নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
যাদের মাথায় চুল কম তাদের পকেটে কিছু না পেলেও একটি চিরুনি পাবেন! কারণ তারা বুঝে চুল না থাকার মূল্য! অল্প যে কয়টা আছে সেগুলো যত্ন করে গুছাইয়া রাখে!
.
শেষ কিছু অবশিষ্ট চুল যে করে হোক রক্ষা করতেই হবে!
.
তো এক কিপ্টে লোক গেছে চিরুনি কিনতে! এলাকার সাবাই তাকে কিপ্টুস জানতো তাই সে দোকানে গিয়ে বললো ভাই চিরুনীর একটি কাঁটা ভেঙ্গে গেছে! দোকানী তাকে ইয়ার্কি করে বললো, একটি কাঁটা ভেঙ্গে গেছে তো কি হয়েছে? বাকীগুলো দিয়ে চালিয়ে দিন! খামোখা কেনো টাকা খরচ করতে যাবেন! তো সে রেগেমেগে বললো, আরে ভাই ঐ একটি কাঁটা ই শেষ কাঁটা ছিলো!
.
স্বাধীনতাত্তোর নির্বাচিত সন্দ্বীপের প্রথম এমপি এম. ওবায়দুল হক ছিলেন আমার দাদা! সুতরাং আমাদের বাড়ি এমপি ওবায়দুল হক সাহেবের বাড়ি হওয়ায় আমাদের ছিলো গোলা ভরা ধান আর মাথা ভরা চুলও!
.
তো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নং গেইটে একবার আলামিনের আধুনিক সেলুনে চুল কাটতে গেলে সে আমার থেকে বিশ টাকা বেশী দাবী করে বসলো! বললো সকালে আপনার আব্বার চুল কেটে কাঁচি ভোতা হয়ে গেছে এখন আপনি আসছেন কাঁচি ভাঙ্গতে!
.
সেই চুল আস্তে আস্তে কমে আসা শুরু হলো! যত কমে তত যত্ন ও বাড়তে থাকে! এখন আমার পকেটে কিছু না পাইলেও একটা চিরুনী পাবেন!
.
তো এক দুষ্টু ছেলে তার বাবা মা কে বলছে তোমাদের কিছু চুল সাদা কিছু চুল কালা কেনো! দম্পতি উত্তর দিলো, যাদের ছেলে দুষ্টমি বেশী করে সেই দুষ্ট ছেলের টেনশনে বাবা মায়ের চুল পেকে সাদা হয়ে যায়! তা শুনে ছেলে জবাব দিলো, ও আচ্ছা তাহলে তোমাদের কারণে আমার নানা নানী দাদা দাদীর সবগুলো চুল ধবধবে সাদা হয়ে গেছে!
.
তো বাবা বললো, বেশী পাকনামো না করে একটু চুল টেনে দে!
.
ছেলে চুল টানছে বাবা আরামছে চোখ বুজে আছে! কিরে তুই তো আগে এতো সুন্দর করে চুল টানতি না! ছেলে বললো, দূর বাবা! কি যে বলো! আমার চুইংগামটা তোমার চুলে আটকে গেছে!
.
এক রোগী গেছে ডাক্তারের কাছে চুল পড়া সমস্যা নিয়ে! ডাক্তার বললো, চৌধুরী সাহেব কিসের এতো টেনশন করেন এতো যে চুল পড়ে যায়! রোগী বললো, চুল পড়া নিয়ে ই তো যত টেনশন!
.
নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ আমার চুল! দৈনিক ঘর থেকে বের হলে রুটিন করে শুনতে হয়, আবদুর রব শরীফ ভাই তো বুড়ো হয়ে গেছেন! আপনার চুল পেকে যাচ্ছে! আমি বলি, কি চুল টাইপের কথা বলিস! চুল চলে যাওয়ার চেয়ে পেকে যাওয়া ভালো!
.
কিছুদিন আগে মেয়ে দেখতে গেলাম! শরমে মাথা নিচু করে ছিলাম! মেয়ে তো আমাকে দেখে কথার এক ফাঁকে বলেই ফেললো, বাবা আপনি এখনো দেখতে সো ইয়ং! আমি তো আপনার মেয়ের মতো! এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে!
১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: হাহাহা একদম
২| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫
আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: এইবার পরিপুর্ন রম্য এর মজা পেলাম , আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নামটাও পেলাম । খুব ভালো।
১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রেখে গেলুম!
৩| ১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: বাপ-বেটার কাঁচি ভোতা করা এবং ভাংগাটা দারুন লেগেছে।
আর শেষটা একদম এপিক
৪| ১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হায় হায় শেষে এইডা কি কইলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাবা আপনি এখনো দেখতে সো ইয়ং! আমি তো আপনার মেয়ের মতো! এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে!
ঠিকই তো! এতো লজ্জা পাওয়ার কী আছে? হাঃ হাঃ হাঃ।