নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড় ছেলে

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

বড় ছেলে নাটক দেখে খারাপ লাগলেও এতো ইমোশনাল হতে পারিনি! আমার এক বন্ধু ছিলো বাড়ির বড় ছেলে! কলেজে থাকতে মে বি ক্লাশ এইটের একটি মেয়েকে শিখিয়েছিলো প্র এ কার ম সমান প্রেম!
.
এভাবে পরিবারের বড় ছেলেটি বার বছরেরও বেশী সময় ধরে প্রেম শিখিয়ে মেয়েটিকে বড় মেয়ে বানিয়েছিলো! একদিন মেয়েটি চলন্ত ট্রেনে একটি স্মার্ট সুদর্শন ব্যাংকার ছেলের ভিজিটিং কার্ড খুঁজে নিয়ে কিছুদিন পর তাকে বিয়ে করেছিলো!
.
আমার বন্ধুটিকে বুঝিয়েছিলো সে ফ্যামেলির চাপে পড়ে বিয়ে করেছে!
.
বড় ছেলে নাটকে এক ঘন্টাতে কি ঘটেছে সে দিকে আমার খেয়াল ছিলো না বরং আমি অপূর্বের প্রেমিকার দিকে তাকিয়ে ছিলাম! সো কিউট লাগছিলো তাকে....!
.
মনে মনে ভাবছিলাম এমন সুন্দরী একটা প্রেমিকা থাকলে আমি টেলিফিল্মের নায়কের চেয়ে শতগুণ বেশী কষ্ট পেতাম! চোখের জলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডুবে যেতো! আমার চোখের জলের উপর নৌকা চালিয়ে মেহজাবিন শ্বশুর বাড়ি যেতো!
.
তারচেয়ে বড় কথা নাটকের প্রেমিকা বড় লোকের একমাত্র মেয়ে নন্দদুলালী ছিলো সে একবারও বেপারটি নিয়ে তার বাবার সাথে কথা বলেনি! কেনো বলেনি? লাইফ রিস্ক তো নিতে পারতো! তার বাবাও তো মানুষ হয়তো ছেলেকে মেনে নিতো এবং একটা চাকরির ব্যবস্থাও করে দিতে পারতো!
.
এই চট্টগ্রাম শহরে একশ প্লাস জামাই বাবা আছে যারা শ্বশুরের মেয়ে বিয়ে করে প্রতিষ্ঠানের সিইও থেকে শুরু করে ডিরেক্টর লেভেলে আছে! স্ক্রিপ রাইটারের বেপারটি নলেজে রাখার দরকার ছিলো!
.
বড় ভাইয়ের থাপড়ানির চোটে আমার মতো কত ছোট ভাইয়ের এমন প্রেম ভেঙ্গে গেছে সেটিও আমলে নেওয়ার দরকার ছিলো!
.
প্রেমিক যেখানে পরিবারে পাঁচশ টাকা দিতে হিমশিম খায় সেখানে তাকে বিশ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে টিসট্ ঘড়ি না দিয়ে টাকাগুলো ক্যাশ দিতে পারতো! জেনে রাখা ভালো এর নিচে টিসট্ ঘড়ি পাবেন না!
.
মোদ্দা কথা, নায়িকা শুধু চোখের জল ই ফেললো! আরো বেশী কিছু চেষ্টা করতে পারলো না ভেবে খারাপ লাগলো! চাইলে অনেক কিছু করার ছিলো!
.
পরিশেষে, প্রেমিকার যেখানে বিয়ে ঠিক হয়েছিলো তাদের রান্না বান্না করার জন্য চার পাঁচ জন কাজের মেয়ে এবং গাড়ির দরজা খোলার জন্য একজন লোক থাকে এমন কথাগুলো ব্রেকাপের সময় অনেক মেয়ে বলে!
.
আমাকে তো বলেছিলো, আমার থেকে স্মার্ট সুদর্শন ছেলে তার শ্বশুর বাড়ির দারোয়ান থাকে! আমি বলেছিলাম, ঐ চাকরিটা তাহলে আমাকে দিতে বলো! অন্তত চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো বলে ফোন করে তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিই! সে বলেছিলো, তুমি কিভাবে ভাবলে আমি দারোয়ান বিয়ে করবো!!! :p

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.