নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হোমিওপ্যাথিক বিজ্ঞান ও তার প্রয়োগকলা

হ্যানিম্যান

ডাঃ নাসির

সত্য ও সু্ন্দরের সন্ধানে....

ডাঃ নাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি জানেন আপনি কি পরিমান বিষ খাচ্ছেন।( ১ম পর্ব)

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

খাদ্যে রং এবং অপমিশ্র বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মানুষের শরীরে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছে। এ সব খাদ্যে মিশানো রাসায়নিক পদার্থের অধিকাংশ ভয়ানক বিপদজনক। কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্য বা জীবন এবং সামগ্রিকভাবে পরিবেশের কথা চিন্তা না করেই এক শ্রণির অসাধু লোভী ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা উপার্জনের লোভে খাদ্যে রাসায়নিক টক্সিক পদার্থের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করেই চলছেন। মানুষ নামের কিছু পশুর কর্মকান্ড নিচে উল্লেখ করা হলঃ

মেটানিল ইয়োলোঃ মেটানিল ইয়োলো হচ্ছে কমলা বা কিশোরী বর্ণের অ-অনুমোদিত কোল্টার রং। অতি উচ্চ ক্যান্সারকারক ক্রিয়ার জন্যই খাদ্যের রং হিসাবে মেটালিন ইয়োলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আইনকে তোয়াক্কা না করে এখনো বিভিন্ন খাদ্য যেমন- গুড়, জিলাপি ,কমলা ও হলুদ রং এর মিষ্টি, আইসক্রিম, বেভারেজ ও ডাল প্রভৃতি খাদ্যে মেটানিল ইয়োলো নিয়মিতভাবে ব্যবহার করছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

রোডামিন-বিঃ রোডামিন –বি এক ধরণের নিষিদ্ধ গোলাপী বর্ণের কোলটার রং। বিভিন্ন মিষ্টি , আইসক্রিম এবং বেভারেজ এ এই ক্ষতিকারক রং বহুলভাবে ব্যবহার হচ্ছে। যা মানুষের চর্ম রোগসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করে।

অ্যারাকোলিনঃ পানের মশলা এবং সুপারিতে যে রং দেওয়া হয় তাতে অ্যারাকোলিন নামক অতি বিপদজনক রাসায়নিক বস্তু থাকে যা কারসিনোজেন হিসাবে কাজ করে।

অ্যালুমিনিয়াম পাতঃ অ্যালুমিনিয়াম একটি টক্সিক ধাতু। কিন্তু বর্তমানে কিছু অসৎ ব্যবসায়ি সন্দেশ ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় বস্তুর ঔজ্জ্বল্যকরণে অ্যালোমিনিয়ামের অতি পাতলা শ্বেত ধুসর ফয়েল ব্যবহার করা হয়।

স্যাকারিনঃ স্যাকারিন একটি পেট্রোলিয়ামজাত অতি মিষ্টি রাসায়নিক পদার্থ, যার অতি ব্যবহারে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে চিনির বিকল্প হিসেবে দই, মিষ্টি, আইসক্রিম, বেভারেজ, তৈ্রি করতে এবং পান মশলায় মাত্রাধিক হিসাবে স্যাকারিন ব্যবহার হচ্ছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৪

মো: আবু জাফর বলেছেন: ফলমুলে ফরমালিনের অপব্যবহার : স্বাস্থ্যঝুকি ও এর প্রভাব

ফরম্যালডিহাইড বা মিথান্যাল গ্যাসের ৪০% জলীয় দ্রবনকে ফরমালিন বলা হয় । ফরম্যালডিহাইড (H-CHO) এক ধরনের কার্বনাইল যৌগ । এটি একটি অতিকার্যকর জীবানুনাশক । প্রায় ৫০০ ডিগ্রি সে, তাপমাত্রায় উত্তপ্ত সিলভার অথবা কপার প্রভাবকের উপর দিয়ে মিথানল ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয় ।ফরম্যালডিহাইড সাধারন তাপমাত্রায় একটি বর্ণহীন গ্যাস এবং একটি দাহ্য পদার্খ ।

ফরমালিনের বৈধ ব্যবহারঃ-

পৃখিবীব্যাপী ফরমালিনের ব্যাপক ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায় । যুক্তরাস্ট্রের চ্যাম্পিয়ন এনসাইক্লোপিডিয়া এর তথ্যমতে ফরমালিনের ব্যাবহারের ক্ষেত্রগুলো নিম্নরুপঃ-
১. বিশ্বের উৎপাদিত অর্ধেকেরও বেশি ফরম্যালডিহাইড ব্যাবহৃত হয় কাঠ এবং কনস্ট্রাকশন কারখানায় ।
২. ফেন্টাইরাইথ্রিল, হেক্সামিথাইল ইনটিট্রামাইন, বিউটানিডিয়ল তৈরীতে ।
৩. পোশাক শিল্পে, লোশন, সাবান, শ্যাম্পুতে ।
৪. মৃত দেহ সংরক্ষনে ।
৫. পার্টিক্যাল বোর্ড, প্লাইউড, ফাইবার বোর্ড, আঠা, কাগজের কোটিং, স্থায়ী প্রেস ফ্রেব্রিক তৈরীতে ।
৬. পশুপাখির খামারে জীবানু নাশক হিসেবে ।
৭. মাছের ছত্রাক এ প্রোটোযোয়া রোগের চিকিৎসায় ।
৮. রাসায়নিক শিল্পে ব্যাকেলাইট নামক প্লাস্টিক ও ফরমিকা তৈরীতে ।
৯. আয়না প্রস্তুতে বিজারক হিসেবে ও রন্জক দ্রব্যের কারখানায় ।
১০. মৎস ও চিংড়ি হ্যাচারীতে ।
১১. এছাড়াও ল্যবরেটারীতে প্রিজরভেটিব হিসেবে ।

মানব দেহে ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাবঃ-

ইকোসিস্টেম ও জনস্বাস্থ্যের জন্যে ফরমালিন সবচাইতে ক্ষতিকর যৌগ গুলির অন্যতম । ফরমালিন নিয়ে যারা কাজ করে তাদের নাকের প্রদাহ, শ্বাসকস্ট চর্ম প্রদাহ, অ্যাজমা ইত্যাদি উপসর্গ দেখাদেয় । দীর্যমেয়াদে ফরমালিনের সংস্পর্শে কাজ করলে রক্তের লি ম্প্রোসাইট পরিবর্তন, নাশিকা টিস্যুতে মিউটেটিভ প্রভাব ঘটতে পারে ।তাৎক্ষনিক সমস্যা দেখা না দিলেও যারা দীর্যমেয়াদে ফরমালিনের সংস্পর্শে আসলে মারাত্নক স্থায়ী সমস্যা দেখা দেয় । ১৯৭৮ সালে (EPA)ফরমালিনের দীর্যমেয়াদে সংস্পশ মানবদেহের জন্যে সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃস্টিকারী হিসেবে শ্রেনীবিন্যাশ করেছেন । National Cancer Institute, USA এর একাধিক জরিপে দেখা গেছে যারা দীর্যমেয়াদে ফরমালিনের সংস্পর্শে কাজ করেন তাদের ন্যাজল ক্যান্সার, ন্যাসোফোরিন্জিয়াল ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, ব্রেন ক্যান্সার ও ফুসফুস ক্যান্সার বেশি হয় । ফরমালিন DNA পরিবর্তনের কারন হিসেবে চিহ্নিত, যা আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্যে একটি বিরাট হুমকি ।আর মেয়েদের ক্ষেত্রে গভস্ত ভ্রুনের অসাভাবিকতা, গর্ভপাত, মিসকারেজ, সহ প্রসাব জনিত জটিলতার সৃস্টি হয় । তাই গর্ভবতি মহিলাদের ফরমালিন নিয়ে কাজ করা নিশেধ ।

উল্লেখিত স্বাস্থ্য ঝুকির পাশাপাশি ফরমালিন মিশ্রিত খাদ্য গ্রহনের কারনে অকাল মৃত্যু, কিডনি সহ নানান অঙ্গহানী ঘটতে পারে ।

বিডি এগ্রো মার্কেট

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

বেগুনী ক্রেয়ন বলেছেন: প্রতিকার বলেন......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.