নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। বিনয়ে বলা সাধারণ নয়, সত্যিকারের সাধারণ। রূঢ় ভাষায় বললে \"গুড ফর নাথিং\"।

বিষাদ সময়

বিষাদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি!!!

২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৪৮

১) আমাদের চেম্বারের অফিস সহকারী এসে বেশ চড়া গলায় বললো- ঐ বাজারে কি মানুষ যায়! কি দুর্গন্ধ, বাজার ভেঙ্গে দেয় না কেন।
পরবর্তীতে আরো তথ্য জানার পর যা বুঝলাম - আনন্দ সিনেমা হলের পাশেই একটা খ্রিস্টানদের বাজার আছে। সেখানে শুকরের মাংস বিক্রি হয়। কোন কাজে আমাদের অফিস সহকারীটি ঐ বাজারে ঢুকার পর শুকরের মাংস দেখেই তার বমি আসা শুরু হয়েছে। কোন রকমে সেখান থেকে বের হয়ে চেম্বারে ঢুকে তার ডায়ালগ ছিল ঐ রকম। অফিস সহকারীটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী তবে ধর্ম নিয়ে তার কোন বাড়াবাড়ি নেই বরং আধুনিক মন মানসিকতার ছেলে।


এই যদি হয় অবস্থা তাহলে একজন সনাতনী ধর্মলম্বী যখন মহল্লার রাস্তার পাশের গোস্তের দোকানে গরুর মাথাটি ঝুলিয়ে রাখা দেখে তখন তাদের কেমন লাগে বা কুরবানীর ঈদের সময় যখন তার বাড়ির সামনে গরু জবাই করা হয় তখনই বা কেমন বোধ করে?

২) আমাদের গৃহকর্মীটির বক্তব্য, তাদের দেশের বাড়ির সড়কের পাশের মন্দিরে একটা মুর্তি বানানো আছে, জিহ্বা বের করা সেই মুর্তিটি দেখলে তার লা.. মেরে ভেঙ্গে দিয়ে আসতে ইচ্ছে করে।

৩) আমাদের কোন এক বন্ধু ছিল সনাতনী। এলাকার কোন এক প্রভাবশালী মুসলিম জুম্মার নামাজে যাওয়ার আগে তাকে দেখায় রাস্তায় থুতু ফেলে বলেছিল -শালা নামাজে জাওয়ার আগে মালায়নের মুখ দেখলাম। এর পর থেকে বুঝতাম আমাদের ঐ বন্ধু অন্তরে মুসলিমদের সম্পর্কে এতটাই বিদ্বেষ পোষণ করে যে পরিস্থিতি অনুকুলে হলে মুসলমানদের গলায় ছুরি দিতেও সে দ্বিধা করবে না কিন্তু বাহ্যিক ভাবে তার সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিল খুব ঘনিষ্ট।

প্রতিবার রাষ্ট্র ক্ষমতার পালা বদলের পর যদি সংখ্যালঘুদের ভিক্টিম হতে হয় তখনই বা তাদের কেমন লাগে?

আমাদের বেশির ভাগ বাংলাদেশি মুসলিমদের অভিযোগ সনাতনিরা খায় এদেশে আর সম্পদ করে ও দেশে। তাদের এক পা এ দেশে তো আরেক পা ও দেশে। হয়তো কথাটি ঠিক। তাই এ সংক্রান্ত একটা বিদ্ধেষ তো তাদের প্রতি আমদের অনেকের রয়েছে। এ রকম বিদ্বেষ নিয়ে কিভাবে সম্প্রীতিি বা অন্তরিকতা থাকে!! পরষ্পরের প্রতি এরকম মনোভাব থাকার পর কি করে এক সম্প্রদায় আরেক সম্প্রদায়কে মনে নিবে।
আসলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলে মনে হয় আমরা পরষ্পরকে প্রতারণা করছি।

তাই যদি মনে নেয়া না বলে মেনে নেয়া বলি বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না বলে যদি সাম্প্রদায়িক সহবস্থান বলি তবে তা মনে হয় অধিক যুক্তিযুক্ত হয়।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমার মায়ের ছোটো বেলার একটি ঘটনা বলি। আমার নানার বাড়িতে দুইজন সনাতনী পরিবার ভাড়া থাকতো। টিনশেডের ঘর আরকি!আমার নানা কঠোর ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন।তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় টেলিভিশন কেউ বাড়িতে কেনার সাহস করেনি।কিন্তু নানা হিন্দুদের রুম ভাড়া দিয়েছিলেন।তাদের সাথে উত্তম আচরণ করতেন। একবার দূর্গাপূজোর দিন নানার বাড়িতে আগুন লাগে। তখন আমার মায়ের বয়স ৩/৪ বছর। সবাই মাকে ফেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় কিন্তু সনাতনী পরিবারের এক মহিলা ( রত্না দিদি) সবাইকে বলেন যে কি ব্যাপার পপি( আমার মায়ের নাম) কে দেখি না কেনো? পরে নিজেই বাড়ির ভিতর চলে যান এবং আমার মাকে উদ্ধার করেন।এসব ঘটনা থেকে বুঝা যায় আগে আমাদের মধ্যে অনেক সম্প্রীতি ছিলো। কিছু ভিনদেশী বদমাশ দেশে বিভেদের সংস্কৃতি শুরু করে এখন তা তিক্ততার পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

বিষাদ সময় বলেছেন: আমার বাল্য শিক্ষার শুরু এক সনাতনী বয়স্ক ব্যাক্তির হাতে। তাকে আমি দাদু বলে ডাকতাম। তাদের পুজায় আমরা যেতাম আবার আমাদের ঈদে তারা বেড়াতে আসতেন। ধর্মেের কারণে যে মানুষের বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে তা ভাবতে পারিনি তখন। হঠাৎ আমার শৈশক কাটানো জয়দেবপুর হয়ে গেল গাজীপুর। তখনও ছোট ছিলাম তাই জেলার নাম পরিবর্তনের কারণ বুঝিনি, তবে এখন বুঝি। অনেক আগে থেকেই শাসকরা তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ধর্ম নিয়ে নোংরা রাজনীতি করেছেন কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে সে সব জায়গা করে নিতে পারেনি। কিন্তু গত প্রায় দশ বছর ধরে আমরা ক্রমাগত ধার্মিক হওয়ার চেয়ে অনেক বেশি সম্প্রদায়িক হতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৪৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি আমার এখন ভালো বন্ধু ছিলো সনাতনী যার ডাক নাম ছিলো মুন। আমরা একসাথে খেলা করতাম,স্কুলে যেতাম। তার মা সরকারি জব করতেন। বাবা বেচে নেই।আমি আবার তখন এলাকার বড়ো হুজুরের কাছে কোরআন খতম দিয়েছিলাম।একবার হুজুর সহ মাদরাসার কিছু এতিম বাচ্চাদের দাদার মৃত্যুবার্ষিকী তে দাওয়াত দিয়েছিলাম। দাওয়াত খাওয়ার সময় মুন কে দেখে হুজুর এবং মাদরাসার ছাত্ররা খুব বিরক্ত হয়। এলাকার মধ্যে সবাই সবাইকে চিনে। মুনের বাবা না থাকায় আমাদের পরিবার তার প্রতি খুব সদয় ছিলো !হুজুর আমাকে মা কে ডাকতে বলেন। মা আসলে হুজুর বলেন "হিন্দুর ছেলেকে আপনার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী তে দাওয়াত দেয়া উচিত হয় নি" আমার মা বলেন আসলে মুন সারাদিন আমার ছেলের সাথেই থাকে।ওকে আলাদা করে দাওয়াত দেই নি।সে বাসায় আমার ছেলের সাথেই ছিলো।পরে হুজুর রা চুপ হয়ে যান। আমাকে হুজুর অনেকবার নিষেধ করেছেন মুনের সাথে মিশতে। এই হলো অবস্থা!

২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৪৪

বিষাদ সময় বলেছেন: তখনকার সাম্প্রদায়িকত ছিল কিছু গণ্ডির মধ্যে আবধ্য কিন্তু এখন তা একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত। ভাল লাগলো আপনার ছোট বেলার ঘটনাগুলো জানতে পেরে। আপনার এ ঘটনা থেকে বুঝার মতো অনেক কিছু রয়েছে ।
ভাল থাকবেন।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মানুষদের ধর্মীয় অনুভুতিটা করাপ্টেড।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

বিষাদ সময় বলেছেন: কাকে আর আমি দোষ দিব, ইহুদি জাতির মতো শিক্ষিত উন্নত জাতির উন্মাদনা দেখে তো এখন স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছি।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



পাক-ভারতে ধর্মীয় শিক্ষাটা নীচুমানের শিক্ষিতদের হাতে ছিলো সব সময়।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৫০

বিষাদ সময় বলেছেন: পাক-ভারতে ধর্মীয় শিক্ষাটা নীচুমানের শিক্ষিতদের হাতে ছিলো সব সময়।

তখন তাই বিষয়টাকে নিচুমানের জানতাম। কিন্তু একাজে এখন অনেক উচুমানের ব্যাক্তি যুক্ত হওয়ায় ধর্মের কুশিক্ষার দিক গুলো সবার মধ্যে বিস্তার লাভ করেছে। শুভ কামনা।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:০২

অগ্নিবেশ বলেছেন: ধর্ম মানলে বিধর্মীদের ঘৃনা করতেই হবে। তাই আমি ধার্মিকদের দোষ নিই না, তারা একটা মান্যুয়ালকে ফলো করে মাত্র। হয় ম্যানুয়াল আপডেট করুন নই ফেলে দিন। না পারলে ব্লগে ক্যা ক্যা মা্যা ম্যা করা অর্থহীন। মুসলমানরা যেমন হিন্দুদের ঘৃনা করে, হিন্দুরা মুসলমানদের ম্লেচ্ছ বলে, এমনকি নিজ ধর্মের কিছু মানুষকে নিচু বানিয়ে তাদেরও ঘৃনা করে। যে দেশে জোর যার মূুল্লুকও তার। কেউ ধোয়া তুলসীর পাতা নয়। ধর্মকে লাথি মেরে ফেলে দিন, মানুষ হোন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

বিষাদ সময় বলেছেন: হয় ম্যানুয়াল আপডেট করুন নই ফেলে দিন।

আসলে এটি আপডেট করা প্রয়োজন। যেভাবে আপনি ফেলে দেয়ার কথা বলছেন সেভাবে মনে হয় সম্ভব না। আসলে আনেক ভাল ইথিক, অনেক ল' এর উৎস কিন্তু ধর্ম।
আসলে আমরা বেশির ভাগ অশিক্ষিত বা কুশিক্ষিত হওয়ায় মূলকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই। যুগোপোযোগী করে আপডেট করলে এখান থেকেও ভাল কিছু পাওয়া সম্ভব। ধন্যবাদ।

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:১১

আহরণ বলেছেন: ইসলাম ধর্ম শতভাগ হৃদয়ে ধারণ করেলে অমুসলিমদের ঘৃণা করতেই হবে। এটাই ১৪০০ বছর আগের শিক্ষা, ধর্মের ঐশীবানী।

কুরআন, সূরা ৯৮:৬

"নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে ও মুশরিকরা, জাহান্নামের আগুনে থাকবে স্থায়ীভাবে। ওরাই হল সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব"

কুরআন ৯৮:৬ তাফসীর ইবনে কাসির :

"আল্লাহ তা’আলা কাফিরদের পরিণাম বর্ণনা করছেন যে, কাফির, ইয়াহুদী, নাসারা, মুশরিক, আরব ও অনারব যেই হোক না কেন যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর বিরোধ এবং আল্লাহর কিতাবকে অবিশ্বাস করে তারা কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে, সেখানেই তারা চিরকাল অবস্থান করবে। কোন অবস্থাতেই তারা সেখান থেকে ছাড়া বা রেহাই পাবে না। এরাই নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।"

ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯

বিষাদ সময় বলেছেন: প্রতিটি আয়াতকেই বিভিন্ন ভাবে এন্টারপ্রেট করা যায়। আসলে যুগের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য ধর্মকে আপডেট করতেই হবে। না হলেে হয় ধর্ম বিলু্প্ত হবে না হলে বিলুপ্ত হবে সভ্যতা। কাজেই ধর্মকে যুগোপেযোগী এবং কল্যানময় করার জন্য ধর্মের যত পার্সেন্ট হৃদয়ে ধারণ করা উচিত তত পার্সেন্টই ধারণ করতে হবে।

আপনাকেও ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রউটু বলে যা আছে তা কেবল বইয়ের পাতায় এবং ফেসবুকে! কেবল এই দেশ না, এই পুরো উপমহাদেশেরই এই একই অবস্থা ! দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে কোন সরকারই এটা নিরসনের কোন চেষ্টা করে নি । বরং এটাকে ট্রামকার্ড হিসাবে ব্যবহার করেছে সব সময় !

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। সরকারগুলো আমাদের খারাপ ইমোশন গুলোকে কাজে লাগিয়ে তারা তাদের ফায়দা লুটেছে। তবে কয়েক যুগ আগে সবার কাছে তথ্য এখনকার মতো সহজ লভ্য না হওয়ায় এ উপমহাদেশে এক ধরণের মিশ্র সস্কৃতি চালু ছিল যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কিছুটা সহায়ক ছিল। কিন্তু বর্তমানে একদিকে ভারতের উগ্র হিন্দু সংস্কৃতি অপর দিকে আরবের কট্টর মুসলিম সংস্কৃতির তথ্য আমাদের কাছে অবাধ হওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষ আরো বেশি পোলারাইজড হয়ে গেছি।
ধন্যবাদ।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: কোন পার্থক্য দেখিনা ধর্মের কারণে মানুষে মানুষে। সব মানুষের অনুভুতি একই রকম সুন্দর। কিন্তু বিভেদ তৈরি করা হয় পরস্পরের মধ্যে ধর্মের দুহাই দিয়ে।
অতি সুন্দর সাম্প্রদিক সৌহার্দের মাঝে মিলেমিশে বড় হয়েছি এখনও তেমনি আছি পারস্পরিক মিলেমিশে।
মানুষ যখন কারো কথায় প্রভাবিত হবে না যদি তা ধর্ম কথাও হয় তখনই অন্য ধর্মের মানুষকেও নিদ্বির্ধায় ভালোবাসতে পারবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। আপনি উদার মনের মানুষ, তারপর যতদূর জানি আপনি থাকেন এ উপমহাদেশের বাইরে, কাজেই সেখানে হয়তো ভিন্ন অবস্থা। কিন্তু যদি দেশে এসে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তবে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মিলেমিশে থাকার মাঝে যে বেশ কিছু কৃত্রিমতা আছে তা বুঝতে পারবেন।
ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসায়। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.