নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
মেয়েটি খুব সুন্দর হওয়ার সুবাদে প্রথম বর্ষে মেয়েটির অনেকগুলো ছেলে বন্ধু ছিলো তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তার প্রেমে পড়ে যায়! তার মধ্যে মেয়েটির একটি ফ্রেন্ড ছিলো কাশেম সে মনে মনে মেয়েটিকে ভালবাসলে ভুলেও বলতো না!
.
কারণ কাশেম সাইজে ছিলো পাঁচ ফিট পাঁচ আর ঢিলাঢালা শার্টের সাথে উষ্কখুষ্ক চুল আর দাঁড়ি তাকে আরো বেশী হতভাগা লুকিং দিয়েছিলো! ধৈর্য ধরে সে মেয়েটির ব্যাগ শিট হুট ফরমায়েশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যেতো!
.
সুন্দরী এমন কিছু ফ্রেন্ড থাকে! থাকে না এমন? থেকেও না থাকার মতো!
.
মেয়েটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গোল্ডেন ইয়ারের আমার প্রথম ক্রাশ ছিলো! কখনো সাহস স্বল্পতার কারণে বলা হয়নি!
.
সেই থেকে আমি অর্থনীতির ছাত্র হয়েও সোসোলজি ডিপার্টমেন্টের ছেলেগুলোকে ভাগ্যবান মনে করা শুরু করেছিলাম! তারাও গর্ব করে বলতো আমাদের ক্লাশে একটা মাল আছে!
.
উই আর প্রাউড টু বি এ সোসোলোজিয়ান! আমি আরো বৃহৎ চিন্তা করে তাদের বলেছিলাম মেয়েটি যখন চবিতে পড়ে উই আর প্রাউড টু বি এ চবিয়ান!
.
মেয়েটির বন্ধুদের মধ্যে ধৈর্য হারা স্মার্ট ছেলেটি একদিন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়! সে জানতো না গোল্ডেন ইয়ারে সুন্দরী মেয়েরা কতটা উচ্চাকাঙ্ক্ষী থাকে! গরম ভাতে হাত দিয়ে তার হাত পুড়ে গেলো তারপর সে হয়ে উঠেছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা কবি! কবিও কবিতালয়ের সভাপতি!
.
মেয়েটি যখন বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে একটি ছেলের সাথে ক্যাম্পাসের এদিক ওদিক ঘুরতে ছিলো তখনও বিএফের চাপে একটি মাত্র ফ্রেন্ড তার লাইফে বৈধতা পায় সে হলো ঐ কাশেম!
.
তারা দুইজন যখন শাটল ট্রেনে বাদাম ছিলে একজন আরেকজনকে খাওয়াচ্ছিল সে বাদামের ভাগও কাশেম পেতো! কাশেম বাদাম ছিলে মুখে দিয়ে জনালা দিয়ে খোসা ফেলতো আনমনে!
.
একদিন বাদাম শেষ! মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড নিরুদ্দেশ!
.
খুব আপসেট হয়ে গেলো সুন্দরী! সেই চান্সটি আমি নিতে চেয়েছিলাম! আকারে ইঙ্গিতে অফারও দিয়েছিলাম কিন্তু কোন ছেলেকে সে আর বিশ্বাস করে না! করতো না!
.
জগতের সব ছেলে আজ তার কাছে ফ্রড্!
.
তখনি পাল্টা প্রশ্ন করেছিলাম, তাহলে কি কাশেম ও এমন?
.
তার উত্তরে বুঝলাম কাশেম কোন ছেলের পর্যায়ে পড়ে না! তার অন্যান্য বান্ধবীর মতো কাশেমও একটি বান্ধবী!
.
থাকে না এমন কিছু ছেলে? ছেলে বন্ধু হয়েও না থাকা বন্ধুর মতো একটি বান্ধবী!
.
এভাবে দ্বিতীয় বর্ষ কেটে গেলো! কোন ছেলে আর চান্স পাচ্ছে না! মেয়ে পড়ালেখায় মনোযোগ দিলো! আলাদীনের দৈত্যের মতো মোবাইল বাটনে ঘষা দিলে কাসেম শীট নিয়ে হাজির হতো!
.
মাঘ মাসের শীত! রাত বারোটা! সকালে এক্সাম! মেয়েটির কানে কিভাবে যেনো খবর পরীক্ষার একটি প্রশ্ন আউট হয়েছে! কাশেমের মোবাইলে ফোন আসলো! ফটোকপির কোন দোকান খোলা নেই! হলের সামনে না আছে রিক্সা! অবশেষে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে সকাল ছয়টায় প্রশ্নের উত্তরের শিট নিয়ে সে খালেদা জিয়া হলের সামনে হাজির!
.
এভাবে টুকরো টুকরো গল্পে সেকেন্ড ইয়ার শেষ হয়!!!
.
থার্ড ইয়ারে মেয়েটি একটি ছেলের প্রতি ক্রাশ খায়! ছেলেটিকে অনেক বিশ্বাস করতো মেয়েটি! ছেলেটি ছাত্র রাজনীতি করতো!
.
কোন এক অবেলায় ছেলেটি তাকে নিয়ে সেন্ট মার্টিন ঘুরতে যায়! বেপারটি কাশেমও জানতো না!
.
এক সপ্তাহ পর মেয়েটি ডিপার্টমেন্টে আসে! কাশেম রেল লাইনে দাঁড়িয়ে আছে!
.
মেয়েটি কিছু বললো না! তার এক মাস পরে সুন্দরী ছেলেটিকে ফোন করে বললো, তাকে বিয়ে করতে! সে মা হতে চলেছে!
.
ছেলেটি বেশ্যা টেশ্যা বলে মেয়েটিকে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়! মেয়েটি কাঁদতে থাকে!
.
কাশেম মেয়েটিকে অনর্গল কল করে যাচ্ছে! কারো ফোন রিসিভ করছে না! দিন রাত ঘুমের ঔষুধ খেয়ে আউলা ঝাউলা হয়ে থাকে মেয়েটি!
.
একদিন মেয়েটি খুব জরুরী প্রয়োজনে ডিপার্টমেন্টে আসার পর কাশেম তাকে ঘিরে ধরে! মেয়েটি কাশেমকে সব ঘটনা খুলে বলে! একটি দুই তিন মাসের সন্তান হত্যার গল্প!
.
এভাবে অনেক দিন কেটে যায়! অনার্স শেষ হয়ে মাষ্টার্স! মেয়েটির সেই ক্রাশ খাওয়া লুক কিংবা তেজ আর নেই!
.
তবুও মেয়েটির একা একা লাগে! কাশেমকে সে প্রায় সময় ফোন দিয়ে বলে ভালো লাগছে না!
.
ঠিক সেই মুহূর্তে কাশেম মেয়েটিকে অফার করে! আজ কাশেমের সবুরের মেওয়া ফলেছে! শুক্রবার তাদের বিয়ে!
.
সেদিন কাশেমের সাথে দেখা! পিঠ চাপড়িয়ে বললাম, শালা তুই একটা মাল!
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩২
বিজন রয় বলেছেন: অসাম সালা!!!
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯
কাউয়ার জাত বলেছেন: আপনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্পই দেখি ফুরায় না!
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাহ !