![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধদের রাজ্যতে এক চোখা মানুষটি রাজা এবং আমি সেই রাজা।
সমাপ্তির সুচনা হয়ে গেছে,
চূড়ান্ত অধ্যায় শুরু
আমাদের পৃথিবী কি এখনও আছে
নাকি এটি কেবল অতীতের স্মৃতি?
চোখে এক ফোঁটা অশ্রু
ধীরে ধীরে মুখোশের নিচে সরে যায়
নীরবতায়, আত্মসমর্পণে।
এটাই কি শেষ? নাকি নবসুচনা ?
একটি...
আমার অধপতন, প্রতিটি সভ্যতার আদি কাহিনী
আমি ক্ষুধিত অন্ধকার, অমোঘ বিভীষিকা।
অজ্ঞাত প্রাচ্য আচার, নিষিদ্ধ শপথের বন্ধনে আবদ্ধ –
আমি নিঃসংশয় অমৃত বিষ, মৃত আত্মার প্রতিসম্ভব।
আমি আদি মূল, নির্বাক সৃষ্টির গহীন বীজ...
আমার অপেক্ষা সূর্যোদয়ের
শীতলতম সকালের,
আমি নিথর দাঁড়িয়ে আছি,
নগ্ন পায়ে,
ঝরন্ত বৃষ্টির মিছিলে।
তোমার কণ্ঠস্বর আর শুনছি না
আমি হারিয়ে যাচ্ছি, তুমি খুজছো না আমায়।
বিশ্বাস হারিয়ে যায় বিষণ্ণতায়,
মন্থর আমি নির্জনতায়,
সত্মাহীন আমি দাঁড়িয়ে...
আর নয় সাধনা
অমর হবার মন্ত্রে,
আর নয় কালো যাদু
অমরত্বের,
আমি বর্বরতার সেথ,
আমি শ্বরনিন্দা,
রক্তের স্মারকলিপি।
আমার বিদ্রোহী শপথ,
ঈশ্বরের বিরুদ্ধে,
উপাসনালয় ধ্বংসে,
মাসিহার সিংহাসনে রক্তের আগুন
কলুষিত ঈশ্বরের অসুর্যস্পর্শ্য নাম
পবিত্র স্রোতে বিষাক্ত সর্প।
আমি নই ক্রীতদাস ঈশ্বরের...
রক্ত মাখা আঙুলে লিখি,
অদৃশ্য অভিশাপের ইতিহাস।
অসহায় শিশুর বাঁচার আর্তনাদ,
নিরপরাধ মানুষের আকুতি,
নেশাময় বারুদের গন্ধ
ধর্মযুদ্ধ আর ভূরাজনৈতির ধ্বংসস্তূপে পিষ্ট মানবতা,
অস্তিত্বের সংকটে তোমার স্রষ্টা।
রকাক্ত সিংহাসন, মাসিহার অপেক্ষা,
কাপুরুষের প্রতিক্ষা, আবাবিল পাখির আশায়।
অভিশপ্ত দাবানলে জাগ্রত...
মন্ত্র মন্ত্র পড়ে দেখি,
শব্দে শব্দে গাঁথা জপে—
তালপাতার ছেঁড়া পাতায়,
জ্বলে ওঠে লাল এক শাপে।
ধূপের ধোঁয়ায় দৃষ্টি ঝাপসা,
মন্ত্রে মন্ত্রে কাঁপে রাত—
কিন্তু তুমি নেই কোনোখানে,
নেই কোন ছায়া , নেই কোন আবয়ব।
চন্দনের রেখা কপালে...
সময় শুরুর প্রথম প্রহরে
আমার হৃদয়ের গভীর ঘরে—
জানি চিরকালই,
তুমি আমার।
চলেও যাই যদি দূর কোনো গ্রহে,
এই বিশ্ব ছেড়ে অন্য মহাকাশে,
তবুও হারাবে না এই নিয়তি—
আমাদের বন্ধন, এটাই সত্যি।
নিয়তির এই অমোঘ ডাকে
এক জগৎ থেকে...
যেখানে সময় উড়ে যায়,
সেখানে রাতেই ভোরের জন্ম হয়,
অজানা তারার রাজপথ ধরে
তোমাকে খুঁজি, স্বপ্নের ঘোরে।
যেখানে গ্যালাক্সি নদীর মতো চলে,
অন্ধকারে শুধু ছায়ারা দুলে,
সেই শূন্যে, আমি ভালোবসি তোমাকে নিরন্তর—
নাম, সময়, দূরত্ব অতিক্রম করে।
তুমি...
হেটে চলি আমি শুন্য পায়ে শুন্য প্রান্তরে
ব্যার্থ রজনীতে,
মৃত জসনালয় সত্তা ডুবিয়ে,
স্বপ্নগুলকে কবর দিয়ে,
মানচিত্র আঁকছি তোমায় দাফন করে।
সব সমিকরনগুলোর ভুল সমাধান আমার হাতে।
তুমি হয়তো কাঁদছ কার চোখে...
তুমি কি জানো,
তোমার চোখের পাতায় ঝুলে থাকা চুপচাপ স্বপ্নগুলো
আমার হৃদয়ে আগুন জ্বালায়—
শুদ্ধ লেলিহান শিখা, যা শুধু ভালোবাসার।
তোমার হাসির ভেতরে আছে
একটা নীরব বিপ্লব,
যা গড়ে নিতে চায়,
ভেঙে দিতে চায় সব শেকল,
সব দুঃখের...
সময়…
আজও কাঁপে নিঃশব্দে,
তোমার ফিরে আসার সম্ভাবনায়।
আমি আছি…
নির্বাক প্রতীক্ষায়,
হারানো ভালোবাসার অন্বেষণে,
নিরব নুপুরের শব্দ খুঁজি বাতাসে।
ভালোবাসা…শুধু ভালোবাসাই
জানে ফিরিয়ে আনার গল্প,
আমার চোখে এখনো তুমি—
ছায়া নয়, বাস্তব আপসরী।
আমি লড়েছি…
ভাঙা দেয়াল, সন্দেহের কুয়াশা,
তবু ভেবেছি—একদিন
তুমি ফিরে...
যদি আকাশ ভেঙে পড়ে একদিন,
সূর্যের আলো হয়ে যায় বিলিন,
তবে কি ভাঙবে এই শেকল?
না, কখনই না,
এ বিশ্ব ছিল বরাবরই নির্দয়, বর্বর।
ক্যানো প্রার্থনায় মেলে না উত্তর,
ক্যানো বেদনায় নামে না ভালোবাসার বর্ষণ,
তুমি বলো—ঈশ্বর...
কিছুই ছিল না, কেবলই তুমি,
আলো হয়ে এলে অন্ধকার ভুমি।
ভাঙা হৃদয়ে, তুমি সুরের কলতান,
আশার আলো, শান্তির ধ্যান।
চাইনি কিছুই আর, চাইনি বেশী,
শুধু তোমার স্পর্শ,
নিঃশব্দ আকাশী।
বিশ্বাস করেছিলাম নিরবে, নিঃশব্দে,
তুমি ছাড়া আর কিছু ছিল...
তুমি যেন রোদের ভেতর নরম এক আলোর রেখা,
যেন ঝর্ণার কলতানে গাওয়া কোন এক প্রাচীন রেখা।
চোখে তোমার স্বপ্ন জ্বলে, ছায়া-ছোঁয়া আগুন,
চলার পথে পাথর ভাঙো, শোনাও সাহসের অগ্নিবিনা।
তোমার হাসি—একটা বিপ্লব, নরম অথচ...
আমার মনে অসুখ ধরেছে
নদীর ওপারে কাশফুল ফুটেছে,
কলাহলের মাঝে একলা আমি,
নিরজন রাতে স্বপ্নের আত্মহুতি,
স্মৃতির জোয়ের আবেগী আমি,
যেথায় শুধু তুমি আর আমি!
চোখে আমার ছানি পড়েছে,
অস্পষ্ট এখন সবই লাগে,
কোমাতে এখন স্বপ্ন,
যা দেখেছিলাম...
©somewhere in net ltd.