নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
১৯৬২ সালে পাকিস্তানী মন্ত্রণালয়গুলোতে শীর্ষস্থানীয় সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাদের মধ্যে বাংলাদেশী ছিলো মাত্র ১৩%
.
সেই হিসেবে পাকিস্তানীদের জন্য অলিখিত কোটা বরাদ্দ ছিলো প্রায় ৮৭%
.
সেই কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলো মুক্তিযোদ্ধারা!
.
কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে যখন সরকারী চাকরিতে অর্ধেকেরও বেশী কোটা বিদ্যমান থাকে তখন স্বাভাবিকভাবে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়!
.
আমি এমন কয়েকজনকে জানি যাদের বাবা মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু সরকারী চাকরি করার কারণে তারা বুক ফুলিয়ে তা বলতে পারে না পাছে কোটা নিয়ে খোটা খাওয়ার ভয় থাকে,
.
মুক্তিযোদ্ধার অনেক সন্তান আছে যারা প্রতিযোগিতা করে বাঘের মতো জব চিনিয়ে আনার যোগ্যতা রাখে কিন্তু সে কোটা সুবিধা নেওয়ার কারণে সারাজীবন অন্যদের কাছে ছোট হয়ে থাকতে হয়,
.
বাবা দেশের জন্য জীবন বাজী রেখেছে হয় মরবো নাহলে বুক ফুলিয়ে বাঁচার মতো বাঁচবো বলে কিন্তু কোটা সুবিধা নেওয়ার পর সেই বুক ফুলিয়ে বাঁচা চুপসে যায়!
.
পাকিস্তানী আমলে সামরিক বাহিনী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০% পাঞ্জাবি এবং ৩৫% পাঠানসহ মোট ৯৫% কোটা পশ্চিম পাকিস্তানীদের জন্য বরাদ্দ ছিলো আর পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিলো মাত্র ৫ শতাংশ কিংবা তারও কম,
.
তখন পূর্ব পাকিস্তানে মোট জনসংখ্যা ছিলো ৫৬% আর পশ্চিম পাকিস্তানে ৪৪%
.
ভাগ্যের কি পরিহাস বিসিএসে আজ কোটার জন্য বরাদ্দ ৫৬% আর মেধাবীদের জন্য ৪৪%
.
সময় কথা বলে!!!
.
এখন প্রশ্ন আসতে পারে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে তাহলে কি পেয়েছে! উত্তর হলো কোটা বৈষম্যমুক্ত একটি দেশ পাবে যা তারা চেয়েছিলো,
.
আমি ৩৫তম বিসিএস ফেইল! কোটা থাক না থাক আমার কিছু আসে যায় না কিংবা অতো মেধাবী না যে ক্যাডার হবো তবুও আমি মুক্তিযোদ্ধারা হেয় হোক এমন সুবিধা কাম্য করি না
.
যারা জীবন বাজি রেখেছে তাদের কাছে সামান্য কোটা কোন ঘটনা হতে পারে না,
.
কোটা আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক কিন্তু তাতে মুক্তিযোদ্ধারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়!
.
যে সুবিধার মাধ্যমে একজন মুক্তিযোদ্ধাও প্রশ্নবিদ্ধ হয় সেটাকে আমি বরং অসুবিধা বলবো
.
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিরা এতে মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে আঙ্গুল তোলার ইস্যু পেয়ে যায়! যা বড্ড বেদনার!
.
কোটা তো একজন প্রতিবন্ধী কিংবা সুবিধা বঞ্চিতদের অধিকার তা কেনো দেশের সেরা বাবার সেরা সন্তানরা গ্রহণ করবে!
.
নারীদের জন্য দশ পার্সেন্ট কোটা মানে হে নারী তুমি আমাদের সাথে একশ মিটার দৌড়ে পারবে না বরং তুমি পঞ্চাশ মিটার দৌড়ালে সমান অধিকারে থাকবে! তোমার বেলায় গোল পোস্টে গোল কিপার থাকবে না! তুমি অবলা! দুর্বল!
.
তারচেয়ে বরং চাকরির ক্ষেত্রে প্রেমিক কোটার ব্যবস্থা করুন কারণ চাকরি না পেয়ে কত প্রেমিক প্রেমিকা হারিয়েছে সেই খবর কে বা রাখে!
.
তারচেয়ে বড় কথা কোটা সংস্কার হলে বেকারত্ব একটুও কমবে না শুধু কিছু মেধাবীর ভাগ্য উন্নয়ন হবে তারচেয়ে বরং আত্মকর্মসংস্থানের পক্ষে এমন একটি আন্দোলন নিয়ে আবারো জেগে উঠবে শাহবাগ সেই অপেক্ষা করতেছি!
.
কম মেধাবী বলে কেউ কেউ চাকরি পাবে না সেটা হতে পারে না! হওয়া উচিত নয়!
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৩
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আমি মোবাইল থেকে ব্লগিং করার কারণে কমেন্ট করতে একটু অসুবিধা হয়!
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এই আন্দোলনের সফলতা কামনা করি।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা বন্ধ করা হোক, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্নতাদের লেপড়াখার খরচ দেয়া হোক; ওরা চাকুরী পাবে যোগ্যতার ভিত্তিতে
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪২
কাউয়ার জাত বলেছেন: সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হল ২০১৮ তে এসেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সমৃদ্ধ হচ্ছে। আসল মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে বেশি আছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। অনেক ছাত্র এখন চাকরি পাওয়ার সহজ পন্থা হিসেবে বাপ-দাদা-নানা কাউকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর পথ খুঁজছে।
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ঘোষ কোটার ব্যাপারে কি বলবেন??
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৪
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আন্দোলন না করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রালয়ে যেয়ে বাবার নামে একটা ভুয়া সার্টিফিকেট যোগাড় করে ঐ কোটায় চাকরি বাগিয়ে নেয়াটা মোক্ষম উপায়, যেহেতু এই তালিকা হালনাগাদ চলবে বাংলাদেশ যতদিন থাকবে।
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: কোটা বিপক্ষে কিছু বললে তথাকথিত চেতনাধারীরা আপনাকে রাজাকার বানায়ে ছাড়বে।
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: কোটা দলের স্বার্থ সংরক্ষণের অন্যায় পথ।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: চাঁদ গাজী-র সত্যি কথাগুলো আন্দোলনকারীদের অবশ্যই উপস্থাপন করা উচিত। ধন্যবাদ চাঁদগাজী।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৩
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: কোটা নিয়ে আন্দলোনকারীদের বিজয় কামনা।
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
চোরাবালি- বলেছেন: প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা কখনও কোটার পক্ষে থাকবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কোটা-মোটা নিয়ে শুধু আন্দলনই হচ্ছে। সরকার তো নাকে তেল দিয়ে----
আপনি মন্তব্যের প্রতিউত্তর করতে অলসতা করেন