নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
ড. মইনুল ইসলাম স্যার অর্থনীতিতে একুশে পদক পেতে যাচ্ছেন বেপারটা খুব ভালো লাগার সৃষ্টি করেছে,
.
কারণ,
.
জীবনে এই একজন শিক্ষককে দেখেছি ক্লাশে আসতে কখনো লেট করেননি! স্কুলের মতো রুল কল্ করতেন! ছাত্রদের কিছু দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন!
.
জীবনের গল্পে বলেছিলেন কিভাবে সৎ থেকে জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে মেয়েকে দেশের বাহিরে পড়াশুনা করিয়েছিলেন!
.
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি হয়েও কতটা সাধারণের মাঝে অসাধারণ ছিলো একজন শিক্ষক!
.
তেলবাজী না করে সর্বোচ্চ সম্মান নিয়ে থাকা যায় তা এমন একজন মানুষকে না দেখলে বুঝা যেতো না!
.
ভাবতাম মানুষটা সততার জন্য জীবনে অনেক কিছু পাইনি! সত্য কথাটি বলে দেওয়ার জন্য অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন তবুও কিভাবে যেনো নীরবে লড়াই করে যাচ্ছেন!
.
প্রায় সময় বলতেন, 'তোমাদের থেকে ন্যায্য অধিকার চিনিয়ে নিলে তোমাদের বুকে যেমনি আগুন জ্বলবে তেমনি অন্যদের বুকেও আগুণ জ্বলে!'
.
সবসময় বলতেন, 'গরীবের জন্য এক ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা ধনীদের জন্য আরেক ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন বৈষম্য থাকা কখনো উচিত নয়!'
.
স্যার বলতেন, 'পৃথিবীর আর কোনো দেশে শিক্ষা খাতে এত কম বাজেট নেই'
.
তিনি আরো বলতেন, 'তেল, গ্যাস কিংবা অন্য কোন সম্পত্তি নয় বরং শিক্ষাই দেশের উন্নয়নের এক মাত্র হাতিয়ার'
.
গল্প বলতেন কিভাবে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সরকারি হিসেবে আশি লক্ষ শ্রমিক কিংবা বেসরকারি হিসেবে এক কোটি বিশ লক্ষ শ্রমিক রেমিটেন্স এবং গার্মেন্টস্ শিল্পের উপর ভর করে একটি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে!
.
কেডিএস এক্সেসোরিজে জয়েন করার আগে শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা স্যার মাস্টার্সে তৈরী করে দিয়েছিলেন!
.
বর্তমান পৃথিবীতে কোথায় কি হচ্ছে কি ঘটছে কেনো ঘটছে সেই গল্পগুলো আমার জীবনের শক্তি হয়ে রবে চিরকাল!
.
অর্থনীতির মতো রসকষহীন সাবজেক্টে তিনি যে রস্ মাখিয়ে দিয়েছিলেন তা স্যারের সরাসরি ছাত্র না হলে রূপকথা মনে হবে!
.
এখনো কনফিডেন্স সহকারে বলেন,'লুটপাট দুর্নীতির লাগাম ধরলে আগামী পাঁচ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে নেয়া সম্ভব'
.
দূর্নীতির সাথে কখনো আপোস করেননি এখনো ক্ষমতাসীনদের বার বার মনে করিয়ে দেন একদিন আপনাদেরও আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি করেনা!
.
খুশির দিনে স্যারের কাছ থেকে শুনা মাত্র ২২ পরিবার থেকে ২২০০০ কোটিপতি হওয়ার লুন্ঠিত গল্পগুলো নাইবা বললাম!
.
আমার প্রিয় বন্ধু বশির একবার স্যারকে নিয়ে লিখেছিলেন, 'স্যারের অদৃশ্য হস্ত বা অলৌকিক শক্তি দিয়ে আমাদের স্বপ্নে কিংবা কল্পনায় প্রাক-পৃথিবী ও মানব সৃষ্টির রহস্য আলোকপাতের পর চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় থেকে আরম্ভ করে ঢাকায় সামান্য থেমে ভারত হয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও চীনের স্লিক রোড় দিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন আফ্রিকা-শ্বেত চামড়ার ইউরোপের ভাল-মন্দ জানান দিয়ে ছোট কাঠের ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে কল্পনার রাজ্যের মত আমাদের সাথে করে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিদজে নেমে পানামাখাল ধরে পেরু পেরিয়ে সরু রাষ্ট্র চিলি দিয়ে পৃথিবীর সর্ব দক্ষিণের নগরী পুয়েন্টা আরেনাস দিয়ে বের হয়ে তার গল্প করতেন!'
.
প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সত্তর দশকে মইনুল স্যারের ছাত্র ছিলেন যে কোন এক প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেছিলেন, ‘স্যার,আমি এখন সরকারের অংশ। তাই, অনেক কথা বলার থাকলেও বলতে পারছি না’
.
অনেক বলতে না পারা কথা কিংবা না বলা কথা এভাবে এখনো বলে যান একজন চলন্ত জ্বলন্ত জীবন্ত কিংবদন্তি প্রফেসর ড. মাইনুল ইসলাম স্যার যাকে দেখলে অনেক বাঘা বাঘা শিক্ষকও শ্রদ্ধায় বিনয়ী হয়ে থাকে যা নিজ চোখ অনেকবার দেখেছি!
.
বাস্তব জীবন তার শিক্ষা যদি একটুও প্রয়োগ করতে পারি তবে নিজেকে ধন্য মনে করবো সব সময়!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আপনাকেও অন্তরিক ধন্যবাদ
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: শ্রদ্ধাঞ্জলি লিখেছেন দারুণ একটা ধারাবাহিকতা ধরে রেখে।পড়তে বেশ ভাল লেগেছে।
কথাগুলো সত্য এবং শিক্ষণীয়।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০১
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
ইমরান আশফাক বলেছেন: এইরকম স্যার আমাদের আরও দরকার। আমাদের স্কুলেও এইরকম একজন স্যার ছিলেন যিনি গল্পের ছলে পৃথিবীর বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী কিভাবে গড়ে উঠেছে তা বলতেন। আরও বলতেন কোন জাতীর কি কি বৈশিষ্ট, খাদ্যোস্ভাস বা কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি। উনি আমাদের উচ্চতর গনিত ও পদার্থবিজ্ঞান পড়াতেন। আজ ৩৫ বৎসর পরও উনার পড়ানোর স্টাইলটা মিস করি।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৯
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আমার প্রিয় বন্ধু বশির একবার স্যারকে নিয়ে লিখেছিলেন, 'স্যারের অদৃশ্য হস্ত বা অলৌকিক শক্তি দিয়ে আমাদের স্বপ্নে কিংবা কল্পনায় প্রাক-পৃথিবী ও মানব সৃষ্টির রহস্য আলোকপাতের পর চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় থেকে আরম্ভ করে ঢাকায় সামান্য থেমে ভারত হয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও চীনের স্লিক রোড় দিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন আফ্রিকা-শ্বেত চামড়ার ইউরোপের ভাল-মন্দ জানান দিয়ে ছোট কাঠের ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে কল্পনার রাজ্যের মত আমাদের সাথে করে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিদজে নেমে পানামাখাল ধরে পেরু পেরিয়ে সরু রাষ্ট্র চিলি দিয়ে পৃথিবীর সর্ব দক্ষিণের নগরী পুয়েন্টা আরেনাস দিয়ে বের হয়ে তার গল্প করতেন!'
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৩
পবন সরকার বলেছেন: ভালো লাগল স্যারের সত্য কাহিনী তুলে ধরার জন্য।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম স্যার আমাদের খুব বেশি নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার এ শ্রদ্ধাঞ্জলি পড়ে। স্যারকে আন্তরিক অভিনন্দন!