নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
গ্রামের বাড়ি সন্দ্বীপ গেলে কিছু জিনিস শুনি বেশী! অমুক গাছে মুখ লাগছে! তমুকের মুখে মুখ লাগছে! সমুক মেয়ের তো মুখ লেগে ব্রণ উঠছে কিন্তু ঘটনা সত্য! কথা সত্য! কাহিনী অন্যজায়গায়! সব দোষ অদৃশ্য মুহিত আলীকে দিয়ে বাস্তব মুহিত আলী দেদারচ্ছে বিনোদন নিচ্ছে!
.
তো কাঁঠাল গাছের নিচ দিয়ে জৈনক মুহিত আলী হেঁটে যাওয়ার সময় বলেছিলো, একটা গাছে কতগুলো কাঁঠাল ধরছে দেখছো? তারপর থেকে সে গাছে নাকি আর কাঁঠাল ধরে নি!
.
মুহিত আলী আরেক দিন হেঁটে যাচ্ছিলো রাস্তা দিয়ে পাশে একজন গাভীর দুধ দোহন করছিলো! সেটা দেখে সে বললো, কি ঘন দুধ মাইরি! তার পরের দিন থেকে গাভী নাকি দুধ ই দেয় না! নিচেও নাকি হাত দেওয়া যায় না
.
তো মুহিত আলীর মুখ দোষের খবর সবাই জানতো সুতরাং এক কৃষকের জমিতে অনেক ঘাস জন্মেছে! সে চিন্তা করলো, মুহিত আলীকে এনে যদি তার মুখ দিয়ে একবার বাহির করানো যায়, ঘাসে ভরপুর জমি! তাহলে পরের দিন সব ঘাস মরে জমি পরিস্কার হয়ে যাবে!
.
এবং সে ঘাস উঠানোর কষ্ট থেকে ও মুক্তি পাবে!
.
দাওয়াত পেয়ে মুহিত আলী আসলো! সে জমি দেখলো! ঘাস নিয়ে কোন কথা না বলে উল্টো ফসল নিয়ে বললো, 'এই জমি দেখি খুব উর্বর! জমিতে আশা করি ফসলও ভালো হবে!'
.
তো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মেয়ের মা আমাকে একদিন বলতেছে, বাতাস তার মেয়ের পেটে লেগেছে! মানে সে পেগন্যান্ট! সবাই জ্বীনের গোষ্ঠি উদ্ধার করতেছে! হুজুর এসে ফুট টুক দিচ্ছে! তার মা ডাক্তারকে গিয়েও একই কথা বললো! ডাক্তার বুঝেও না বুঝে এব্রোয়েশন করে দিলো! বাতাসের উচিলায় নায়ক বেঁচে গেলো!
.
এক দূরবর্তী এলাকায় এক জ্বিনের বাড়ি ছিলো! কেউ ওখানে ভয়ে যেতো না! সেখান থেকে মাঝ রাতে নাকি জ্বিন পরীর হাসি ভেসে আসে! এলাকার রহস্যময়ী বাড়ি! কে জানতো গুজব ছড়িয়ে তার আড়ালে চলতো রমরমা দেহ ব্যবসা!
.
একটি গল্প মনে পড়ে গেলো! শোভাকলোণীতে থাকতাম তখন! খুব ছোট! একদিন মাঝ রাতে ঘুমে ভেঙ্গে গেলে দেখলাম, দুই হাত কাকতাড়ুয়ার মতো করে জ্বিন দাঁড়িয়ে আছে! ভয়ে আমি কুঁকড়ে যাচ্ছি! আধাঘন্টা যাবত জ্বিনকে মিটমিট করে আড়চোখে দেখছিলাম! চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিলাম না চিৎকার! হঠাৎ কেনো জানি মনে হলো, রাখে আল্লাহ মারে কে!
.
আজকে জ্বিনের একদিন তো আবদুর রব শরীফের একদিন! মাথার পাশে থেকে একটি লাঠি বের করে আস্তে আস্তে উঠলাম! ইয়া ইয়া পুশ বলে জ্বীনের পেট দিয়ে ঢুকিয়ে দিলাম! পরে দেখলাম চেয়ারের উপর শুকাতে দেওয়া আমার সাদা শার্ট ছিদ্র হয়ে গেছে! মনে মনে প্রচুর হাসলাম তারপর লজ্জায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম আবার!
২৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ রেখে গেলুম!
২| ২৯ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
ইরফান আহমেদ ইমন বলেছেন: বাতাসের উচিলায় নায়ক বেঁচে গেলো
-------এই উক্তিটি ভাল্লাগছে
২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:০৩
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: এমন ই তো হয় দেখলাম!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩১
মো: হাফিজুল ইসলাম হাফি বলেছেন: oshadharon jokti borda.......