নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আপনি যখন ব্যতিক্রম কিছু করবেন তখন আপনার চেয়ে অন্যরা বেশী দুশ্চিন্তায় পড়ে যাবে,
.
আমি যখন প্রথম অনলাইনে লেখা শুরু করি তখন আমার মামা বাবা চাচা থেকে শুরু করে সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলো!
.
ছেলেটা খাতা কলম বাদ দিয়ে কী-প্যাড ঘুতাঘুতি করে করেটা কি!
.
আমার মামা আমাকে বলেছিলো তুমি টিপাটিপি করে কিছু করতে পারবে না তার চেয়ে সময়টা পড়াশুনায় দিলে বরং ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার এটা ওটা হতে পারতে,
.
এখন মামার ওয়ালে আমার লেখা থাকে! মামা মামীকে পড়ে পড়ে লেখা শুনায়! সেদিন হঠাৎ ফোন করে বলে টিন্ করতে এসে দেখি ওখানে তোমার ফ্যান্! বললাম ও তো আমার ভাগিনা! ইবনে সিনা তোমার সাথে একটু কথা বলবে!
.
কথা শেষে মামা ছোট করে বললো ওর ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একটু এক্সেপ্ট করে নিও!
.
গল্পগুলি এমনি,
.
আমার বাবা জীবনে আমার লেখা পড়েনি তবুও এতো মানুষ তাকে বলেছে, আপনার ছেলে তো লিখে?
.
কী প্যাড হাতে না থাকলে আব্বু উল্টো এখন টেনশনে পড়ে যায় ছেলেটা লেখালেখি ছেড়ে দিলো নাকি!
.
বাহির থেকে একটু দূরসম্পর্কীয় দাদা দাদীরা আসছে তাদের কাছে বাবা আমাকে নিয়ে গেছে পরিচয় করিয়ে দিতে তারা উল্টো আমাকে পরিচয় দেওয়া শুরু করেছে! খাইছেরে!
.
আমি পড়াশুনা করছি বারাক ওবামা মিশেল ওবামাকে কি সত্যি ভালবাসে? খুঁজতেছি তাদের ভালবাসার কাহিনী! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সে একটি বক্তব্যে তার স্ত্রীর দিকে আঙ্গুল তুলে কাঁদতেছে! বিশ্ব নির্বাক! সে কাঁপা কাঁপা স্বরে বলতে চাচ্ছে তুমি না থাকলে আজকের ওবামা কখনো সৃষ্টি হতে পারতো না!
.
তখন আমার স্যার বলছিলো, পড়াশুনা বাদ দিয়ে এসব কি করছো! বলছিলাম পড়ছি! তিনি অবাক হয়ে তাকিয়ে ভাবছেন! পাঠ্য বাইয়ের বাহিরে পড়াশুনা আছে কি না!
.
কথাগুলো বলার একটি কারণ আছে,
.
নিজের বিজ্ঞাপন করা দরকার!
.
কেএফসিতে ২৪ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৩ জনের চাকরি হয়েছে কিন্তু জ্যাক মায়ের হয়নি!
.
পুলিশে জ্যাক মা'য়ের পাঁচ বন্ধুর চাকরি হয়েছে কিন্তু জ্যাক মা রিজেক্টেড!
.
হোটেল বয় পরীক্ষায় ভালো মার্কস পেয়েও তার চাকরি হয়নি তার বন্ধুর হয়েছে সে স্মার্ট এবং সুদর্শন হওয়ার কারণে,
.
সে বন্ধুটি এখনো হোটেল বয় আছে কিন্তু জ্যাক মা শুধু চীনের শীর্ষ ধনী না বরং পুরো অর্থনীতির গতিপথ পাল্টে দিয়েছে!
.
আমেরিকার অর্থনীতিতে আগে শেয়ার হোল্ডার এরপর কোম্পানীর কর্মকর্তা কর্মচারী তারপর কাস্টমারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো,
.
জ্যাক মা এসে প্রমাণ করে দেখিয়ে দিলেন আগে কস্টমার এরপর কোম্পানীর কর্মকর্তা কর্মচারী তারপর শেয়ার হোল্ডারদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত,
.
অনেক শেয়ার হোল্ডার রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করলো! জ্যাক তোমার পলিসি ভুল্! জ্যাক মা তাদের বলেছিলো, তুমি আমার কোম্পানীর শেয়ার বিক্রী করে চলে যেতে পারো নো পবলেম্!
.
দিনশেষে কাস্টমাররা একটি কোম্পানী টিকিয়ে রাখে তেমনি সাধারণ মানুষগুলো তেমনি দিনশেষে ওরা একটি সরকার থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান কিংবা অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে একটি দেশকে,এগিয়ে রাখে,
.
সবার আগে আপনাকে বুঝতে হবে পাবলিক এখন কোন জায়গায় আছে আপনার মূল্যবান বক্তব্যটি সেখানে দেওয়া উচিত! ওখান থেকে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব! সেটা অনলাইন কিংবা অফলাইন হোক!
.
চল্লিশ জন মানুষ একসাথে থাকলে রাস্তার বুক্ও কেঁপে উঠে!
.
মানুষ এখন পকেটে স্মার্ট ফোন নিয়ে হাঁটে বই নিয়ে না সময় এখন গুগুলের.....ইয়ুটিউবের.....!
.
শিল্প বিপ্লব থেকে শুরু করে যে কোন বিপ্লব পঞ্চাশ বছরে পূর্ণতা লাভ করে তার প্রথম বিশ্ বছর আলোচনা সমালোচনা কিংবা টার্নিং পয়েন্টের বাকী ত্রিশ বছর রাজত্বের! ইন্টারনেট্ মাত্র কিশোর থেকে যৌবনে পা রেখেছে তার রাজত্ব এখনো শুরু হয়নি! এখনি সময়.......!
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি কবিতা লিখেন?
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩০
মাআইপা বলেছেন: চমৎকার লেখা
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৭
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কথা গুলো সুন্দর ভাবে সাজিয়ে বলেছেন। ভালো লাগলো
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৮
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ