নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের মমত্ববোধ পুরো কর্ম জীবনে আর কোথাও দেখিনি!
.
কিছুদিন আগে ভারতীয় একটি হাতি বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিলো! নাম দিয়েছিলাম বঙ্গবাহাদুর! হাতিটি বাঁচানোর জন্য পুরো দেশ টিভির সামনে বসে প্রার্থনা করেছিলো কিন্তু হাতিটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়!
.
হাতিটির ময়নাতদন্তের জন্য একটি লিগ্যাল নোটিশেরও আবেদন করেছিলেন এক ভদ্রলোক কারণ হাতিটি শরণার্থী ছিলো!
.
আমরা এমন জাতি নিজেরা প্রতিদিন ভাল ভাত দিয়ে খেলেও যে দিন কোন মেহমান আসবে সেদিন সামর্থ্য থাকলে দেশী মুরগী দোপেঁয়াজা করে মেহমানদারী করি!
.
রাজধানীর নীলক্ষেতে খেলা দেখানো পোষা বানর যে একটি বিড়াল ছানাকে চার মাস বুকের দুধ পান করিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিলো তা নিশ্চয়ই অনেকে জানি! আসলে এটি একটি পশুকে শিখিয়েছিলো মালিক নিজেই! পশুও শিখেছিলো!
.
অথচ গৌতমবুদ্ধে অনুসারী হয়ে আজ মায়ানমার রোহিঙ্গাদের সর্বকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে হত্যা করছে!
.
বৌদ্ধ ধর্মের কর্ণধার গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন, জীব হত্যা মহাপাপ!
.
তিনি ত্রিপিটকে আরো বলেছিলেন,
,
'মা যেমন তার একমাত্র পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে থাকে, সেরূপ সকল প্রাণীর প্রতি অপ্রমেয় মৈত্রীভাব পোষণ করবে!'
.
'দণ্ড এবং মৃত্যুকে সকলেই ভয় করে। জীবন সকলেরই প্রিয়। তাই সকলকে নিজের সাথে তুলনা করে আঘাত কিংবা হত্যা করবে না!'
.
'শুধু অন্যদের প্রতি সত্য সমবেদনা এই বিশ্বের আরোগ্য করতে পারে!'
.
বিশ্বের পাঁচটি বৌদ্ধ রাষ্ট্র মানে যাদের রাষ্ট্র ধর্ম হলো বৌদ্ধ সেগুলো হলো থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভূটান এবং মায়ানমার!
.
গৌতম বুদ্ধ মূলতো মানবতার কথা বলে গেছেন বেশী,
.
বৌদ্ধরা ত্রিশরন মন্ত্রের উপর অধিষ্ঠিত যেমন,
.
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি - আমি বুদ্ধের শরণ নিলাম।
,
ধম্মং শরণং গচ্ছামি - আমি ধর্মের শরণ নিলাম।
,
সংঘং শরণং গচ্ছামি - আমি সংঘের শরণ নিলাম।
.
কিন্তু আজ তারা কার শরণ নিয়ে অন্য দেশে তাদের শরণার্থী বাড়াচ্ছে?
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পাশে একটি প্যাগোডা আছে পুরো নাম 'বিশ্বশান্তি প্যাগোডা' কিন্তু জাতিসংঘ বলছে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় অশান্তি এই রোহিঙ্গা সমস্যা! মানবিকতার সবচেয়ে বড় বিপর্যয়!
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
গৌতম মানুষের জন্য বলেছিনেন, "জীব হত্যা মহা পাপ"; উনি জলদস্যুদের বাচ্চাদের জন্য বলে গেছেন, "ইহাদের উাপর এটম ফেলতে হবে, জাপানীদের মতো; তখন মানুষ হবে"।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
কানিজ রিনা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন চাঁদগাজী, আপনি তো
আমেরিকায় আছেন চেষ্টা চালিয়ে যান।
জলদস্যু জাতীর উপর ট্রাম্প নানা যদি
একটা এটম ফেলত বিশ্বের সকলদেশ
খুশি হতো। সেই সাথে কিমজং বুঝত
কত ধানে কত চাউল।
অসংখ্য ধন্যবাদ রব শরীফকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
মলাসইলমুইনা বলেছেন: কি যে বলবো বুঝতে পারছি না | "মানুষ মরে গেলে পঁচে যায় | বেঁচে থাকলে বদলায় |ক্ষনে ক্ষনে বদলায়, মুহূর্তে মুহূর্তে বদলায়"(আশা করি মুনির চৌধুরীর কোটটা ঠিক আছে | বহু বহু বছর আগে পড়া) | যাদের শান্তির অনুসারী হবার কথা তেমন কিছু মানুষ তাই বুঝি বদলে গেছে | অপেক্ষা করা ছাড়া এই মুহূর্তে কি আর করা | দেখা যাক, ইতিহাস কিভাবে এই ঘটনা লিখে রাখে তার পাতায় |