নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
ভারতের জাভেদ হাবিব যিনি নাপিত থেকে ৪৮৪ টি আউটলেট নিয়ে আজ কিংবদন্তি!
.
পেশাকে শিল্পে পরিণত করার এক যাদুকর! ট্যালেন্টরা এমনি! বাঘা বাঘা সেলেব্রেটিরাও তার সাথে সেলফি কিংবা চুল কাটানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে থাকে!
.
ঢাকার উত্তরায় তিনি যখন তার ব্যবস্থাপনায় একটি স্যালন উদ্বোধন করতে কলকাতা থেকে ছুটে আসছিলেন তখন ফ্যাশন জগতে রাঘব বোয়ালরা তারা সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য তীর্থের কাকের মতো প্রতীক্ষিয়া ছিলেন!
.
তার স্বপ্ন আগামী পাঁচ বছরে আরো ২,৫০০ স্যালন প্রতিষ্ঠা করা!
.
আমি সুযোগ থাকলে চুল কাটানোর আগে নরসুন্দরকে জাভেদ হাবিবের গল্পটি শুনিয়ে আসি! সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে! আমি চোখ বন্ধ করে থাকি আর সে আমার মাথার উপরে শিল্পচর্চা করে!
.
তাই এক সময় আমার এক এক হেয়ার স্টাইল!
.
সম্প্রতি আমি বায়জিদ ক্যান্টনমেন্ট সুপার মার্কেটে চুল চাঁট দিই! তাকে প্রশ্ন করলাম চুলের যত্নে কি ব্যবহার করবো!
.
সে আবারো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে! ভাবছে চুলের যত্নে কি ব্যবহার করবো সেটা জানা কি আমার কাজ!!!
.
তাকে বললাম বিখ্যাত নাপিত জাভেদ হাবিব বলেছেন প্রতিদিন শ্যাম্পু এবং সম্ভব হলে শ্যাম্পু করার দশ মিনিট আগে সরিষার তেল মাখবেন! এনাফ ইজ এনাফ!
.
সে আবারো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ভাবছে নাপিত আবার বিখ্যাত হয় কি করে?
.
সে বললো নাপিত জাবেদ হাবিব কে? তাকে জাবেদ হাবিবেব গল্পটি শুনিয়ে দিলাম! তার দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টে গেলো!
.
সেদিন দেখলাম সেলুনে তার বউ এসে বসে আছে! অভিযোগ সে এখন নাওয়া খাওয়া দাওয়া ছেড়ে চুল কাটা নিয়ে পড়ে থাকে! বাজার পর্যন্ত করতে যায়নি!
.
এতোদিন সে ভাবতো আমি তো একটা নাপিত! কেবলি নাপিত! দিনশেষে আমি শুধু একজন নাপিত!
.
এখন থেকে সে ভাবে আমি একজন শিল্পী! কেল্লা বহুত দূর! আমাকে এগিয়ে যেতে হবে!
.
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন কিংবদন্তি জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিংয়ের মধ্যে বলা হয়ে থাকে মার্টিন লুথার কিং আমেরিকাকে সভ্য করেছেন!
.
মূলতো মার্টিন লুথার কিংয়ের 'আই হেভ এ ড্রিম' বক্তব্যটি পুরো পৃথিবীর সেরা দশটি বক্তব্যের মধ্যে একটি,
.
তিনি বলেছিলেন, 'আমি স্বপ্ন দেখি আমার সন্তানরা বর্ণবৈষম্যের শিকার হবে না বরং তারা ভাই বোনের মতো সাদা কালো একসাথে আনন্দে বসবাস করবে'
.
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকায় যেমন বর্ণবৈষম্য ছিলো আমাদের দেশে আছে পেশা বৈষম্য!
.
কামার, কুলি, মেথর, চাষা, নাপিত টাপিতকে এখানে পেশা হিসেবে নিম্মশ্রেণির মনে করা হয়!
.
তাই অনেক শিক্ষত বেকার বাহিরে দেশে গিয়ে প্লেট ধৌত করতে করতে ঐ প্লেটে ঘুমিয়ে যাওয়ার পরও দেশে তারা চা পান করে ঐ কাপ দোকানে কাজ করা ছেলেটির হাতে তুলে দেওয়া'কে প্রেস্টিজ যাবে ভেবে নিজেকে সভ্যতার কান্ডারী মনে করে!
.
বলা হয়ে থাকে ত্রিশ লক্ষ বেকার! লাখ লাখ শিক্ষিত ছেলেরা রাস্তায় ঘুরছে! আসলে বেপারটা হলো তারা প্রেস্টিজ বাঁচাতে বিসিএস ব্যাংক কিংবা কোন ভালো কর্পোরেট অথবা ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার নেশায় ভূত হয়ে ঘুরছে!
.
মাথায় ঢুকে গেছে ভালো চাকরি না করলে বউ পাবি না! সালাম পাবি না! কেউ কেয়ার করবে না!
.
প্রথমে বলছিলাম ট্যালেন্ট ইজ ট্যালেন্ট! সে যে কাজটি করবে সেটা একদিন শিল্পে পরিণত হবে!
.
হয়তো কোন একদিন শাহরুখ খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দুই নং গেইটের আলামিনের সেলুনে এসে বলবে, 'সকালের ফ্লাইটে চলে আসছি চুল কাটাতে ভালো করে কেটে দাও বিকেল শ্যুটিং আছে'
.
সেলুনের ছেলেটি উত্তর দিবে, 'বস্ সাইডে বসেন এরপরে শরীফ ভাইয়ের সিরিয়াল আজ তার বিয়ে'
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আগে বুঝতে পারিনি বেপারটা :'P
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২
ইলি বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রেখে গেলুম
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৬
সুমন কর বলেছেন: লেখাটি ভালো ছিল। শিরোনামের কারণে পাঠকরা দূরে ছিল এবং থাকবে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: পরের বার মাথায় থাকবে বেপারটি
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৮
সাইন বোর্ড বলেছেন: লেখার বিষয়বস্তু ভাল, তবে শিরোনামটা লেখাকে হালকা করে দিয়েছে ।