাজ করতে হবে, অসৎ হতে হবে। এটা কেমন যুক্তি ?
আমার'তো মন খারাপ আছে। আমি মুক্ত বাতাস খাচ্ছি। আমার মতো বাতাস খেতে পারো না ?
- সবাই তো তোমার মতো সুস্থ চিন্তা করতে পারে না। আচ্ছা তোমার মন খারাপ কেন?
- তোমারটা আগে বলো, শুনি
- একটা ঝাঁকুনি খেয়ে বলতে লাগলাম, একটি অপূর্ণতা আমাকে অপবাদি করে সংসারত্যাগী করে। বারবার সবকিছু হারাই আর হেরে যাই। এটাই হলো আমার বিষাদের গল্প।
আমার কথা শেষ হবার সাথে সে কেঁদে চললো - আর বললো আমার ব্যাপারটি তোমারটার ঠিক বিপরীত। আমি ভালোবেসে বিয়ে করি আমার কলিগকে। সে আমার মতো সোমালিয়ান। এক বাচ্চা হবার পর তার বদলে যাওয়া দেখি ৷ আস্তে আস্তে আমার কাছে আসা বন্ধ করে দেয়। শেষে জানতে পারি সে আমি ছাড়াও আরো পাঁচটি বিয়ে করে। আরো পাঁচটি সন্তান আছে। সন্তান হবার পরপরই সব স্ত্রীর কাছ থেকে কেটে পরে। দু'জনে একসাথে বলে উঠলাম "অদ্ভুত"
দু'টি অদ্ভুত এক হলে জীবনের বোধ মনে হয় দর্শনীয় হতো একথা বলে সে চলে গেলো। আমি সেদিন আর মদ খাইনি। কান্না জড়িত কন্ঠে নিজেকে বলি নাহ, কোন আক্ষেপ নেই ! জীবনে আক্ষেপই মানুষকে অকারণে আহত করে। আজ একসপ্তাহ হলো সেই মেয়েটি আর আসেনি, সে কি অভিমান করলো? আমি কেন তার আসার অপেক্ষায় থাকি? তার জন্য আমার কিসের টান?
হঠাৎ করে পিছন থেকে কে বলেলো,
Hi, Are you my father? হেই, আর ইউ মাই ফাদার? তুমি কি আমার পিতা? মা মেয়ে দু'জন দাড়িয়ে আছে। আধো আধো চোখে মেয়েটার দিকে তাকালাম। আর তন্ময় হয়ে তার নিস্পাপ মুখের দিকে চেয়ে থাকলাম। শ্যামা ঝিনুকের উদর থেকে যেন মুক্তোর দানা। এত ঝকঝকে হাসি জীবনে আর দেখিনি। মনে হয় কত চেনা, কত পরিচিত এই মুখ। শরীরের লোমকূপ জেগে ওঠেলো। প্রতিদিন এভাবে কত যুদ্ধাহত শিশুপ্রাণ অকালেই ধুলোয় মিশে যাচ্ছে। সেই শিশু আমার মতো পিতৃহারা হয়। আমার মতো পিতার জন্য হাহাকার করে। আমার মতোই কেউ একজন আবার পিতা হবার জন্য চরমভাবে পাগলপারা হয়। সব শিশুকে কেন তবে পিতার দৃষ্টিতে দেখি না ! কেন একজন শিশুকে বঞ্চিত করি পিতার কোলের ওম থেকে!! পিতৃভক্তি মনের হীনমন্যতা দূর করতে পারে। সে যারই সন্তান হোক। যেকোনো শিশুর সুন্দর মুখশ্রী পরিশুদ্ধতা অর্জনের তন্ত্রমন্ত্র শেখায়।সৃজনশীলতার চর্চার অসীম সাহস যুগায়। এসব ভেবে ছলছল চোখ,জড়তা সম্বলিত কন্ঠে-
আমি মৃদুস্বরে বলি -Yes, I am your father.. এক মানব শিশুর কোমল শরীরে হাত বুলালাম। সেই সুশীতল পরশে পিতৃহীনের পিতৃত্বের পিয়াসী মন পরিশুদ্ধ ও পরিপুষ্ট হলো।আমি উশৃংখলতার শেকল ছিড়ে শৃঙ্খলাবদ্ধতায় আবদ্ধ হলাম। জন্মান্তরের চরম অস্থিরতার দোলাচাল শেষে স্বস্তির অনুভবে স্নিগ্ধ ও স্নাত হলাম। এক নিস্পাপ মানব শিশুর চোখে,আমার চিরজনমের হারিয়ে যাওয়া পিতাকে খুঁজে পেলাম।
কপিরাইট @রহমান লতিফ,
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২
ল বলেছেন: গুরু,
গল্পটা কেমন হলো জানাবেন।।।
অনেক সময় নিয়ে লিখেছি।।।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
এস সুলতানা বলেছেন: নব মিলিয়ে বেশ সুন্দর হয়েছে
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১
ল বলেছেন: এস সুলতানা,
এই প্রথম আপনার কোন মন্তব্য পেলাম।।
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।।
জীবন সুন্দর ও মধুর হোক।।।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: প্রথম ২টা পর্ব পড়েছি। পুরোটা শেষ করে মন্তব্য করবো।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০
ল বলেছেন: কৃতজ্ঞতা।।।কমরেড।।
আপনি পাশে থাকলে সাহসী হয়ে ওঠি।।।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমি মোল্লাবাড়ির ছেলে হিসাবে স্বভাবতই লাজুক স্বভাবের। বড় মোল্লা হওয়ার অভিপ্রায়ে স্হানীয় মাদ্রাসায় পড়তাম।----- এ লাইনটা পরেই মন্তব্য মাথায় এলো।
আমি কিন্তু পীর বাড়ির ছেলে। আমার দাদা কে সবাই 'পীর সাহেব' বলে ডাকতো। উনি অনেক সম্মানী মানুষ ছিলেন। ১৯৭১ সালে আমাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় - ধার্মিক , পরহেজগার মানুষ হয়েও 'ধর্ম যুদ্ধ' এ সাহায্য না করায়।
থাক সে প্রসঙ্গ।
এবার পুরো লেখাটা পড়লাম। অসম্ভব সুন্দর গল্প উপহার দিলেন এই পড়ন্ত বেলায়। ব্লগ আলোকিত হোক। শুভকামনা নিরন্তর।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭
ল বলেছেন: আপনার ছেলেবেলা সম্পর্কে একটু টু দিয়ে উথলা করে গেলেন - এটা কি হয়।।।
অন্যভাবে বলতেও পারতেন - নতুবা নিজের ডায়রি শেয়ার করতে পারেন।।।
" কথা প্রসঙ্গে বলি, আমি এক লোককে চিনি পরহেজগারি দেখায় , নামাজ পরে, কুরআন পড়ে - সাচ্চা ভদ্রলোক কিন্তু মিথ্যাকে এত সুন্দর করে বলতে পারে তা তার কাছে কেউ চাইলে শিখতে পারে।।।।
আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন
গল্পটিকে আলোকিত করলো আপনার মন্তব্য।।।। ভালোবাসা রইলো।।।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬
ইসিয়াক বলেছেন: আমি শুধু দেখে গেলাম ......।মনে হচ্ছে অসাধারণ হবে .......।
হঠাৎ কেন জানি মনটা উৎফুল্ল হয়ে উঠলো.......।ব্যস্ত,আসছি।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
ল বলেছেন: ""ভোরের পাখি ""
অনেক পরিশ্রম করেছি এই লেখার জন্য।।।।
মতামতের অপেক্ষায় রইলুম।।
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পিতা হারানোর মতো ব্যাথা পৃথিবীর কোনো কিছুর সাথে তুলনা চলে না। প্রতিটি সন্তান থাকুক দুধেভাতে পিতার কোলে। ল ভাই, বর্তমান বিশ্বের পিতৃহারা সন্তানদের ভাগ্যর জন্য শেষ বিচারের দিন the last judgement day স্বয়ং ঈশ্বরকেই এর জবাবদিহি দিতে হবে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
ল বলেছেন: এরকম একটা বিজ্ঞাপন ছিলো মনে হয়
"''আমার সন্তান যেন থাকে দুধে- ভাতে"""
কথাটা --
"''আমাদের সন্তান হলে দোষ হতো????
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার ছেলেবেলা সম্পর্কে একটু টু দিয়ে উথলা করে গেলেন - এটা কি হয়।।।
অন্যভাবে বলতেও পারতেন - নতুবা নিজের ডায়রি শেয়ার করতে পারেন।।।
এখানে কিন্তু লেখা শুরু করেছিলাম ! আপনার মন্তব্যও আছে !!
হেডস্যার এবং তাহাদের কথা
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬
ল বলেছেন: পরের কিস্তি দেন --কথা দিলাম দাম পরিশোধ করে দিবো .....
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
"''আমাদের সন্তান হলে দোষ হতো???? ইডিয়ট জাতি পড়ালেখা করে মূর্খ গর্ধভ হয়েছে। অবস্যই “আমাদের সন্তান যেনো থাকে দুধেভাতে” - এটিই সঠিক বাক্য।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
ল বলেছেন: ""আমাদের সন্তান যেনো থাকে দুধেভাতে”
"" আমাদের সন্তানেরা যেন মাতৃগর্ভের মতো নিরাপদ আবাসস্থল পায় এই পৃথিবীতে ''
""" আমাদের সন্তান যেন নির্মল আলো বাতাসে বেড়ে ওঠে ""'
কৃতজ্ঞতা রইলো।।
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: মোল্লা বাড়ির ছেলেরা লাজুক নয় ধার্মিক হয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২২
ল বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সাকিববিহীন ভারত কে হারানোর মতো খুশি হলাম....
""ধর্ম লাজুক হতে শেখায় - উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে শেখায়।।
** মোল্লা বাড়িতে ধর্মে বিশ্বাস থাকলে ধর্মীক নাও হতে পারে --বক ধর্মীক হতে পারে।।। নাস্তিক হতে পারে।।।
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
ইসিয়াক বলেছেন: আমি ও আমার একবোন আছে ,আমরা দুই ভাইবোন। খুব ছোটবেলাতে এক দারুণ অমানিশা ঝড়ে আমাদের জীবন তছনছ হয়ে যায়।রাতারাতি অর্থ বিত্ত সম্পদ হারিয়ে একাকী দুইভাইবোন রাস্তার ভিখারীতে পরিণত হলাম। বিত্তশালী আত্নীয় স্বজনরাও আমাদের অস্বীকার করে.......।আমরা দিকভ্রান্ত হই। কিন্তু আল্লাহর অসীম রহমতে এক দেবদূতের পরিবারে আমরা আশ্রয় পাই.......আপনার গল্প আমার অতীতকে ভীষণভাবে সামনে নিয়ে এলো....
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২
ল বলেছেন: কবি,
কষ্ট পেলাম ভীষন।।।
আপনার জীবন সুন্দর ও মধুর হোক।।।
১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: ওকে ঠিক আছে । আরেকবার পড়লাম।
আপনার গল্পটি অসাধারণ হয়েছে ।
আমার একটি প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত
=======================
জীবন যখন শুকায়ে যায়
করুণাধারায় এসো।
সকল মাধুরী লুকায়ে যায়,
গীতসুধারসে এসো।
কর্ম যখন প্রবল-আকার
গরজি উঠিয়া ঢাকে চারি ধার,
হৃদয়প্রান্তে হে জীবননাথ,
শান্তচরণে এসো।
আপনারে যবে করিয়া কৃপণ
কোণে পড়ে থাকে দীনহীন মন,
দুয়ার খুলিয়া হে উদার নাথ,
রাজ-সমারোহে এসো।
বাসনা যখন বিপুল ধুলায়
অন্ধ করিয়া অবোধে ভুলায়
ওহে পবিত্র, ওহে অনিদ্র,
রুদ্র আলোকে এসো।
রাগ: দেশ
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৮ চৈত্র, ১৩১৬
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1910
রচনাস্থান: বোলপুর
স্বরলিপিকার: সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভীমরাও শাস্ত্রী
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৪
ল বলেছেন: গানের জন্য ধন্যবাদ।।।
আমাদেরও একজন "" করুণাধারায়"" আপু আছে....
ভালো থাকুন।।।
১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ল ভাই,
মোল্লা বাড়ির সব ছেলেরা ধার্মীক হয় কিনা জানিনা। মোল্লা বাড়ির সব ছেলেরা লাজুক হয় কিনা তাও জানিনা। তবে মোল্লা বাড়ীর সব ছেলেরা কয়েদখানার কয়েদি হয় এটি জানি। এরা কয়েদির জীবন যাপন করে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩২
ল বলেছেন: এদের অনেকগুলো আবার
বে ও ডি এম এ এস হেইচ নাম্বার ওয়ান -- হয়।।।।
১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫
মা.হাসান বলেছেন: কেন সব শিশুকে তবে পিতার দৃষ্টিতে দেখি না ! কেন একজন শিশুকে বঞ্চিত করি পিতার কোলের ওম থেকে।
চোখ ভেজানো এক মানবতার গল্প, মানুষ হোক মানুষের জন্য । অনেক শ্রদ্ধা ল ভাই।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৯
ল বলেছেন: আপনার মতো তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন সমালোচক ও লেখকের কাছে ভালোলাগায় উজ্জীবিত হলাম।।।
ভালো থাকুন।।।
১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গল্প অনেক ভাল লাগল
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৯
ল বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আফুউ।।।।
১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ল ভাই,
আপনি যেই শ্রম ও সময় নিয়ে গল্পটি লিখেছেন তা পড়ে আমার ইচ্ছে করছে একই প্লটে আরো দশটি গল্প লিখি। আশা করি বুঝতে পারছেন আপনার লেখায় কি পরিমান অদম্য শক্তি ও আলো আছে যা আমাকে প্রজ্বলিত করছে। সত্যি সত্যি ল ভাই, লিখতে হবে - এবং এটি জরুরী। বাবা নিয়ে লেখা প্রচুর - প্রচুর লিখতে হবে। খুবই জরুরী।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২১
ল বলেছেন: আপনার একটি লেখার অপেক্ষায় রইলুম।।।
সত্যি উজ্জীবিত হবার মতো কথা।৷
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এত সাসপেন্স এত টুইস্ট আমি ইতিপূর্বে আপনার কোন গল্পে পাইনি। এখনো পর্যন্ত আপনার এই গল্পটি আমার কাছে সেরা লাগলো। ++++
দত্তক নামটি যথার্থই হয়েছে।
গল্পে আছে একটি মানবিক অনুভূতিও। সবমিলিয়ে চমৎকার লাগলো।
শুভকামনা প্রিয় লতিফ ভাইকে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৩
ল বলেছেন: সুলেখক চৌধুরী দাদা,
আপনার ভালোলাগায় পরিশ্রম সার্থক হলো।
লেখাটিতে প্রচলিত চিন্তা চেতনার বাইরে কিছু বলতে চেয়েছি, টুইস্ট ও সাসপেন্স আছো বলে মনে হওয়াতে ভালো লাগলো।।।
ধন্যবাদ নিরন্তর।।।
১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,
মানুষ মানুষের মাঝখানে যখন প্রাচীর গড়ে তোলা হয় তখন সম্পর্কগুলো ছোট ছোট ঢেলার মতোই এখানে ওখানে ছিটকে পড়ে থাকে। মানবিক সম্পর্কগুলো সার্বজনীনতা হারায়, বড্ড একপেশে হয়ে পড়ে। এর বাইরে যারা আসতে চায়, যারা বিশেষ কারন ছাড়াই আশাবাদী হওয়ার বিরল ক্ষমতা রাখে তেমন একজনার কাহিনীই এই গল্পে। । -
অন্যরকম লেখা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩
ল বলেছেন: প্রিয় কবি,
মানবিক সম্পর্কগুলো সার্বজনীনতা হারায় - হারিয়ে কেউ সুখটাকে কি পায়, নাকি সবিই নিষ্ফল,
কবিগুরু বলেছেন -
..........অক্ষমতা.........
এ যেন রে অভিশপ্ত প্রেতের পিপাসা —
সলিল রয়েছে প’ড়ে, শুধু দেহ নাই।
এ কেবল হৃদয়ের দুর্বল দুরাশা
সাধের বস্তুর মাঝে করে চাই – চাই।
দুটি চরণেতে বেঁধে ফুলের শৃঙ্খল
কেবল পথের পানে চেয়ে বসে থাকা!
মানবজীবন যেন সকলি নিষ্ফল —
বিশ্ব যেন চিত্রপট, আমি যেন আঁকা!
চিরদিন বুভুক্ষিত প্রাণহুতাশন
আমারে করিছে ছাই প্রতি পলে পলে,
মহত্ত্বের আশা শুধু ভারের মতন
আমারে ডুবায়ে দেয় জড়ত্বের তলে।
কোথা সংসারের কাজে জাগ্রত হৃদয়!
কোথা রে সাহস মোর অস্থিমজ্জাময়!
ভালো থাকুন।।।।
১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
ল বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।।
ভালো থাকুন দেশপ্রেম নিয়ে।।।
সমাজ সংসার নিয়ে সুখে শান্তিতে কাটুক আপনার আগামী।।।
১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রথমে মনে করেছিলাম গল্পের সাথে ছবিটা যায় না কিন্তু শেষ চমকে মনে হলো সুমালীয়ান এই বালিকার ছবিই মানান সই।
বাস্তবতা যে কি নির্মম তা সবাই বুঝে না। ++++++
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
ল বলেছেন: সরকার ভাই,
পাঠে ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।।।।
বাস্তবতা কঠিন আর কঠিনেরে ভালোবপসে এই পথ পাড়ি দিতে হয়।।
জীবন সুন্দর ও মধুর হোক।।।
২০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮
নীল আকাশ বলেছেন: আবার ফিরে এলাম। এবার পুরোটাই শেষ করলাম।
১। ১ম এবং ২য় গল্প বেশ ভালো লেগেছে।
২। ৩য় গল্প এসে কিছুটা অত্যাধিক সিনেমাটিক মনে হয়েছে।
৩। ৩য় গল্পটা স্বাভাবিক করার জন্য আপনি এককাজ করতে পারতেন। হুট করে বাচ্চাটাকে নদীর পানিতে পড়ে যাওয়া দেখাতে পারতেন, যেখানে নায়ক মদ্যপ অবস্থাও বাচ্চার মায়ায় ঝাপিয়ে পড়ে বাচ্চাটাকে উদ্ধার করে। তারপর বাকি যা দিয়েছেন মিলে যেত।
৪। প্রথম ছবি গল্পের শুরুতেই মানায় নি। ৩টা গল্পের জন্য ৩টা আলাদা ছবি দিতে পারতেন।
সবাই এই ভুলগুলির কথা বলেনি। আমি মনোযোগ দিয়ে পড়ি দেখেই মনে হয়েছে।
ধন্যবাদ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১
ল বলেছেন: নীল ভায়া,
গল্পের রাজপুত্র আপনাকে ধন্যবাদ।।
আমি জানি আপনি খুটিনাটি জিনিসগুলো খুব ভালো করে বুঝতে পারেন।।
শেষটাতে কয়েকটি মিটিং দেখাতে চেয়েছিলাম পরে ভাবলাম গল্পে মেদ হয়ে যাবেনা'তো - আপনার মন্তব্য পেয়ে মনে হলো আরেকটু যত্নশীল হওয়া উচিৎ ছিলো।।।
গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য কৃতজ্ঞতা ।।
২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
ল'ভাই ,
খুব সুন্দর সুখপাঠ্য একটি গল্প পড়লাম। রহিম মোল্লা দায়িত্ব
নিয়ে নতুন জীবনসঙ্গী পেলেন এবং সেইসাথে দত্তক।
রাতের অন্ধকারের পরেই দিনের আলো ,চমৎকার লাগলো
অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
ল বলেছেন: নীল আফু,
There is a light end of the tunnel.......
সুখ অথবা দুঃখ সবিই সাময়িক ঠিক আকাশের মেঘের মতো।।।
ভালো লাগায় আপ্লুত হলাম।।।
ভালো থাকুন।।।
২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা চমৎকার। তবে স্বল্প পরিচয়ের পরে একলাফে সম্পর্কে চলে যাওয়া একটু বেমানান। নায়ককে আরেকটু সময় দিলে পারতেন। নায়ক-নায়িকার বোঝাপড়া আরেকটু হওয়ার পরে এটা হলে আরো মানানসই হতো।
নায়কের মনোজগতের যে আলোড়ন ফুটিয়ে তুলেছেন, সেটা অনন্য।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
ল বলেছেন: মফিজ ভাই,
এরজন্য আপনাকে আমার কাছে আপন আপন মনে হয়।।।
সেইসাথে জিনিয়াস -- গল্পের যে জায়গায় আরেকটু কাজ করতে চেয়েছিলাম সেই জায়গাটাতে আপনার তীক্ষ্ণ চোখ পড়লো।
সর্তক হলাম।। ঋণী হলাম।।।
ভালোবাসা রইলো।।
২৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২
জুন বলেছেন: চমৎকার কাহিনী কিন্ত শেষটা একটু দ্রুত লয়ে হলো ল।
সব মিলিয়ে অনেক ভালোলাগা রইলো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
ল বলেছেন: ধন্যবাদ আপা।।।
আপনি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।।
ভালো থাকুন।।।
২৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সাকিববিহীন ভারত কে হারানোর মতো খুশি হলাম....
""ধর্ম লাজুক হতে শেখায় - উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে শেখায়।।
** মোল্লা বাড়িতে ধর্মে বিশ্বাস থাকলে ধর্মীক নাও হতে পারে --বক ধর্মীক হতে পারে।।। নাস্তিক হতে পারে।।।
আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
ল বলেছেন: নূর ভাই,
ফিরে এসে ভালোলাগা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।।।
গল্পটিকে মোটের উপর কেমন লাগলো, সেটা জানালে আরো ভালো লাগতো বৈকি।।।।
২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
এমজেডএফ বলেছেন: ল ভাই, আপনার সাম্প্রতিক লেখা পোস্টগুলো পড়েছি, সময়ের অভাবে মন্তব্য করা সম্ভব হয় নাই, দুঃখিত!
আপনার আজকের গল্পের নাম 'দত্তক' না দিয়ে 'হতভাগা' বা 'এতিম' দিলে মনে হয় আরো ভালো হতো । দেশ-কাল নির্বিশেষে এখানে সবাই হতভাগা ও এতিম। রহিম মোল্লা মা-বাপ হারা এতিম ও স্ত্রীহারা হতভাগা, মরুভূমি মা-বাবা ত্যাগ করে স্বেচ্ছায় এতিম ও সন্তানহীনা হতভাগী, আরেকজন পিতাহারা হতভাগ্য পূত্রের মা স্বামীহারা হতভাগী! যাইহোক গল্পের শেষে একসাথে তিনজনের হতভাগ্যতার সমাপ্তি ভালো হয়েছে।
আসলে পৃথিবীতে আমরা সবাই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে বা কোনো না কোনো সময়ে হতভাগা/হতভাগী। এটি প্রতিটা মানুষের জীবনেরই একটি অধ্যায়। শুধু পার্থক্য - কারো জীবনে এই অধ্যায়টি ছোট, কারো জীবনে অনেক বড়।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪
ল বলেছেন: ফারুক ভাই,
আপনার লাইক পেয়েছি কিন্তু মন্তব্য পাইনি - আসলে সময় একটা ব্যাপার সবসময় হয়ে ওঠে না এমনটা আমারও হয়। নেভার মাইন্ড.......
"""" আসলে পৃথিবীতে আমরা সবাই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে বা কোনো না কোনো সময়ে হতভাগা/হতভাগী। এটি প্রতিটা মানুষের জীবনেরই একটি অধ্যায়। শুধু পার্থক্য - কারো জীবনে এই অধ্যায়টি ছোট, কারো জীবনে অনেক বড়""""
- এই দুটো লাইন পড়ছি তো পড়ছি - কত নির্মোহ অ্যাকাডেমিক সত্য কথা এটা বলে বুঝানো যাবে না শুধু বলবো কথাটি ইতিহাস।।। আমার মনে গেঁথে গেছে।।। গল্পের চেয়ে ঢ়ের সুন্দর এই দুটি লাইন।।।
""হতভাগা"" এই প্লটে একটি গল্প লিখবো ইনশাআল্লাহ।।।।
ভালো থাকুন।।।।মাঝেমাঝে তবে যেন দেখা পাই।।।।
২৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এমজেডএফ ভাই ও ল ভাই
রাইট চেয়ে আবেদন করছি। “হতভাগা” নিয়ে আমিও একটি গল্প লিখতে আগ্রহী।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০১
ল বলেছেন: গুরুজী,
আপনার গল্পটিকে সেন্সর বোর্ড থেকে রিলিজ করার ঘোষণা দেয়া হলো -"" কোন কাটছাঁট ছাড়া ""
২৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বিভীষিকাময় পৃথিবী, রক্তারক্তি, খুনাখুনি, ক্ষমতা দখলের লড়াই আদি পৃথিবীর চলমানরুপ বর্তমানে নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে দল পাল্টায়, হত্যার ধরণ পাল্টায়, মাঝখানে ব্যবচ্ছেদ ঘটে মানুষের চিরকালীন স্বাভাবিক সম্পর্কের।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২১
ল বলেছেন: বাহ,
""সময়ের সাথে সাথে দল পাল্টায়, হত্যার ধরণ পাল্টায়, মাঝখানে ব্যবচ্ছেদ ঘটে মানুষের চিরকালীন স্বাভাবিক সম্পর্কের""
গহীনের কথা।।অনেক ভালো লাগলো।।।
২৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার গল্প। তবে শুরুতে কেনো যেনো অনুবাদ মনে হচ্ছিলো।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২২
ল বলেছেন: রকি ভাই,
সম করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।।
অনুবাদ মনে হওয়ার কারণ কি জানতে পারি কি??
২৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৮
সোহানী বলেছেন: এক কথায় চমৎকার...........
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৮
ল বলেছেন: আপা,
এমন মন্তব্য প্রেরণা দেয়।।। ভালোলাগার।।।
ভালো থাকুন।।।
৩০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: সব ভালো তার, শেষ ভালো যার! গল্পের শেষ পরিণতি খুব ভালো লাগলো! পুরো গল্পটাই চমৎকার ঢঙে বলেছেন।
মেয়েটির চেহারা আশ্চর্য মায়াময়। কোন দেশী মেয়ে হতে পারে তাই ভাবছি। আফ্রিকান মেয়েরা কালো, কিন্তু চুল আর ঠোট এমন হয় না। এমন মেয়েকে না ভালবেসে পারা যায় না।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ল বলেছেন: ধন্যবাদ আপা,
গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে উৎসাহিত হলাম।।
মেয়েটি একটি সোমালিয়ান বংশধর হিসেবে গল্প তুলে ধারা হ'য়েছে।।।
ভালো থাকুন।।
৩১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
শেহজাদী১৯ বলেছেন: দারুণ গল্প।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪৮
ল বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।।।
ভালো থাকুন।।।
৩২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: বিদেশী প্লট, বিদেশী নাম দেখে মনে হয়েছিল।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
ল বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।।।
৩৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: অবশেষে গল্পটা শেষ করতে পারলাম।
শেষে এসে আব্বুর কথা মনে পড়ে গেল। সেই ছোটবেলায় ক্লাস ফোরে থাকতে দেখেছিলাম।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩২
ল বলেছেন: অপেক্ষায় ছিলাম কখন ছোট ভাইটা গল্পের মূল্যায়ন করে ---
অবশেষে ভালো থাকো।।।।।।
ধন্যবাদ।।।
আমারও বাবাকে হারিয়েছি এক যুগ....
বাবারা ভালো থাকুক এপারে, ওপারে।।।
৩৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রথম দুটো চ্যাপ্টারকে ছোট ছোট কয়েকটা প্যারাগ্রাফে ভাগ করে দিলে পড়তে আরেকটু আরাম হত। পাঠক হিসেবে জাস্ট আমার অভিমতটা বললাম।
১৭ তম ভাল লাগা রইল।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪৬
ল বলেছেন: আরেকটু আরাম হত——- হা হা —ওকে বস ,,,
অজস্র ধন্যবাদ ও দোয়া সবসময় ।
ভালো থাকুন !!!
৩৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধ পাঠ
++++++
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪৪
ল বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ ও দোয়া সবসময় ।
ভালো থাকুন !!!
৩৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৬
কল্পদ্রুম বলেছেন: সুন্দর মানবিকতার গল্প।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪২
ল বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ ও দোয়া সবসময় ।
ভালো থাকুন !!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
Hi, Are you my father? -Yes, I am your father