নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এগুলো এডিট করা যায়

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৬

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মা ফটো স্টুডিও দোকানে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো ভাই আপনার কোন ধরণের কোট টাই পছন্দ!
.
বললাম আপনার কালেকশনে কোন কোন কালারের কোট টাই আছে? সে বললো, যেমন খুশি তেমনভাবে সাজিয়ে দিবো!
.
তারপর সে বললো, শার্টের দুইটা বোতাম খুলে পোজ দেন! দিলাম! অতপর সে ছবিগুলোর উপর এডিট করে কোট বসিয়ে দিলো!
.
সেই পাসপোর্ট সাইজ ছবি মোটামুটি চাকরিতে এপ্লাই থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সব জায়গায় দেদারচ্ছে চালিয়ে দিচ্ছি!
.
পয়ত্রিশতম বিসিএসে যখন প্রিলি ফেইল করলাম তখন আবার সেই স্টুডিও'তে গেলাম!
.
বললাম ভাই ছবি এডিট করতে হবে! সে বললো, এবার কোন কালারের কোট টাই লাগাবেন?
.
বললাম, 'কোট টাই ঠিক থাকবে মাথাটা পাল্টে সুশান্ত পলের মাথাটা লাগিয়ে দিয়েন'
.
যদি আপনার কালেকশনে আরেকটু কিউট অন্য কোন বিসিএসে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় কেউ থেকে থাকে দেখাতে পারেন!
.
বিলিভ ইট আর নট,
.
এক সময় আমি শাহরুখ খান হতে চাইতাম! ফ্রিতে নায়িকাদের সাথে আলিঙ্গনের সুযোগ আছে বলে,
.
শেষ যখন আমি বক্সার মোহাম্মদ আলী ক্লে হতে চেয়েছিলাম তখন প্রেমিকার বড় ভাই আমার প্রথম টার্গেট ছিলো!
.
জগতের সকল ছাত্র ছাত্রীর সুখের জন্য স্কুলে আমার শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার শখ ছিলো! শপথ নিয়ে ঘোষণা করতাম, 'আজ থেকে স্কুল অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটি'
.
জগতে যখন যা ভাবিয়েছে আমি তা হতে চেয়েছি,
.
মানুষ কিভাবে একটা এইম ইন লাইফ নিয়ে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখে তা আমি এখনো বুঝতে পারিনা!
.
রমণীরা যখন হুমায়ুন আহমেদের বই বুকে নিয়ে হাঁটতো তখন আমিও লেখক হতে চাইতাম! জগতের তামাম সুন্দরীরা আমার লেখার প্রেমে হাবুডুবু খাবে এক্সেট্রা এক্সেট্রা....!
.
'আমি নেতা হবো' কিংবা 'শোরুমের সামনে টাঙ্গানো ছবি হবো'
.
সত্যি বলতে কখনো ভালো মানুষ হতে চাইনি! পাড়ার এক ভালো মানুষ ছিলো শুনলাম সে বড় চাকরি করে তবুও তার একটি নতুন পাঞ্জাবী ছিলো না!
.
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক খুব ভালো মানুষ ছিলো তাকে রোজ দেখতাম দশ টাকা রিক্সা ভাড়া বাঁচানোর তাগিদে হেঁটে হেঁটে বাজার নিয়ে বাসায় যাচ্ছে!
.
একজন ভালো নেতা দেখেছিলাম রোজ টংয়ের দোকানে বসে বসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে কথা বলতো,
.
জীবনে আমি যত ভালো মানুষ দেখেছি তাদের অনেকে অনেক কিছু করার যোগ্যতা রাখতো!
.
এক ভালো লোককে জানি,
.
প্রথমে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন এরপর লন্ডনের কিংস কলেজে ফলিত গণিতের শিক্ষক তারপর কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স রিসার্চ ফেলো অতপর সিটি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা পরিশেষে সব ছেড়ে দিয়ে মাত্র তিন হাজার টাকা বেতনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন তিনি প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম,
.
যিনি পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃত কিন্তু কে বা খবর রেখেছিলো তার!
.
২০১৭ সালে বাংলাদেশে ‘ব্যক্তিত্ব’ বিভাগে একনম্বর জায়গাটি নিয়েছিলেন সাবিলা নুর এবং মিয়া খলিফা!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৫

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: ঠিক তাই,প্রাপ্য মর্যাদা প্রত্যেককেই দেয়া উচিৎ।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সাবিলা নুর আর মিয়া খলিফা !!! - ভয়ন্কর সত্য যা সমাজে প্রতিষ্টিত !!!

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

ক্স বলেছেন: সাবিলা নুর আর মিয়া খলিফা - এরা কারা? আমি এদের দাম আর বাড়াতে চাইনা বলে গুগল মামাকে বিরক্ত করলাম না। কিন্তু এই নামের মাহাত্ম্য বর্ণনা করলে খুশি হইতাম।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: নিজের সন্তান যখন কাঁদে, তখন বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে কিন্তু প্রতিবেশীর সন্তান যখন কাঁদে তখন মাথা ধরে যায়।
নিজের বৌ যখন কাঁদে, তখন মাথা ধরে যায় কিন্তু প্রতিবেশীর বৌ যখন কাঁদে তখন বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "মানুষ কিভাবে একটা এইম ইন লাইফ নিয়ে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখে তা আমি এখনো বুঝতে পারিনা !"

আমিও পারিনা ! প্রেসিডেন্ট হইতে শুরু করিয়া নামিতে নামিতে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সচিব, উচ্চপদস্থ চাকর, শেষে গাধা পিটাইয়া মানুষ বানানোর রাখাল ! কতনা এইম লক্ষ্যচ্যুত হইয়া এখন বনের রাজা টারজান !!!!!

সাবিলা নূর আর মিয়া খলিফার "ব্যাক্তিত্ব" নির্বাচিত হওয়া আশাপ্রদ বলিয়া মনে হইতাছে ! এ জাতির পুরুষরা তাহা হইলে ভবিষ্যতে নামকরা গাইনোকোলজিস্ট হইবে বোধহয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.