নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
প্রথম যে ছেলেটি মেয়েটিকে ভোগ করেছিলো সে শুটিংয়ের সময় ক্যামেরা ম্যানের মাথার উপর ছাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো!
.
মেয়েটি ভেবেছিলো ছেলেটি তার নায়িকা হওয়ার দীর্ঘ লালিত স্বপ্নের একমাত্র সিঁড়ি
.
ছেলেটির সুবাধে একদিন মেয়েটির ক্যামেরা ম্যানের সাথে পরিচয় হয়! সে ভেবেছিলো নিশ্চিত ক্যামেরা ম্যান ই পারবে তাকে নায়িকা বানাতে!
.
একদিন সুযোগ বুঝে ক্যামেরা ম্যান স্কিন টেস্ট নিলো! একান্ত মুহূর্তের একটি ভিডিও নিয়ে তা ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নিয়মিত তাকে ভোগ করতে লাগলো!
.
এভাবে কোন একদিন তার সাথে প্রডিউসারের আলাপ জমে গেলো! সে তাকে নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে তাকে লিটনের প্লাটে চায়ের দাওয়াত দিলো,
.
একদিন সে সত্যি সত্যি নায়িকা বনে গেলো!
.
সিনেমার নাম ছিলো 'সতী নারীর পতি ভক্তি!'
.
একজন সতী নারীর জীবনীর আলোকে নির্মিত ছবিতে ভালো অভিনয়ের খেতাব স্বরূপ তাকে দেশের একজন খ্যাতমান চলচ্চিত্র পরিচালক তার ছবিতে অভিনয় করার জন্য অফার করলো!
.
এই প্রথম সে সিঙ্গাপুর টু থাইল্যান্ড তিন মাসের শুটিংয়ের কাজে গেলো! পরিচালক একই রুমে রোজ দুবেলা রিহার্সেল তালিম দিতে থাকলো!
.
আবশেষে 'সত্যিকার প্রেম' মুক্তির পর তার উপর নজর পড়লো সিনেমা জগতের ডন হিসেবে পরিচিত টিক্কু খানের সাথে
.
সে বন্ধুমহলসহ তার মনোরঞ্জনের জন্য নায়িকাকে ভাড়া করলো! চলছে বিনোদন! কয়েক দফা বিনোদন!
.
মেয়েটি এখন বেশ জনপ্রিয়! সুঠাম দেহের কারণে আন্দর মহলে তার জনপ্রিয়তা আরো বেশী! তবুও মন বলে একটা কথা আছে! একদিন সে সহঅভিনেতার প্রেমে পড়ে যায়!
.
অসম্ভব ভালবেসে ফেলে নায়ক কে! নায়কও সুযোগের সৎব্যবহার করে চুটিয়ে প্রেম করতে থাকে! কিন্তু কয়েক বছর যাওয়ার পর দেখা যায় সিনেমার নবাগত নতুন নায়িকার সাথে নায়কের ভাব বেশী!
.
সে বুঝতে পারে অবহেলার স্বীকার হচ্ছে! একদিন সে নায়ককে ডেকে বলে চলো আমরা অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করে সংসার করি!
.
নায়ক তার ক্যারিয়ারের দোহায় দিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে! সম্পর্ক চিহ্ন করতে সে বদ্ধপরিকর! নায়িকার এখন পৃথিবীর সবকিছুর বিনিময়ে নায়ককে চাই!
.
এর মাঝখানে নতুন নায়িকার সাথে নায়ককে নিয়ে পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হতে থাকে! এটা নিয়ে তাদের মধ্যে একদিন সত্যি ব্রেকআপ হয়ে যায়!
.
নায়িকা জোর গলায় বললো, তুমি আমার সতীত্ব ফিরিয়ে দাও! নায়ক হু হা হা করে বললো, সিনেমার নায়িকাদের আবার সতীত্ব!
.
সতী নারীর পতি ভক্তি রিমিক টু বের হওয়ার ঘোষণা দিলো প্রযোজক! নায়িকা দ্বিতীয় ছবিতে অভিনয় করার অফার পেয়ে তাতে অভিনয় শুরু করলো!
.
সবকিছুর বিনিময়ে একজন নারী সাংসারিক নারী হতে চাচ্ছে এমন একটি ভূমিকায় সে অভিনয় করে সেই বছর অস্কারের জন্য মনোনীত হলো! এটি ছিলো তার শেষ ছবি!
.
হঠাৎ করে সে লোক চক্কুর আড়ালে চলে যায়!
.
বড্ড অভিমানে আড়ালে চলে যাওয়া যাকে বলে!
.
তাকে না খুঁজে আসেন আমরা মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জীবনীর খোঁজ নিই,
.
ওপার কিংবা এপার-দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয়তা পাওয়া এ অভিনেত্রীর বর্ণাঢ্য চলচ্চিত্র জীবনের পর একটা পর্যায়ে হয়ে যান লোক চক্ষুর সম্পূর্ণ আড়াল!
.
লোক চক্ষুর অনেকটা আড়াল হয়ে গিয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা শাবানা!
.
হঠাৎ করে সাংসার করার নিমিত্তে লোক চক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস!
.
শুধু তাই না এনা ক্যারেনিনা এবং ওয়ার এন্ড পিচ লেখার পর লিও তলস্তয় এত বেশী জনপ্রিয় হয়েছিলেন যে তার পাঞ্জাবীর আঁচল ছুঁয়ে দেখার জন্য তার বাসার সামনে ভক্তদের লাইন লেগে থাকতো সেই তলস্তয় সবকিছু ছেড়ে একদিন লোক চক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছিলেন!
.
মৃত্যুর পর লোকে জানতে পারে নিজ কাঁধে বহন করে রোজ ধর্মীয় পুস্তক বিক্রয় করা লোকটি ছদ্মবেশী তলস্তয়! সেখানে তিনি মানসিক শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন! বরং অনুতপ্ত এবং লজ্জিত হতেন তার জনপ্রিয় দুটি বই লেখার কারণে!
.
জনপ্রিয় হলেও সেখানে তিনি মানসিক শান্তি খুঁজে পাননি সুতরাং জনপ্রিয়তা সব কিছু না রে পাগলা!
.
তবে সৎ পথে জনপ্রিয় হতে পারলে সেটি সার্বিক আনন্দদায়ক তা বলার অপেক্ষা রাখে না!
©somewhere in net ltd.