নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবেসে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয়তমার জন্য তাজতমহল বানিয়েছিলেন। সবাই তাজমহল বানাতে না পারলেও নিজেদের ভালবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে বেছে নেন অনেক মাধ্যম। তবে ভালবাসা প্রকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো প্রিয়জনকে প্রিয় নামে ডাকা । ফ্রান্সের সাবেক ফাস্টলেডি কার্লা ব্রুনি তার স্বামী নিকোলাস সারকোজিকে ডাকেন ‘ চৌ চৌ’ বলে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামামেরনের স্ত্রী সান্তা ‘আই লাভ ইউ,বেব’ বলেই স্বামীর প্রতি ভালবাসার বহি:প্রকাশ ঘটান। আর স্বামীকে আলিঙ্গন করে তোলা মার্কিন ফাস্টলেডি মিশেলের ছবি তো টুইটার মাত করে দিয়েছে। ওই ছবিটি সর্বোচ্চ সংখ্যক রি-টুইট করা হয়েছে । ভালবাসার সম্বোধনের প্রচলিত উদাহরণ হলো বেবি অ্যান্জেল কিংবা সুইট হার্ট। তবে ভালবাসার ভাষা সার্বজনীন হলেও এর সম্বোধন কিন্তু দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে । বিভিন্ন দেশে আদর করে তার প্রিয় মানুষটিকে কি নামে ডাকে আসুন তা জেনে নেই।
পেটিট চৌ বা (ছোট বাঁধাকপি)ঃ না না চোখ কপালে তুলবেন না । ফ্রান্সের মানুষ কিন্তু এই পেটিট চৌ বা ছোট বাঁধাকপি নামেই ডাকে তাদের প্রিয় মানুষটিকে। ফ্রান্সের মানুষের কাছে চৌ বা বাঁধাকপি মানে ‘ সুইট হার্ট’।
চুচুজিনহু বা (কুমড়ো)ঃ আমাদের দেশে ভালবেসে কাউকে কুমড়ো ডাকলে তিনি নিশ্চয়ই আপনাকে মারতে আসবেন। কিন্তু ব্রাজিল কিংবা পর্তুগালে কুমড়ো হল ভালবাসার মধুর সম্বোধন। তাই সেখানে যদি আপনি কাউকে চুচুজিনহু বা কুমড়ো বলে ডাকেন সে খুশিই হবে ।
তামাগো গাটা নো কাও বা ( ডিম চোখা)ঃ জাপানের মেয়েদের এ নামেই ডাকে তাদের ভালবাসার মানুষ । এটা সে দেশের মেয়েদের জন্য খুবই প্রশংসাসূচক সম্বোধন । জাপানে ডিমের আকৃতির মুখকে খুবই আকর্ষনীয় বলে মনে করা হয় । তাই জাপানী তরুনরা তাদের প্রিয়তমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠে, তামাগো গাটা নো কাও বা ডিম চোখা ।
তেরন ডে অ্যাজুকার বা ( চিনির টুকরো) ঃ স্পেনে তেরন ডে অ্যাজুকার সম্বোধনটি আসলে ইংরেজি হানির অনুরুপ । স্প্যানিশ ভাষায় তেরন ডে অ্যাজুকার মানে হল চিনির ঠুকরো। বস্তুত মিষ্টি জাতীয় খাবারের নামে প্রিয়জনকে ডাকা অনেক দেশেই জনপ্রিয়।
বুয়াহ হাতিকু বা (হৃদয়ের ফল)ঃ ইন্দোনেশিয়ার প্রেমের কবিতা ও গানে আমার হৃদয়ের ফল বা বুয়াহ হাতিকু কথাটি বহুল ব্যবহৃত । তবে বর্তমানে দেশটিতে ছোট বাচ্চাদের আদর করে এ সম্বোধন করা হয় ।
মা পুচি বা (আমার মাচি )ঃমাছি এ সম্বোধন শুনে অনেকেই ভুরু কুচকাতে পারেন। কিন্তু এটা ফ্রান্সের প্রিয় মানুষকে ভালবেসে ডাকার মধুর শব্দ।
বাচ্চা হাতি ঃ বাংলাদেশে কাউকে বাচ্চা হাতি বললে তিনি মনে করবেন তাকে মোটা বলে অপমান করা হচ্ছে। কিন্তু থাইল্যান্ডে গেলে আপনি দেখতে পাবেন মুদ্রার অপর পিঠ। ‘ শ্বেত হস্তীর’ দেশ থাইল্যান্ডে হাতী খুবই জনপ্রিয় প্রানী। দেশটিতে হাতিকে মনে করা হয় সৌভাগ্যের প্রতীক । তাই থাইল্যান্ডে ছোটবড় সবাইকে আদর করে ‘ছোট হাতি’ডাকা হয় ।
ডুবন্ত মাছ , পড়ন্ত হাঁস ঃ চীনে প্রচরিত রূপকথা থেকে এ সম্বোধনের উৎপত্তি। কথিত আছে এক চীনা রাজকুমারী এত সুন্দরী ছিরেন যে , সে যখন পুকুরের কোন মাছের দিকে তাকাত , মাছ সাঁতার কাটতে ভুলে যেত । এভাবে মাছটি একসময় ডুবে যেত। চীনে এমন আরেক সুন্দরী নারী ছিলেন , যাকে দেখে হাঁস ডানা ঝাপটাতে ভুলে গিয়ে এসময় মাটিতে পড়ে যেত । এ দুটি কাহিনী থেকেই চীনে‘ ডুবন্ত মাছ , পড়ন্ত হাঁস’ কথাটি এসেছে । তাই বর্তমানে কোনো চাইনিজ তরুণ যদি কোনো তরুণীর প্রেমে পড়ে, তাহলে সে প্রেমিকায় প্রশংসায় শুধু এ চারটি শব্দই বলে ।
ক্ষুদে পায়রা ঃ রাশিয়ার বিখ্যাত কবি পুসকিন তার একটি বিখ্যাত কবিতায় তার ন্যানিকে ক্ষুদে পায়রা বলে অভিহিত করে ছিলেন। পুসকিন যখন ছোট ছিলেন তখন ওই ণ্যানিও তাকে ক্ষুদে পায়রা ডাকতেন। ভালবাসার মধুর এ সম্বোধনটি রাশিয়ায় এখন বেশ জনপ্রিয় । ( যুগান্তর, গুগল নউজ)
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪১
বেকার যুবক বলেছেন: ডুবন্ত মাছ, পড়ন্ত হাঁস বেশি ভালো লাগল।
মাছ পানিতে ডুবছে, দৃশ্যটা কল্পনা করতেই ভালো লাগছে।