নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮০ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে আলিয়ার অসলোর উদ্দেশ্যে প্যারিস ত্যাগ করেন । পথে স্টকহল্ম থেকে তিনি তাদের গোয়েন্দা সংস্থার তিনজন সদস্যকে সাথে নিলেন। নোর্স্ক হাইড্রো কারখানাটির মহাপরিচালক ছিলেন ডক্টর এক্সেল উবার্ট । অসলোতে পৌছেই তিনি সত্বর উবার্টের সাথে সাক্ষাত করলেন । আলিয়ারের আগেই জার্মানরা উবার্টের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন । কিন্তু উবার্ট যখন জার্মানীদের কাছ থেকে জানতে চান যে কি উদ্দেশ্যে তাদের ভারী পানির প্রয়োজন তখন তাদের জবাবগুলি শুনে তার মন সন্দিগ্ধ হয়ে উঠেছিল । জার্মানরা আগে থেকে চেষ্টা করেও যা করায়ত্ত করতে পারে নি আলিয়ার তার বুদ্ধি ও কুশলতায় তা করায়ত্ত করতে সমর্থ হলেন । অর্থাৎ অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী নরওয়ের কাছে মজুদ ১৮৫ কিলোগ্রাম ভারী পানি ফরাসীদের হস্তগত হল । সে সময় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ তুমুল ভাবে চলছিল । ফরাসীরা নরওয়ে থেকে কিভাবে ভারী পানির পাত্রগুলো আনবেন সে চিন্তায় অস্থির কারণ জার্মান সৈন্যরা এই ভারী পানির পাত্রগুলোর দিকে কড়া দৃষ্টি রাখতেন। প্রথমে পরিকল্পনা করা হয় ভারী পানির ছাব্বিশটি পাত্র সাবমেরিন যোগে ফ্রান্সে আনা হবে । কিন্তু পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে আবার সরে আসলেন । অনেক কৌশলে জার্মানদের চোখে ধূলো দিয়ে আলিয়ার ও তার সহকর্মীরা ভারী পানি ভর্তি ছাব্বিশটি পাত্র বিমানে করে স্কটল্যান্ডের এডিনবারায় নিয়ে আসেন । সেখান থেকে এ পাত্রগুলোকে আবার লন্ডনে চালান করা হয় । ১৬ মার্চে আলিয়ার ও তার সহকর্মীরা প্যারিসে ফিরে এলেন । সংগে নিয়ে এলেন সে সময়কার পৃথিবীতে মজুদকৃত সমুদয় ভারী পানি । এই ভারী পানির পাত্রগুলোকে রাখা হল একটি কলেজের গুদামের মাটির নিচে । পাশাপাশি সেই গুদামের উপরে এমন একটি ছাদ নির্মান করা হল যা এক হাজার পাউন্ড বোমায়ও ক্ষতি করতে না পারে । ১৯৪০ সালের ১০ মে জার্মানী ফ্রান্স আক্রমন করে । জার্মানরা ফ্রান্সের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ক্ষিপ্রতার সাথে অগ্রসর হতে থাকে । ফরাসী সরকারের পতন আসন্ন । পরাজয় যখন খুবই সন্নিকটে সেই পরিস্থিতিতে ফরাসী সমরাস্ত্র মন্ত্রী দুত্রি নানা জামেলার মধ্যেও এই মহার্ঘ ভারী পানির কথা ভুলে যাননি । পরাজয়ের মুখোমুখি দাড়িয়েও তার মনে হল এ সেই পদার্থ যা একদিন অবস্থান্তরে ফরাসীদের মর্যাদা পুন:প্রতিষ্ঠা করতে পারবে । তিনি জুলিয়ো কুরিকে নির্দেশ দিলেন যে এগুলি যেন শত্রুর করায়ত্ব না হয় এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে । জোলিয় কুরি হলবানকে নির্দেশ দিলেন সেগুলি প্রথমে মধ্য ফান্সের মন্ট দোরে নিয়ে যেতে এবং সেখান থেকে পরে ক্লেয়ারমন্ট ফেরান্ডে নিয়ে ব্যাংক ডি ফ্রান্সের সিন্দুকে সুরক্ষিত রাখতে । ভারী পানির পাত্র , কিছু রেডিয়াম এবং মুল্যবান দলিলপত্র মোটর গাড়িতে তুলে হলবান সপরিবারে যাত্রা শুরু করলেন । পরের দিন তিনি রিয়ম শহরে গিয়ে পৌছলেন । সেখানে একটি ছোট্র বাসায় হলবান তার যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক করে নিলেন । তার আসল দরকার ছিল প্রবাহমান জলধারার । সেখানে জোলিয় কুরিসহ তার দলের অনেক বিজ্ঞানী উপস্থিত ছিলেন । সেখানেই তারা পারমানবিক বোমা তৈরির ছোটখাট গবেষনার কাজ চালাতে থাকেন । হঠাৎ একদিন আলিয়ার এসে জানালেন শত্রু খুব দ্রুতবেগে অগ্রসর হচ্ছে তাই ফরাসী সরকার নির্দেশ দিয়েছেন যে ভারী পানির পাত্রগুলোকে অন্য কোন দেশে সরিয়ে নিতে । একটি গাড়িতে করে ভারী পানির পাত্রগুলোকে বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় । বন্দরে পৌচ্ছে হলবান ও কাউরস্কি একটি সাদাসিধে ব্রিটিশ জাহাজ দেখতে পেলেন যার নাম ব্রুমপার্ক । এই জাহাজে চাকুরি করতেন সাফোকের বিশতম আর্লের সাথে । সাফোক জাহাজের সকল নাবিককে মদ্য পান করিয়ে মাতাল করে রেখেছিলেন । সেই সুযোগে ভারী পানির পাত্রগুলোকে জাহাজে ভর্তি করা হয় । তাদের মনে সন্দেহ হল যদি জাহাজটি বোমার আঘাতে ডুবে যায় তাহলে তাদের পরিকল্পনা সব ব্যস্তে যাবে । তাই তারা একটি কাঠের ভেলার সাথে পাত্রগুলোকে শক্ত করে বেধে জাহাজে উঠালেন । অবশেষে অনেক বোমার আসন্ন আঘাত এগিয়ে ব্রুমপার্ক কর্ণওয়ালের দক্ষিণ কিনারায় এসে নিরাপদে অবস্থান করল । সেখান থেকে তারা লন্ডনে পৌছলেন ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০
ডাঃ নাসির বলেছেন: ইরফান আহমেদ বর্ষণ আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
ইরাজ আহমেদ বলেছেন: সবগুলি পর্বই প্রিয়তে রাখলাম। +++
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১
ডাঃ নাসির বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৬
জাহিদ ১৯৯ বলেছেন: ++
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২
ডাঃ নাসির বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৩৭
বাংলার হাসান বলেছেন: তথ্য বহুল।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
ডাঃ নাসির বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১০
আখাউরা পূলা বলেছেন: +++++++++++++++
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
ডাঃ নাসির বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++