নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
টিউশনিকে এখনো শ্রমের আওতায় আনা হয়েছে কি না আমি জানি না তবে উক্ত শ্রমিকদের সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে বিস্কুটের বদল অন্য কোন সুস্বাদু নাস্তা পরিবেশন সময়ের দাবী!
.
আট ঘন্টা শ্রম দেওয়া শেষে বাসায় আসার পথে বউ যখন বলে তাড়াতাড়ি মার্কেটে গিয়ে আটা ময়দা সুজি তেজপাতা নিয়ে এসো তখন কোথায় থাকে মানবাধিকার কর্মীরা?
.
শ্রম দিবসেও প্রতিদিনকার মতো মাথার ভিতর যখন ২৪ ঘন্টা তুমি ঘুরো ফিরো সেই বিচার আমি কাকে দিবো!
.
কিংবা,
.
টেনশন নামক মানসিক শ্রম যখন একজন মানুষের প্রতিটা মুহূর্ত তিলে তিলে গ্রাস করে নেয় তখন কি বা করার থাকে
.
তোমরা শুধু মে দিবসের আট ঘন্টা শ্রমের তাৎপর্য দেখলে কিন্তু একজন মায়ের আঠারো ঘন্টা শ্রমের কোন মূল্যায়ণ করলে না!
.
ছুটির দিনে মে দিবসকে মেয়ে দিবস মনে করে তোমরা যারা পার্কের আনাচে কানাচে বসে স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে যাচ্ছো তাদের বিনা শ্রমে ঘুমানোর দন্ড দেওয়া যেতে পারে
.
শ্রমিকদের জন্য বেতন আছে দিবসও আছে কিন্তু বেকারদের জন্য কিছু নেই! বেকার হলো সমাজের এতিম শ্রেণি!
.
অনেকে শ্রমিক সংঘের সভাপতি হতে আগ্রহী হলেও বেকার সংঘের সভাপতি হতে কেউ চাইনা!
.
পেটে ভাত না থাকলে তখন আট ঘন্টার চাকরিও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়! শ্রমিকরা ওভার টাইমের খোঁজে থাকে! একটু বেশী উপার্জন!
.
শ্রম ঘন্টা কতক্ষণ সেটার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ন্যায্য মজুরি না হলে পূর্ণিমার চাঁদ কিংবা অবসরকেও ঝলসানো রুটি মনে হবে
.
আরেক শ্রেণি আছে, কারণে অকারণে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা নন্দ দুলাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তাদের জন্য একটু চা পানির ব্যবস্থা করলে শ্রমের একটা ভ্যালু ক্রিয়েট হবে বলে মনে হয়,
.
আরো একটা শ্রেণি আছে যারা নতুন বিয়ে করেছে তাদের শ্রম ঘন্টা নির্ধারণের দাবী এবং সবাইকে বিশ্ব শ্রম দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি!
২| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩
সুইসাইড বিশেষজ্ঞ মাসুম বলেছেন: শ্রমিক এর প্রতি অশেষ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।
৩| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
৪| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: লাল আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দিগন্ত থেকে দিগন্তে,
কী হবে আর কুকুরের মতো বেঁচে থাকায়?
কতদিন তুষ্ট থাকবে আর
অপরের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট হাড়ে?
মনের কথা ব্যক্ত করবে
ক্ষীণ অস্পষ্ট কেঁউ-কেঁউ শব্দে?
ক্ষুদিত পেটে ধুঁকে ধুঁকে চলবে কতদিন?
ঝুলে পড়া তোমার জিভ,
শ্বাসে প্রশ্বাসে ক্লান্তি টেনে কাঁপতে থাকবে কত কাল?
মাথায় মৃদু চাপড় আর পিঠে হাতের স্পর্শে
কতক্ষণ ভুলে থাকবে পেটের ক্ষুদা আর গলার শিকলকে?
কতক্ষণ নাড়তে থাকবে লেজ?
তার চেয়ে পোষমানাকে অস্বীকার করো,
অস্বীকার করো বশ্যতাকে।
চলো, শুকনো হাড়ের বদলে
সন্ধান করি তাজা রক্তের,
তৈরী হোক লাল আগুনে ঝল্সানো আমাদের খাদ্য।
শিকলের দাগ ঢেকে দিয়ে গজিয়ে উঠুক
সিংহের কেশর প্রত্যেকের ঘাড়ে।
সুকান্ত ভট্টাচার্য, ১লা মে-র কবিতা
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
"শ্রমিক মালিক ভাই ভাই সোনার বাংলা গড়তে চাই"