নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনি জনি ইয়েস পাপা

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫২

আমেরিকার উত্তর-পশ্চিমের সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান 'ইনফো স্পেসে'র সাবেক সিইও এবং মুন এক্সপ্রেসের আংশিক মালিক বিলিওনিয়ার নাভিন জৈন বলেছিলেন, মানুষের ব্রেইনের সেন্ট্রাল পার্ট খুব সহজে পজেটিব বিষয়ের পরিবর্তে নেগেটিভ বিষয়গুলো রপ্ত করে,
.
আপনি যখন খারাপ চিন্তা করেন তখন খারাপ অনুভূতি সৃষ্টি হয় আর তা ক্রমান্বয়ে অভ্যেস এবং অভ্যেস থেকে চরিত্রে রূপান্তরের মাধ্যমে আপনি নিজের অজান্তে একজন খারাপ মানুষে রূপান্তর হবেন!
.
তাই খারাপ মানুষ স্বীকার করতে চাইনা তারা খারাপ কারণ তারা অদ্ভুত এক বৃত্তে বন্দী হয়ে গেছে যা প্রকৃত জীবন বৃত্তান্তে নেই,
.
ভাবনাগুলো সবার আগে মুখে ফুটে উঠে সুতরাং ভালো চিন্তা মুখের ফেয়ার এন্ড লাভলী হিসেবে কাজ করে,
.
ইংরেজীতে একটি জনপ্রিয় প্রবাদ আছে, 'ফেইস্ ইজ দি ইনডেক্স/মিরর্ অব মাইন্ড'
.
বিশ্ব সমাদৃত 'লাইফ ওয়ান হান্ড্রেড ওয়ান' বইয়ের জনপ্রিয় লেখক পিটার ম্যাক্ উইলিয়ামস বলেছিলেন, 'বেশীরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে নেগেটিভ চিন্তা করা একটি অভ্যেস যা ক্রমান্বয়ে আসক্তিতে পরিণত হয়'
.
শিব খেরার ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার বুক 'ইয়ু ক্যান উইন' বইয়ের একটি উদাহরণ ছিলো, 'গ্লাসে অর্ধেক পানি দেখে কেউ ভাবে গ্লাস অর্ধেক পরিপূর্ণ আর কেউবা ভাবে গ্লাসের অর্ধেক খালি' কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে পড়াকালীন কচি মনে আমার যেটা মনে হয়েছিলো সবাই এক্ষেত্রে চিন্তা করবে 'গ্লাসের অর্ধেক খালি' কারণ মানুষের ব্রেইন এই ভাবে তৈরী তাকে যখন উন্নত করা হবে তখন শুধু সে ভাববে, অর্ধেক পূর্ণ!
.
উক্ত বইয়ে কেঁচোর একটি উদাহরণ আছে, পরিষ্কার গ্লাসের পানিতে খেলা করতে থাকা একটি কেঁচোকে উঠিয়ে মদের পানিতে ডুবানোর পর সেটি মুহূর্তে মারা গেলো, এই পরীক্ষা থেকে মাদকাসক্ত ছেলে পজেটিব জিনিস শিখেছিলো, 'মদ খেলে পেটে কেঁচো হতে পারবে না সুতরাং বেশী বেশী মদ খাওয়া দরকার'
.
এর থেকে কি বুঝলেন? ব্রেইন আবে হালায় একটা জিনিস্! 'পজেটিব্ জিনিসকে নেগেটিভ ভাবে, আর নেগেটিভ জিনিসকে পজেটিব করে ভাবে'
.
তাই কেউ যখন শুধু আপনার নেগেটিভ দিক নিয়ে আলোচনা করে এতে মন খারাপের কোন কারণ নেই! তার শিশু ব্রেইন!
.
মনোবিজ্ঞানে নেতিবাচক চিন্তার মানুষদের একটি সাইকোথেরাপি দেওয়া হয় যেটাকে বলে 'কগনেটিভ থেরাপি' যার মাধ্যমে আপনি এই মুহূর্তে কি কি চিন্তা করছেন তা সত্যি সত্যি খাতায় লিখে তারপর চিন্তাগুলোকে পরিবর্তনের জন্য ট্রিটমেন্ট করা হয়,
.
আচ্ছা একটা এক্সিপেরিমেন্ট হয়ে যাক, আপনি এখন কি ভাবছেন সত্যি সত্যি বলেন তো?
.
আমি তো ভাবছি.........ছোট বেলার জনপ্রিয় 'জনি জনি ইয়েস আপা' কত সুন্দর ছড়া ছিলো!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.