নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হোমিওপ্যাথিক বিজ্ঞান ও তার প্রয়োগকলা

হ্যানিম্যান

ডাঃ নাসির

সত্য ও সু্ন্দরের সন্ধানে....

ডাঃ নাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটম বোমা আবিষ্কারের ইতিহাস(পর্ব-১)

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫০

বিজ্ঞানের ইতিহাসে আলবার্ট আইনস্টাইনের নাম অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে। ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে তিনি মানুষের চিন্তার জগতে কয়েকটি বৈপ্লবিক ধারনার সৃষ্টি করেছিলেন। এই ধারণাগুলির মধ্যে ভর ও শক্তির বিনিময়তা ছিল অন্যতম । তার সেই বিখ্যাত সমীকরণটি হল- E=mc2। এখানে E দ্বারা শক্তি m দ্বারা ভর এবং c দ্বারা প্রতি সেকেন্ডে আলোর বেগকে বোঝান হয়েছে। অর্থাৎ পদার্থের ভরকে আলোর বেগের বর্গ দ্বারা গুণ করলে যে শক্তি পাওয়া যায় সেটাই হল ঐ পরিমাণ পদার্থের আবদ্ধ শক্তি। আমরা জানি যে আলোর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কোটি মিটার অর্থাৎ ১৮৬০০০ মাইল । সুতরাং খুব অল্প পরিমাণ পদার্থকেও যদি ৩০ কোটির বর্গ দিয়ে গুণ করা হয় তাহলে যে বিপুল পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে সেটার হিসাব বের করা খুব কঠিন নয়। তখন তার মর্ম না বুঝলে ও পরবর্তিতে তার মর্ম যথাযথভাবে বুঝেছে মানুষ। দুই হাজার বছর আগে গ্রীক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস পরমাণুর ধারণা প্রবর্তন করেছিলেন । atom ইংরেজি শব্দ যার প্রতি শব্দ পরমাণু । যাকে আর ভাগ করা যায় না। ডেমোক্রিটাসের মতে ‘ পৃথিবীতে একমাত্র বিদ্যমান পদার্থ হল পরমাণু ও শুণ্যস্থান; আর বাকি সব কিছু অভিমত মাত্র । উনবিংশ শতাব্দীতে জন ডালটন পদার্থের পারমাণবিক গঠনের ধারণাকে পুনরুজ্জীবিত করেন । ডালটনের মতবাদের অনেক সমালোচনা হওয়ার পর বেকারেল, পিয়ারে কুরি, ও মেরি কুরি বিজ্ঞানী কতৃক তেজষ্ক্রিয় মৌলের আবিষ্কার , থমসন কতৃক ইলেকট্রনের আবিষ্কার এবং ইউরেনিয়াম , রেডিয়াম, ও থোরিয়াম থেকে নির্গত তেজষ্ক্রিয় রশ্নির অনুশীলন করার পর সন্দেহের কোন অবকাশ রইল না যে পদার্থের গঠন সত্যিই পারমানবিক । পরবর্তিতে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড পরমাণুর একটি মডেল আবিষ্কার করেন । যেখানে তিনি বলেছেন পরমাণুর একটি কেন্দ্র আছে যার নাম নিউক্লিয়াস । নিউক্লিয়াসে থাকে ধনাত্নক আধান বিশিষ্ট প্রোটন, এবং চার্জ নিরপেক্ষ নিউট্রন । আর নিউক্লিয়াসের বাইরে বৃত্তাকার কক্ষ পথে থাকে ঋণাত্নক আহিত ইলেকট্রন । ইলেকট্রনগুলো সর্বদা ঘূর্ণায়মান । পরমাণুর মোট ভরের শতকরা ৯৯.৯৭৫ অংশ অবস্থিত এই নিউক্লিয়াসে । এর গড় ঘনত্ব প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে প্রায় ৩x১০০০০০০০০০০০০ কিলোগ্রাম । পরমাণুর উপাদান প্রোটন , নিউট্রন ও ইলেকট্রনের মোট ভরের তুলনায় পরমানুটির ভর যতটা কম তাকেই শক্তির একক কে E=mc2 প্রকাশ করলে আমরা পরমাণুর সংযোগী শক্তির সন্ধান পাই ।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিজ্ঞানের ছাত্র নই। তবে আগ্রহ আছে। মন্তব্য আর কি করবো! যা লিখবেন তাই ঠিক ভেবে পড়ে যাবো। ধন্যবাদ । চালিয়ে যান।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

ডাঃ নাসির বলেছেন: যা লিখেছি তা সঠিক লিখার চেষ্টা করেছি । পড়লে ভাল লাগবে আশাকরি। ধন্যবাদ

২| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০৮

সায়েদ রিয়াদ বলেছেন: অনেক কিছু সহজে মাথায় ঢুকেনা তারপরো পোস্ট প্রিয় তে রাখলাম ।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.