নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
গল্পটি পত্র কমন না পড়লে প্রেমপত্র লেখার,
.
জীবনে অনেক পরীক্ষায় এভারেজ আট দশটি লুজ পেপার নেওয়ার পরও যে বন্ধু কোন লুজ পেপার নেয়নি তার থেকে দশ মার্কস কম পেয়েছি,
.
উই আর লুজ পেপার নিয়ে লুজার,
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক বন্ধু হাতে সময় থাকলে এক প্রশ্নের দুইবার উত্তর লিখতো! তার বিশ্বাস এতে স্যার ভুল করে দ্বিগুণ নম্বর দেওয়ার সম্ভবনা থাকে,
.
উত্তর পারি আর না পারি ছেড়ে আসার অভ্যেস কখনো ছিলোনা,
.
জীবনে একমাত্র টেকনিক্যাল টাইপ সাবজেক্ট ছাড়া বাকী সব বিষয়ে একশতে একশ আনসার করে এসেছি,
.
স্যারদের দোষ নেই বয়স হওয়ার কারণে তেনারা অনেক সময় পরীক্ষার খাতায় ডাবল জিরোর আগে এক দিতে ভুলে যেতো
.
মনে আছে একবার একশতে একশ নম্বর ই কমন পড়েনি তারপরও একশতে একশ উত্তর করে এসেছিলাম,
.
অবস্থা বেগতিক দেখলে ইংলিশে উত্তর করা শুরু করতাম আর এমন এমন বাণী সাথে ওয়ার্ড ব্যবহার করতাম যার অধিকাংশ অক্সফোর্ড ডিক্সনারিতেও নেই!
.
তারপরও ফেইল করলে মনে সাত্ত্বনা পেতাম, চেষ্টা করে ফেইল করেছি আমার কোন দোষ নেই!
.
আমাদের মতো ছাত্ররা চরম মাপের সৃজনশীল!
.
তারা আলফ্রেড মার্শাল, সক্রেটিস, আলেকজেন্ডার থেকে শুরু করে পীথাগোরাস, লুকাপ্যাসিওলির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দেওয়া বাণীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজের বাণী পরীক্ষার খাতায় সমুন্নতভাবে প্রতিষ্ঠিত করে
.
পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার রচনা শুরু করেছিলাম, এবার দেশে মশার বাম্পার ফলন হয়েছে.....লিখে,
.
স্কুলের প্রতিযোগিতায় 'যেমন খুশি তেমন সাজো'র মতো আমরা পরীক্ষার খাতায় 'যেমন খুশি তেমন লিখতাম'
.
বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ পয়েন্টে এক বান্ধবী লিখেছিলো, বিনীত নিবেদন এই যে আমাকে পরীক্ষা পাশ করিয়ে বাল্যবিবাহ রোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা আপনার মতো একজন মহান শিক্ষকের গুরু দায়িত্ব এবং কর্তব্য কারণ বাবা কথায় কথায় বলে মেট্রিক ফেইল করলে বিয়ে দিয়ে দিবো!
.
আমাদের সময় ভুল বানানের জন্য নম্বর কাটতো তাই এক ছাত্র খাতার শেষে লিখতো, স্যার আপনি বলেছেন মানুষ মাত্র ভুল আর সে ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা মহান মানুষের উৎকৃষ্ট গুণ আশা করি লেখার বানান ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
.
গরুর রচনা লিখতে গিয়ে, গুরু একটি উপকারী জন্তু....!
.
এক ছাত্র লিখেছিলেন, 'টিপু সুলতান কোন সময় জাইঙ্গা পরিতেন না' আসলে মূল বেপার হলো সে লিখতে চেয়েছিলো 'টিপু সুলতান কখনো ভাইঙ্গা পরিতেন না'
.
দিনশেষে,
.
একদিন আমরাও ছাত্র ছিলাম নাকি!
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: কিছুক্ষনের জন্য ছাত্র জীবনে ফিরে গেলাম।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: হাহাহহাহাহা
নিজেরা বানী দেওয়ার কাজটা সব পোলাপান ই করে।
আমরা বানীর সাথে বিভিন উদ্ভট নামে সেই বানী লিখে দিতাম
কিন্তু স্যাররা সব সময় ই ধরে ফেলতেন
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৬
শাহিন বিন রফিক বলেছেন: বাণী বানানো ছাড়া কোন উপায় মনে হয় ছাত্র জীবনে ছিল না। ছাত্র জীবনে কত উক্তি বানিয়ে দিয়েছি তা বলার শেষ নাই। একবার আমার এক বন্ধুর নাম দিয়ে বাণী দিয়েছিলাম তবুও স্যার কিছু বলেনি খাতার দেওয়ার সময়।