নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হোমিওপ্যাথিক বিজ্ঞান ও তার প্রয়োগকলা

হ্যানিম্যান

ডাঃ নাসির

সত্য ও সু্ন্দরের সন্ধানে....

ডাঃ নাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটম বোমা আবিস্কারের ইতিহাস ( পর্ব-২)

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

১৯৩৮ সালে জার্মানীর অটোহান এবং স্ট্র্যাসম্যান নামে দুইজন রসায়মবিদ ইউরিনিয়াম-২৩৫ মৌলের পরমাণু ভাঙ্গতে সফল হন। ফলে সারা বিশ্বে হৈচৈ পড়ে যায়। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৮ সালের এক অধিবেশনে বোর পরমাণুর ভাঙ্গন ও তার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে ঘোষণা করলেন । বোরের ভাষণ শেষ হওয়ার আগেই শ্রোতাদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন দ্রুত সভাকক্ষ ত্যাগ করে টেলিফোনে ব্যাপারটা স্ব স্ব গবেষণাগারে জানিয়ে দিলেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াশিঙটনের কারনেজ ইনস্টিটউশন এবং কলম্বিয়া বিম্ববিদ্যায়ের বিজ্ঞানীরা হান-স্ট্র্যাসমেন আবিষ্কারকে স্বীকৃতি জানালেন। কারণ পারমাণবিক বোমা নির্মাণের চাবিকাঠি নিহিত ছিল এই আবিষ্কারটিতে। নির্ধারিত কোন কোন ভারী পরমাণুর একের পর এক পর্যায়ক্রমিক বিভাজন প্রক্রিয়াকে সমপ্রতিক্রিয়াধারা বলা হয়। সহজে বিদারণীয় মৌল দ্বারা বন্দীকৃত এই নিউট্রিন পরবর্তী পর্যায়ের বিভাজন ঘটায় এবং এ ভাবেই ধারাটা চলতে থাকে। পারমাণবিক বোমায় এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। পারমাণবিক শক্তি বা অস্ত্র উৎপাদনের জন্য দরকার এমন একটি প্রক্রিয়ার সূচনা করা যাকে বলা হয় সমপ্রতিক্রিয়াধারা। ইউরিনিয়াম নিউক্লিয়াস মোটামুটি সমান দু’ভাগে বিভক্ত হলে যদি সেই সাথে এক বা একাধিক নিউট্রন নির্গত হয় তাহলেই শুধু সমপ্রতিক্রিয়াধারা ঘটানো সম্ভব। ১৯৩৯ খ্রীষ্টাব্দে জোলিয়ো কুরি ও তার সহযোগিরা দেখালেন যে ইউরিনিয়াম নিউক্লিয়াস ভাঙ্গলে নিউট্রন বের হয়ে আসে। এ আবিষ্কারের মারাত্নক সম্ভাবনা ও পরিণতি সম্বন্ধে ঝিলার্ড ও ফার্মী সচেতন ছিলেন। যার ফলে ঝিলার্ড ও ফার্মী আগে থেকে ইউরিনিয়াম ভাঙ্গার রহস্য প্রকাশ করেন নি এবং জোলিয়ো ও কুরিকে তা প্রকাশ করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু জোলিয়ো ও কুরি বুঝলেন উল্টো । তারা মনে করলেন ঝিলার্ড ও ফার্মী তাদের আগে তা প্রকাশ করে করবেন। সমসাময়িক সময়ে সমপ্রতিক্রিয়াধারা অন্বেষনে ফরাসীরা অন্যদের তুলনায় বেশ অনেকখানি এগিয়ে ছিল। তাই জোলিয়ো ও কুরি গোপনীয়তার কথা প্রত্যাখান করলেন। ১৯৩৯ সালের ১৫ এপ্রিল ফিজিক্যাল রিভউ পত্রিকায় প্রকাশিত হল ঝিলার্ড ও তার সহকর্মীদের প্রবন্ধ। এক সপ্তাহ পরে ’ইউরিনিয়াম নিউক্লিয়াস বিভাজনে নির্গত নিট্রনের সংখ্যা ’ শিরোনামে ফরাসী বিজ্ঞানীদের একটি নতুন প্রবন্ধ ’দি নেচার’ প্রত্রিকায় প্রকাশিত হল। এ প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল নিউট্রনের গড় সংখ্যা ৩ থেকে ৪ এর মধ্যে । ফরাসী বিজ্ঞানীরা দ্রুত ৫টি পেটেন্ট গ্রহণ করে তাদের অগ্রগামী অবস্থার পরিচয় দিলেন । ইউরিনিয়াম ও মডারেটর কি অনুপাতে সন্নিবিষ্ট করতে হবে এবং সন্নিবেশে তাদের সমসত্ব ও অসমসত্ব বিন্যাস এ পেনেন্টে উল্লেখ ছিল । বিভাজনে নির্গত নিউট্রন মন্দনের জন্য মডেরেটর হিসাবে বেরিলিয়াম , গ্রাফাইট , পানি এবং ভারী পানি ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সমপ্রতিক্রিয়াধারাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় আলোচিত হয়েছিল এবং উৎপন্ন তাপকে কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সে সম্বন্ধে কয়েকটি পদ্ধতিও এ পেটেন্টে বর্নিত হয়েছিল । ইউরিনিয়াম-২৩৫ এর মত সহজে বিদারণীয় পদার্থ যা বিস্ফোরণমূখী হয়ে দ্রূত নিউট্রন সমপ্রতিক্রিয়াধারার সৃষ্টি করে সে কৌশলকে পারমাণবিক বোমা বলে । -

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৩

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম .....জানলাম।

২| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৬

রাশফি বলেছেন: ভালো লাগলো ,
ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.