নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
প্রথম ক্রাশ খাওয়ার পর আমার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলাম তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন জেমসের 'ঐ দূর পাহাড়ে লোকালয় ছেড়ে দূরে, মন কেড়েছিলো এক দূরন্ত মেয়ে সেই কবে...ও দুষ্ট মেয়ে' গানটি বারবার শুনতে থাকা
.
গানটি এতোবার শুনেছিলাম যে তাকে ভাবার আর অবসর হয়নি....! আমি জেমসকে ই ভালবেসে ফেলেছিলাম!
.
তখনি নিশ্চিত হয়েছিলাম প্রেম ট্রেম আমার দ্বারা হবে না!!!
.
আরো কিছুদিন পর যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম তখন চারদিকে ক্রাশ আর ক্রাশের খনি
.
হঠাৎ প্রিয় হয়ে উঠলো 'মন কি যে চাই বলো যারে দেখি লাগে ভালো' গানটি...! শুনতে শুনতে আমার কানের বারোটা বাজিয়ে মাইরালাইছে...!
.
তারপর অর্থনীতি সেকেন্ড ইয়ারে সাপ্লি খেয়ে প্রিয় হয়ে উঠলো 'আমার স্বপ্নগুলো কেনো এমন স্বপ্ন হয়, এই মনটা কেনো বারে বারে ভেঙ্গে সায়' তার সাথে অনুভূতিগুলো....!
.
ঐ দূর পাহাড় গানের মেয়েটি আজ দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সুখে আছে! সেদিন তার মেয়েকে দেখে আমি আবারও ক্রাশ! সে ও আমাকে...! ছেলেরা আসলেই এভার গ্রীণ!
.
যাকে দেখি লাগে ভালো লাগা মেয়েগুলো আজ কেবলি স্মৃতিতে মহারাণী বাস্তবে তারা হয়ে গেলো নানী!
.
দুষ্ট মেয়েগুলো সব শিষ্ট হয়ে সংসার করছে....!
.
সেই ছেলেগুলো আজও চির সবুজ রয়ে গেছে তবে মাথায় টাক না ধরলে আমার বয়সী সব ছেলে আজও গ্রীণ!
.
মূল কথায় আসি,
.
তবুও মেয়েগুলো সুন্দরী! সকালে ঘুম থেকে উঠে রাত অবধি সুন্দরতম কাজের মধ্য দিয়ে তারা আরো সুন্দরী হয়ে উঠে!
.
আমি যখন আমার বন্ধুর সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরি তখন তার বউ অফিস থেকে গিয়ে কোন কাজ না থাকলেও মশারির ছেঁড়া শূন্যতা সেলাই করে পূর্ণতা দিচ্ছে!
.
ঠিক জায়গা থেকে সরে যাওয়া ফুলের টব ঠিক যায়গায় রাখছে! আমার তো টব কাইত হয়ে পড়ে থাকা দেখেও আনন্দ লাগে!
.
একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি একটি সংসার কিভাবে আরো সুন্দর গোছানো পরিপাটি হবে সেই চিন্তা করতে করতে পঞ্চাশ ভাগ মেয়ে কুড়িতে বুড়ি হয়ে যায়!
.
প্রতিটি মেয়ে সন্তান হওয়ার পর তার ভালো মন্দ নিয়ে এতো চিন্তা করে যে তাকে এক প্রকার হাইফার টেনশন রোগী বললে পাম্প দেওয়া হবে না!
.
পশু পাখি থেকে শুরু করে সবাই জন্মগ্রহণ করে তবুও কেউ কেউ জন্মের পর মানুষ হয়ে যায় তার পিছনে একজন নারী বৈকি বাকীদের অবদান সামান্য বৈকী বেশী হবে না!
.
একশনএইড বাংলাদেশের মতে বিডিতে একজন নারী প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা সেবামূলক কাজ করে কোন পারিশ্রমিক ছাড়া!
.
আর আমরা পুরুষরা সেবামূলক কাজ করি গড়ে মাত্র এক ঘন্টা বিশ মিনিট!
.
অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে জানার চেষ্টা করেছিলাম এই সেবা জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তা জিডিপির পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে! ভাবা যায়!
.
মিনা কার্টুনের রাজুর কথা মনে আছে যে একদিন নারীদের কাজ করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ্ হয়ে গিয়েছিলো
.
তবুও দিন শেষে পুষ্টিকর খাবারগুলো পুরুষের প্লেটে উঠে!
.
আর নারীকে শুনতে হয়, ওডি তোরা কোন কাজের নো, দুনিয়াতে শুধু ভাতের পোন্ মারতে আইচ্ছুস্ দে!
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমিও পড়লাম
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
পথিক সরদার বলেছেন: আর নারীকে শুনতে হয়, ওডি তোরা কোন কাজের নো, দুনিয়াতে শুধু ভাতের পোন্ মারতে আইচ্ছুস্ দে![/sb
এই ভ্রান্ত ধারণাগুলো দূর করতে পারলেই আর কোনো বৌষম্য থাকবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।