নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
কোন কাজে সফল হতে হলে অন্য লোক কেন বিফল্ হয়েছে তাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে এগুতে হবে,
.
কিন্তু,
.
সফল লোকদের সফলতার গল্প শুনে মোটিবেশন্ পাবেন মাইরি সফলতার সূত্র পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে
.
শতবার ব্যর্থ হওয়ার পরও শতবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পগুলো কোন বইয়ে তেমন লেখা থাকে না কারণ মানুষ সফলতার গল্প বলতে ভালবাসে!!!
.
সুন্দরী মেয়েটি পটে গেছে! কি এক আজব চিজ্ আমি মাইরি! তুড়ি মারলে কাজ হয়ে যায়! নো নো! এর পিছনে ইনিয়ে বিনিয়ে রেনিয়ে কেনিয়ে পাত্তা পাওয়ার জন্য কিছু ব্যর্থ প্রচেষ্টা থাকে যা সাধারণত হিডেন স্টোরি হয়ে থেকে যায়!
.
আরে বেটা আমি একটা মাল্ এর পিছনে অনেকগুলো আমি একটা বাল্ টাইপ গল্প থাকে! সফলতার পর এসব গল্পের কবর রচিত হয়!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়া একটি সূত্র আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি, ' 'উন্নত দেশগুলো সফল হওয়ার পর সফলতার যে মই তা লুকিয়ে বলে এদিক/ওদিক/সেদিক যাও এটা/ওটা/সেটা করো কিন্তু দিন শেষে অনুন্নত দেশ যে লাউ সে কদু হয়ে থাকে! মাই আর খুঁজে পাইনা!'
.
আপনি কেনো ব্যর্থ হয়েছেন এই প্রশ্ন থেকে উত্তর পেয়ে যাবেন আপনাকে এখন কি করা উচিত কিংবা কি করতে হবে!
.
গর্ত আছে জেনেও ওভার কনফিডেন্স নিয়ে হেঁটে গর্তে পড়ে যাওয়াকে চেষ্টা বলে না বরং ঐ পথে হাঁটতে গিয়ে পড়ে যাওয়া মানুষগুলো থেকে জানা দরকার অমুক সমুক তমুক জায়গায় গর্তগুলোতে পড়ে যাওয়ার কারণে তারা কেনো রাস্তাটি পাড় হতে পারেনি! ব্যাস্ জেনে তো গেলেন এবার গর্তের কিনার দিয়ে হেঁটে চলে বহুদূর!
.
পৃথিবীতে ব্যর্থ মানুষগুলো অন্যকে সফলতার পথ দেখানোর জন্য তাদের গুরু মানা উচিত!
.
বাবা মিল্টন রাইট দুই ছেলে উইলবার রাইট এবং অরভিল রাইটকে একটি খেলনার হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিলেন তারপর একদিন খেলনাটি ভেঙ্গে গেলো!
.
খেলনা ভেঙ্গে যাওয়ার সেই দুঃখে তারা নিজেরাই হেলিকপ্টার বানাবে এমন পণ করে বসলেন! শুরু হলো তোড়জোর!
.
১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে উইলবার রাইট পাঁচ ফুট উচ্চতার একটি বাক্স ঘুড়ি বানিয়ে তাতে পাখা বেঁধে ওড়ার চেষ্টা করা শুরু করেন!
.
উড়তে না পেরে কিছুদিন গবেষণা করে একটা গ্লাইডার বানিয়ে নিয়ে আসলেন!
.
আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার কিটি হকে নিয়ে আসা হয়েছিলো সেটিকে তারপর সেটি বার সেকেন্ড উড্ডয়ন করেছিলো!
.
যন্ত্রটির নাম দেন 'ফ্লাইয়ার-ওয়ান' যা করে তারা পরবর্তিতে ১০৫ বার উড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন!
.
১৯০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অরভিল প্রথম এক ঘণ্টা দুই মিনিট পনের সেকেন্ড আকাশে উড়ে পুরো বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন!
.
১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট টমাস সেলফ্রিজকে অবজারভার করে তিনি আবার আকাশে উড়া শুরু করলেন,
.
কিন্তু,
.
বিমানের প্রোপেলার ফেটে সেটি কাঁপতে কাঁপতে ভূমিতে আছড়ে পড়ে এবং সেলফ্রিজ মারা যায়! অরভিল কোন রকমে প্রাণে বেঁচে যায়! তারপর থেকে রাগে ক্ষোভে দুঃখে তিনি আর কখনো আকাশে উড়ার চেষ্টা করেন নি!
.
অরভিল কেনো ব্যর্থ হয়েছিলো তার উপর ভিত্তি করে গবেষণা চালানোর ফলস্বরূপ আজো মাথার উপর দিয়ে হেলিকপ্টার উড়ে গেলো! টা টা গুরু অরভিল!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। হাসলাম।