নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যতবার চট্টগ্রামে আসেন ততবার আমাকে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে হয়! এতে আমার স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে সুতরাং আপনাকে ধন্যবাদ!
.
হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি জানেন আপনি যখন আসেন তখন সারাক্ষণ জ্যামে আটকে থাকা ব্যস্ত রোড ফাঁকা হয়ে যায় দেখতে খুব ভালো লাগে!
.
আপনার আরো অবগতির জন্য জানাচ্ছি সেদিন যখন জ্যামে আমার বাবাকে বহন করা অ্যাম্বুলেন্সটি জ্যামে হুইসেল বাজাচ্ছিলো তখনো কেউ এক বিন্দু ছাড় দেইনি!
.
আপনার জন্য হান্ড্রেড পার্সেন্ট ছাড়!
.
আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বলে কথা
.
হ্যালো প্রধানমন্ত্রী আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন?
.
যে রোড দিয়ে একটু আগে আপনি চলে গেলেন সেখানের ফুটপাতে গোটা দশেক অসহায় মানুষ শুয়ে ছিলো তারা আজ আর নেই!
.
আপনার জেনে আরো ভালো লাগবে,
.
এই রাস্তায় গোটা দশেক পাগল সারক্ষণ উষ্কখুষ্ক হয়ে ঘুরাঘুরি করতো আজ তারাও নেই! তারাও আপনাকে চিনে!
.
নাই এর মধ্যে আজ ফুটপাতের দোকানগুলোও উদাও হয়ে গেছে!
.
গতকালের রাস্তার গর্তগুলো পর্যন্ত আজ উদাও! শুধু তা না এই শহরের ধুলোবালি গুলোও মনে হয় আজ বিক্রী হয়ে গেছে!
.
তাই মাঝে মাঝে চট্টগ্রাম আসতেই পারেন! দাওয়াত রইলো!
.
বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আপনি কিংবা মন্ত্রীরা আসে তখন গাছগুলোও রঙ্গীন হয়ে যায়!
.
কখনো সময় হলে শোভাকলোণীর আঙ্গিনা দিয়ে ঘুরে যাবেন তাতে হাঁটার রাস্তায় ফুলচন্দন পড়বে!
.
শুনেছি আমরা অভাগার যেদিকে চায় সাগর শুকাই যায় কিন্তু আপনি যেদিন তাকান কেবলি উন্নয়নের জোয়ার ভেসে আসে!
.
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিইসি মোড়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত বৃদ্ধ মহিলাটিকে অন্তত আপনার গাড়িতে করে নিয়ে যান তাহলে অসংখ্য সোয়াব হবে!
.
আপনাদের দেখে অনেক হিংসে হয় কারণ আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতাম তাহলে হয়তো একদিন এই শহরের সুন্দরী ললনাদের কয়েক ঘন্টার জন্য শীতের মিষ্টি রোদে ঠাইট দাঁড় করিয়ে রাখতে পারতাম!
.
জানেন মাননীয়া?
.
নাবিলার মেকাপ গলে যাওয়ার দৃশ্যটা কিন্তু দারুণ উপভোগ করছি!
.
ওপাশ থেকে তাড়াতাড়ি আসো বলতে থাকা সখিনার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে ব্রকাপ হয়ে যাচ্ছে!
.
আপনি আসবেন জানলে আগে থেকে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম তা পারছি না বলে দুঃখিত!
.
দশটা পাঁচটা নয় আমাদের একটি মাত্র প্রধানমন্ত্রী!
.
ভাগ্যিস পাশের সিটে একটি সুন্দরী মেয়ে বসেছিলো না হলে হয়তো অন্যদের মতো আমিও আপনার প্রতি বিক্ষুব্ধ হতাম!
.
তবুও সোনার বাংলা সোনার দেশ, আপনার সেবায় বসে থেকে লাগছে বেশ্!
.
পাশ থেকে একজন জাতীয় সংগীতের দুই কলি গেয়ে যাচ্ছে!
.
কি মধুর সুর!
.
ঐদিকে মাইর চলছে! মাইর! উৎসুক জনগনের পাছার উপর! ওরা তবুও কাছ থেকে আপনাকে একটু দেখবে বলে লাইন ক্রস করে চলছে!
.
কেউ কেউ মানুষ না! এলিয়েন!
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রেখে গেলুম
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমরা প্রতিদিনই আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থাকি। কি আর করবেন না মেনে উপায় নাই গোলাম হোসেন । ভাল লিখছেন ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: রাস্তায় জীবন! রাস্তায় মরণ!
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মহিউদ্দিন ডাকাতের পরিবারকে দেখতে গিয়েছিলেন?
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ওখানে গিয়েছিলেন কিন্তু ডাকাত তো সবাই আবার সবাই ভালো
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
ভুলো মন বলেছেন: কেউ কেউ মানুষ না! এলিয়েন!
কথা সত্য!
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: মানুষ হলে তো উনিও জ্যামে আটকে থাকতেন
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২
মরুসিংহ বলেছেন: সমস্যাতো এখানে। প্রধানমন্ত্রী যেপথ দিয়ে যায় সেটা রাতারাতি ১ দিনের জন্য সিংগাপুর হয়ে যায়। ফলে প্রকৃত বাংলাদেশের চিত্র ওনারা দেখতে পান না। চট্টগ্রামের রাস্তায় এখন যে বিশাল বিশাল গর্ত সেই গর্তের মধ্যদিয়ে একবার গেলেই উনি ১ সাপ্তাহের জন্য রেস্টে যেতেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।