নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
ষোল শহর দুই নং গেইট আল ফালাহ্ মসজিদের সামনে এক সিএনজি চালক সেখানে টংয়ের দোকানের সামনে চা খেতে থাকা এক লোককে বলছে, ভাই আমার গাড়িটা একটু দেখে রাখিয়েন আমি নামাজ পড়ে আসি,
.
লোকটি নামাজ পড়তে গেলো! সারাদিন সিএনজি চালানোর পর তার শরীরে ঘামের গন্ধ ছিলো! সেখানে থাকা তিন জন এলিট্ শ্রেণির মুসল্লী তাকে এক প্রকার অপমান করে বললো, ভাই ঐ দিকে দূরে গিয়ে নামায পড়েন!
.
লোকটি দূরে গিয়ে নামাজ আদায় করে এক প্রকার চোখের জল নিয়ে ফিরে আসলো! সেখানে তার গাড়ি পাহারা দেওয়া ভদ্রলোক তার মন খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করলো, ভাই কি হয়েছে?
.
তখন সে বললো আমার ময়লা কাপড় আর ঘামের গন্ধ দেখে তিনজন লোক আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে!
.
তা শুনে ভদ্রলোক বললো, ভাই আমি নামায কম পড়ি সেটা ঠিক কিন্তু আর কখনো যদি আপনার সাথে দেখা হয় আপনাকে আমার গায়ের চাদরটা দিবো ওটাকে জায়নামাজ বানিয়ে আপনি নামায পড়বেন! মন খারাপ করে না ভাই!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনেক আগে আমি একবার নামায পড়তে গিয়েছিলাম সেখানে থাকা এক চামচা আমাকে বলেছিলো, ভাই একটু সাইডে দাঁড়ান স্যার এখানে নামাজ পড়বে! তারপর থেকে আমি ভুলেও ঐ মসজিদে নামাজ পড়তে যায় না!
.
গল্পটি যখন শুনছিলাম তখন গুরু কাজী নজরুল ইসলামের 'মানুষ' কবিতার দুটি লাইন মনে পড়েছিলো,
'খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা র’বে, চালা হাতুরি-শাবল চালা!'
.
আজ তিনি বেঁচে থাকলে লিখতেন,
'খোদার ঘরে কে বলেছে তোকে এই দূর গিয়ে নামাজ পড়্ শালা,
ঐ মাদারচোদ্ কে লাথ্থি মেরে মসজিদ থেকে বের করে দে,
সে একটা আস্তো হালার পো হালা'
.
দুই লাইন চরম কবিতা লিখে ফেললাম! অসাম শালা শরীফ! অসাম শালা!
.
'ওর চেয়ে বড় অন্যায়কারী আর কে হতে পারে, যে প্রার্থনার জায়গায় আল্লাহর নাম নিতে বাঁধা দেয়? সেগুলো বিরান করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে? এই সব লোকেরা প্রার্থনার জায়গাগুলোতে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ছাড়া প্রবেশ করার যোগ্য নয়। ওদের জন্য এই দুনিয়াতে রয়েছে অপমান-লাঞ্ছনা, এবং আখিরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি।' [আল-বাক্বারাহ ১১৪]
.
সমাজে এখন লোক দেখানো নামাজীর সংখ্যা বেড়ে গেছে!
.
আমার দাদা বিশ্ বছর কুয়েতে ছিলেন! দাদা কুয়েত থেকে এলে আমরা সন্দ্বীপে বেড়াতে যেতাম,
তিনি বলতেন, 'একমাত্র শুদ্ধ ভাবে নামাজ পড়ে বাঙ্গালীরা! আল্লাহর ভয়ে ওজু করে মসজিদে গিয়ে তৃপ্ত নয়নে বের হয়ে আসে! কিন্তু সৌদির অনেক জায়গায় পাছায় বেতের বারির ভয়ে অনেক ওজু ছাড়া নামাযে দাঁড়িয়ে যায়!'
.
করুণ অবস্থা!
.
শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তব! তেমনি সমাজে লোক দেখানো নামাজী বেড়ে গেছে!
.
আরেক শ্রেণির মানুষ আছে যারা মসজিদে নামাজ পড়তে যায় মাতব্বরি ফলানোর জন্য! কোন না কোন ইস্যু দাঁড় করিয়ে ক্যাসাল লাগিয়ে দিয়ে বের হয়!
.
আমাদের শোভাকলোণির মসজিদে এসব ক্যাসাল প্রতিরোধে একবার তরুণ প্রজন্ম ব্যঙ্গ প্রতীকী পোস্টারিং করে মসজিদের সামনে লাগিয়ে দিয়েছিলো,
.
তাতে লেখা,
.
ইমাম সাহেব নামাজ মনে হয় দুই মিনিট আগে শুরু হয়েছে! আরেকজনের কমেন্ট, আপনার ঘড়ি মনে হয় স্লো! তারপরের জনের কমেন্ট, আপনি বেশী বুঝেন! অন্য একজন, আমি আপনার চেয়ে কি কম বুঝি! এভাবে চলছিলো....!
.
তারপর থেকে মুরুব্বিদের মুখ বন্ধ!
.
কথায় কথায় মুরুব্বিরা বলা শুরু করলো, এলাকার পোলাপাইন বেয়াদ্দব হয়ে গেছে!!!
.
অতপর কে জেনো আরো একটি পোস্টারিং করলো, 'দাগ থেকে যদি দারুণ কিছু হয় তবে বেয়াদ্দব ই ভালা'
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
আনু মোল্লাহ বলেছেন: পোস্ট পড়ে কষ্ট পেয়েছি। শেষের দিকটায় এসে আশান্বিত হয়েছি।
ধন্যাবাদ।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভুখারী ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে–
“আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তেমায় কভু,
আমার ক্ষুধার অন্ন তা’বলে বন্ধ করোনি প্রভু !
তব মজসিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী,
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী !”
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ।