নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর সালামের পর দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি হিসেবে আমার প্রাণ প্রিয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রী লাভ করেছেন ভারতের একমাত্র সাবেক বাঙ্গালী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি,
.
ষোল শহর দুই নং গেইটে জ্যামে আটকে থেকে আমি তীর্থের কাকের মতো তার বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাওয়া দেখছিলাম! বেপারটা চমৎকার,
.
প্রণব মুখার্জিকে কেনো আমার ভালো লাগে তার অনেক কারণ আছে!
.
প্রথমত তিনি একজন বাঙ্গালী
.
দ্বিতীয়ত তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সাহসী নেতা' যা বিএনপি এখনো পারেনি! এটা মনে হয় বিএনপির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা!
.
শত প্রতিকূলতার মধ্যে গার্মেন্টস্ কিংবা রেমিট্যান্সের উপর ভিত্তি করে সর্বক্ষেত্রে দূর্নীতিগ্রস্থ একটি দেশ কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা অনুধাবন করে তিনি বলেছিলেন, 'দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশই সেরা'
.
সোজা কথা হচ্ছে রতনে রতন চিনে হাজার মান অভিমান থাকলেও বাঙ্গালী চিনে বাঙ্গালী! বুকের ভিতর কোথাও যেন একটি টান থেকে যায়!
.
হালা নোয়াখাইল্লা নতুবা বরিশাইল্লা বলে যতো গালি দিইনা কেনো দেশের বাহিরে কোথাও দেখা হলে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যা বিদেশ ফেরত অনেকের মুখে শুনেছি!
.
সেদিন নোয়াখালির এক বন্ধুকে ইমোতে বললাম, কেমন আছিস? সে বললো, বুক ব্যাথা! বললাম কি হয়েছে? সে বললো, শালার এক পরিচিত বরিশাইল্লা কুয়েতে আমাকে দেখে 'তুই নোয়াখাইল্লা হালা এখানে কি করিস্' বলে এতো জোরে বুকে বুক চাপ দিয়েছে যে তিনদিনও ব্যাথা যাচ্ছে না'
.
কিছু ব্যাথা আছে প্রথম প্রেমের বেদনার মতো অনেক ক্ষোভ যন্ত্রণা যাতনা থাকলেও তাতে ভাল লাগার রেশ্ থাকে!
.
আমার তো সন্দ্বীপ্পা মানুষ দেখলে ইচ্ছে করে চাবায় খেয়ে ফেলি!!!
.
বলছিলাম প্রণব মুখার্জির কথা,
.
ভারতের ডাক ও টেলিগ্রাফ বিভাগের উচ্চমান কেরানি ছিলেন পল্টু তারপর কলেজ শিক্ষক থেকে সাংবাদিকতা এবং সেখান থেকে অমানুষিক পরিশ্রম আর সততা দিয়ে পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি! ভাবা যায়!
.
পল্টু থেকে প্রণব মুখার্জির এসব গল্প অনেক দেশে চললেও আমাদের দেশে বল্টু থেকে রাতারাতি অবস্থা বদলের গল্প ই বেশী!
.
সেদিকে যাবে না
.
অনেক আগের কথা তখন পল্টু একদিন স্কুল যাওয়ার পথে প্লাস্টিকে মোড়ানো বই হাতে দেখছিলেন, তার সামনে দিয়ে তৎকালীন ভারতের রাষ্ট্রপতি যাচ্ছে, তা দেখে তিনি তার বড় বোন অন্নপূর্ণাকে বলেছিলেন, ইশ্ আমি যদি রাষ্ট্রপতিকে বহন করা ঘোড়া হতে পারতাম!
.
তখন তার বোন বলেছিলেন, 'তুই কেনো রাষ্ট্রপতির বহন করা ঘোড়া হতে যাবি! তুই নিজেই রাষ্ট্রপতি হবি!'
.
সত্যি সত্যি সেই ছেলেটি একদিন ভারতের প্রথম বাঙ্গালী রাষ্ট্রপতি হয়েছিলো!
.
ইশ্ আমি যদি বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর গাড়ির ড্রাইভার হতে পারতাম! :p
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
বনসাই বলেছেন: তবে এটা আর বলা যাবে না যে আপনি ড্রাইভার কেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
সেই দিন নাই আর।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।