নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোটিভেশনাল স্পিকার ডক্টর আলমাসুর রহমান স্যার একবার বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা শত শত গবেষণা করে দেখেছেনঃ প্রবল ইচ্ছে, পরিকল্পনা এবং কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া এই তিনটি জিনিস যদি তার সাথে থাকে সে কখনো বিফল হতে পারে না!
.
বিল গেটসকে সিএনএন টেলিভিশনে ল্যারি কিংস প্রশ্ন করেছিলেন, পৃথিবীর সেরা ধনী হওয়ার পিছনে রহস্য কি? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, আমি সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছিলাম! প্রশ্ন উঠলো অনেকে ই তো সঠিক কাজটি করেছিলো! তিনি তখন বললেন, ওদের পরিকল্পনা এবং কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার মানসিকতা ছিলো না!
.
ব্যাপারটি আবদুর রব শরীফের মতো! লম্বা লম্বা লেকচার দিই কিন্তু কোন কাজে সফল হতে পারিনা!
.
এই প্রসঙ্গে একটি কৌতুক আছে! চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শোভাকলোণীর মসজিদের হুজুর থেকে শুনেছিলাম,
.
এক হুজুর সে তার ছাত্রদের পড়াতো, আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল থাকলে যে কোন বিপদে মোকাবেলা করে অগ্রসর হওয়া যায়! যেমন ধরো সামনে একটি নদী পড়লো তুমি নদী হেঁটে পাড় হয়ে যেতে পারবে যদি আল্লাহ'র উপর ঐ ভাবে বিশ্বাস করতে পারো!
.
হুজুর পড়াতো ঠিকি কিন্তু বিশ্বাস করতো না!
.
তো একদিন সত্যি সত্যি এমন একটি বিপদ আসলো! বিপদ মুক্তির জন্য সামনের একমাত্র বাঁধা নদীটি পাড় হতে হবে! ছেলেটি তখন ভাবলো, হুজুর যখন বলছে আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখলে নদী হেঁটে পাড় হওয়া যাবে সেটা একদম মিথ্যে হতে পারে না! যেই ভাবা সেই কাজ! সে রহমতের উচিলায় নদী হেঁটে পাড় হয়ে গেলো!
.
তারপর আসলো হুজুরের পালা! সে মনে মনে সন্দেহ পোষণ করতো তবুও চিন্তা করলো একবার চেষ্টা করে দেখি! কি হয়!
.
যা হবার তা ই হলো! শিক্ষক ডুবে মারা গেলো!
.
একটি সত্য ঘটনা! আলামসুর স্যার গেছেন স্পন্সর নিতে একটি ছোট অফিসে! সেই অফিসে বসার জায়গা নেই! জৈনক স্পন্সরদাতা বললেন, একদিন আমি এই জায়গার উপর পঁচিশ তলা অফিস করবো সেদিন তুমি আর আমি বসে রিলাক্সে আড্ডা দিবো! আলমাস স্যার ভালো মোটিভেশন বক্তা হওয়া সত্ত্বেও এমন অলীক স্বপ্ন দেখে মনে মনে না হেসে পারলেন না! কিন্তু সাতাশ বছর পর তিনি খেয়াল করলেন ঐ জায়গায় একটি সাতাশ তলা বিল্ডিং যার নিচে নেইম প্লেটে ঐ ব্যক্তির নাম খোদাই করে লেখা!
২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
লিওনাডাইস বলেছেন: ভালো লাগল পড়ে।