নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
০১।
আজ জিভে জল আসে এমন ছবি দিলাম। ছুটির দিনে দুপুর বেলা মাঝে মাঝে কিছু খেতে ইচ্ছে করে। মানে এমনি....
কিছু না থাকলে তেতুল নিয়ে ভর্তা বানাই। সাথে দিই রসুন, কাঁচা মরিচ আর লবন সাথে সরিষা তেল। মাখিয়ে একা একাই খাই। সিলেটের মানুষ আমরা যে কোনো টক ভর্তায় রসুন ইউজ করি। ময়মনসিংহের মানুষ পিঁয়াজ ইউজ করে। পিঁয়াজ দেয়া ভর্তা আমি খাই না। আর এরা রসুন মাখানো ভর্তা খায় না।
০২। তেতুল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেল কমায় । যাদের ফ্যাটি লিভার তাদের লিভারের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
০৩। অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও তেতুল সাহায্য করে। তেতুল খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে ফাইবার আছে বিধায় অন্ত্রের গতিবিধি সহজ করে দেয়। কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তেতুল খাওয়া যেতে পারে। তেতুল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
০৪। এবার বাড়ী গিয়েছিলাম অনেক কাশি নিয়ে।যাওয়ার পর আম্মা পুরনো তেতুল, রসুন সরিষার তেল খেতে দিয়েছিলেন। এতে নাকি কাশি কমে। হতেও পারে। নিয়মিত খাইনি তাই কমে কিনা জানি না। তবে যাদের গ্যাসের সমস্যা তাদের জন্য ক্ষতি হয় তেতুল খেলে।
০৫। তেতুল নাকি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে আর জন্ডিস রোগের জন্য উপকারী।
(এসব জানতে নেটের সাহায্য নিয়েছি।
০৬। অপকারিতাও আছে, বেশী খেলে ল প্রেসার হতে পারে। গ্লকোজের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে তেতুল। গপগপ করে খেলে দাঁতও নষ্ট হতে পারে। জীবনে কত তেতুল খাই কিন্তু চর্বি তো কমে না বাহে !
০৭।
তেতুল পাতা তেতুল পাতা
তেতুল ভারি টক
তোমার সাথে ভাব করিতে
আমার বড় শখ।
(ছোটোবেলা এসব কবিতা শুনতাম আর বলতাম)
বন্ধু তুমি নিম নিষিন্দা হতে যাও কেন
তেতুল হয়ে যাও,
তিতের চেয়ে টক ভালো,
তবুও জীবনের স্বাদ পাবো খুঁজে।
তুমি উচ্ছে হও, করল্লা হও
একদিনও তেতুল হলে না!
তোমাকে বাটিতে রেখে কাঁচা লংকায় কচলিয়ে কচলিয়ে
তাতে কিছু লবণ দিয়ে চটকাতে চাই।
বেশী বেড়েছো তাই না, কেবল হয়ে যাও তিতে পাটশাক
হয়ে যাও সফেদা অথবা বাঙি
অতি তিতে আর অতি মিটে দিয়ে আমায় বিতৃষ্ণা দাও শুধু
এই... তুমি কী তেতুল হতে পারো না।
ধরো আমি চিরল চিরল পাতা তেতুল গাছ
আমার মনের শাখে তুমি তেতুল হয়ে আছো ঝুলে
যখনই তিতে দিয়ে আমায় পুড়াতে চাও
আমি তুফান তুলবো শাখে শাখে
এক ঝাঁকিতে ধুলায় লুটাতে চাই তোমায়।
তুমি কেন বাপু উচ্ছে হও করলা হও
তুমি তেতুল হতে পারো
কেন বলো তুমি বন্দুকের গুলি, বুকে বিঁধাও কথার গুলি
তুমি তেতুল হয়ে এসো কাছে
তোমায় চটকিয়ে আমি শান্তি পেতে চাই।
০৮। টক খেতে যে ইচ্ছে আমার, কিনে দেবে আমায়,
বন্ধু তুমি তেতুল হয়ে ঝরবে স্বাদেরনামায়;
বৃক্ষ হতে পেড়ে দেবে,তেতুল ঝুড়ি ভরে,
লবণ দিয়ে খাবো বন্ধু, ইচ্ছে মনের ঘরে।
তেতুল খাবো, দাও না তেতুল বাজার থেকে কিনে
এই উষ্ণতায় ভাল্লাগে না, টকের স্বাধ বিনে।
কাঁচা লংকা দেব সাথে, আর রসুনের কোয়া,
মনটা আমার গেল বন্ধু টকের মাঝে খোয়া।
০৯। টকের স্বাদে তুমিতো নেই, সঙ্গে দেব চিনি,
ইচ্ছে করছে টকের দামে, স্বাদটারে ঠিক কিনি।
দেবে নাকি তেতুল এনে, ডাকবো তোমায় প্রিয়,
তেতুল এনো, সঙ্গে আমায়, এক গুচ্ছ গোলাপ দিয়ো।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই। তবে সব ছেলেদের আসে না মনে হয়। কিছু মেয়েরাও টক পছন্দ করে না আজ জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া জি
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: নাহ আমার জিহবায় পানি আসেনি।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছেলে মানুষের না আসাই ভালো। ভাবীরে দেখান দেখবেন অটো পানি চলে আসছে জিভে।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
আজ জিভে জল আসে এমন ছবি দিলাম।
আসেনি তো!!!
শুধু তেতুল টক পছন্দ না ছবিপু।
টক ঝাল মিষ্টি আচার বানালে সেটা ভালো লাগে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু তুমি কী টক পছন্দ করো না? এজন্যই আসেনি। মেয়েদের তো টক পছন্দ
তেতুলের আচার হেব্বি মজা। মাংসের তরকারীর সাথে খুব ভালো লাগে
থ্যাংকিউ সো মাচ আপু।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: তেতুলতো বুঝিছিলাম কিন্তু সাথে যখন দেখলাম কচুরিপানারগুলো ভাবনায় ফেলেছিল, এ দিয়েও ভর্তা হয় নাকি! পরের বুঝলাম ডেকুরেশনে ব্যবহার করেছেন। মজার ভর্তা শিয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহ টোপাপানা চটকে দিলেও হতো আলাদা মজা নতুন রেসিপি
থ্যাংকিউ সো মাচ ভাইয়া
ভালো থাকুন ।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ঠিক এই মুহুর্তে বাসায় কোন তেতুল নেই, তবে আমের আচার আছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সেটাই খান আপাতত। তেতুলের আচারও মজা । মাংসের সাথে খেতে ভালো লাগে।
ছেলেরাও টক পছন্দ করে। বাড়িতে যখন আচার বানাতাম, চাচাত ভাই চুরি করে খেয়ে ফেলতো । ধন্যবাদ স্মিথ ভালো থাকুন
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর। টক তেতুল খেতে পারি না। মিষ্টি তেতুল খুব মজার ।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যাঁ টক তেতুল বেশী টক। চিনি মিশাতে হয়। আমি যেটা খাচ্ছি ভাগ্যক্রমে এটা মিষ্টি মিষ্টি
ধন্যবাদ ঢাবিয়ান
ভালো থাকুন
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৫৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা ,
আমি প্রতিদিনই কোন না কোন টক খেয়ে থাকি কারণ এটা আমার পুরনো অভ্যাস।
আপনাকে একটা ঘটনা বলি , আমার কলেজ ছিলো সরকারি মহিলা কলেজ এবং সেখান থেকে প্রায় প্রতিদিনই ১০ মিনিট হেঁটে আমরা কয়েক বান্ধবী আমাদের অগ্রগামী স্কুলে যেয়ে দাদুর কাছ থেকে ভর্তা কিনে খেতাম । সিলেটে তখনো এভেইলেবল সব জায়গায় ভর্তা পাওয়া যেত না । একদিন ভর্তা না খেলে মনে হতো কি যেন খাইনি । ছবি আপা এই তেঁতুল ভর্তা লোভনীয় যারা খায় নাই তারা কখনোই বুঝবে না । আরো অনেকে আছে খেতে পারেন না সেটা অন্য বিষয় ।
আমি এখনো তো ভর্তা ফুচকা চটপটি এগুলোকে অনেক প্রাধান্য দেই । আমি চটপটি ও ফুচকা সবসময় দুটো একসাথে খাই এবং সাথে নেই ঝাল টক আর মিষ্টি টকটা কখনোই নেই না।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এখন আসলে এত টক খেতে পারি না চিনি মেশাতে হয়। কাঁচা আম ভর্তা করি তবে চিনি মিশাই অল্প। তবে বাড়িতে থাকাকালীন দুপুরবেলা বড় বোলে ভর্তা করতাম, গুড়া মরিচ মিশিয়ে, বাড়ী সবাই কাড়াকাড়ি করে খেতাম। এখন এসব স্মৃতি। তবে এবার জাম্বুরা ভর্তা খাইছি সবাই মিলে। ছবি তুলে রাখছি একদিন পোস্ট দেব।
চটপটি ফুচকা এসব পছন্দ কিন্তু, গ্যাসের কারণে আর খেতে পারি না।
আপা আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ তেতুল, তুই মুক্তা আপাকে ডেকে নিয়ে এসেছিস।
ভালো থাকুন আপুমনি।
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩
আজব লিংকন বলেছেন: ৭ নাম্বার ছবির ফুলের নাম অপরাজিতা না?
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যাঁ অপরাজিতা। ডাবল পাপড়ির এটা। কালারটাও খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তেতুল দেখলে মেয়েদেরই জিভে জল আসে
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছেলেদেরও আসে তবে সংখ্যায় কম। আপনার আসেনি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন
১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: আমি ছোট কালে যে এলাকায় থাকতাম সেখানে একটি বিশাল বড় তেঁতুল গাছ ছিলো। ফুল থেকে তেঁতুল খাওয়া শুরু করতাম। পাকা ও শেষ না হওয়া অবধি।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমরাও এমন খেয়েছি। ফ্রকে করে নিয়ে আসতাম। বড় ভাইয়েরা ঢিল মারতো। কচি তেতুল পড়তো, সেগুলো এত টক লাগতো না বিচি সহ খেতাম। পাকলে তো কথাই নেই। কত স্মৃতি। এখন আর গাছটা নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন
১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৫০
অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: বরাবরের মতই বুবু। পোস্টে প্লাস ।
আহা এদিকে এক বাটি পাঠিয়ে দিয়েন। টেটুল, বড়ই, কাঁঠালের মুচি,সাথে কাঁচা মরিচ ও ধৈন্নাপাতা হলে সেরকম। ছোটবেলায় খেতাম ।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উফ মনে করে দিলেন। হ্যাঁ কাঠালের মুচির সাথে তেতুলের ভর্তা
কী যে স্বাদ ছিল। মনে হলে জিভে পানি আসে।
থ্যাংকিউ সো মাচ
ভালো থাকুন
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৪
শাহিন-৯৯ বলেছেন: তেঁতুল এক আজব ফল, না খেয়েও জিবে জল আসে।