নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আপনার দুর্বলতা ই আপনার সফলতা!
.
সন্দ্বীপের কোন একটি প্রত্যন্ত স্কুল থেকে ২০০৫ সালে আমার বন্ধু এ+ পেয়েছে! পুরো স্কুল তাকে সংবর্ধনা দিলো! তাকে প্রধান অতিথির চেয়ার টেনে দিয়ে স্পিচ দিতে বললো সবার উদ্দেশ্যে! অথচ এতদিন সে একটি ছোট কলেজে পড়ে ভেবে নিজেকে ছোট এবং ব্যাকডেটেড মনে করতো!
.
আমার আরেক বন্ধু একই বছর চট্টগ্রাম খুব নামী দামী কলেজ থেকে এ+ পেয়েছে! ঐ কলেজের প্রায় সবাই এ+ পেয়েছে! কলেজ তাদের সাদামাঠা সংবর্ধনা দিলো!
.
অনেক বছর পর প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজে পড়া ছেলেটি তার কলেজে ঘুরতে গেলো! কলেজ এখনো তাকে সমানভাবে মনে রেখেছে দেখে তার চোখে জল এলো!
.
হেড মাস্টারের রুমের দক্ষিণ পাশে এপিটাপের মতো খোদাই করা তার নাম! এখনো যত্ন সহকারে সংরক্ষিত! আহা! কি আনন্দ! আকাশে বাতাসে! সরি ভাঙ্গা ফ্যানের বাতাসে!
.
আর নামী দামী কলেজের বন্ধুটি অনেক বছর পর তার কলেজে গিয়ে দেখে কেউ তাকে চিনছে না! বস্তা বস্তা এ+ ভিড়ে সে হারিয়ে গেছে!
.
জগতে যে আপনার চেয়ে সাধারণ মানুষ সে আপনাকে মনে রাখবে! সম্মান দিবে! কিন্তু যে আপনার চেয়ে অসাধারণ তার আপনাকে নিয়ে ভাবার টাইম নাইকা! কিন্তু দিন শেষে বাঁশটা আমরা সাধারণ মানুষটাকে দিতে অভ্যস্ত!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ক্যাম্পাস আছে! একটি হচ্ছে উত্তর ক্যাম্পাস আরেকটি হচ্ছে দক্ষিণ ক্যাম্পাস!
.
পূর্ব ক্যাম্পাস কিংবা পশ্চিম ক্যাম্পাস কেনো নেই সেটা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেও কিছু পেলুম না!
.
দক্ষিণ ক্যাম্পাসে থাকে ইয়া বড় বড় মানুষরা যেমন শিক্ষক, রেজিস্ট্রার, চেয়ারম্যান, ভিসিসহ ইয়া বড় বড় মানুষগুলো!
.
আর উত্তর ক্যাম্পাসে থাকে ছোট ছোট চাকরি করে এমন মানুষগুলো সাথে আমিও! এবং আমার মতো মানুষগুলো!
.
আমি যেখানে থাকি ঐ এলাকায় জিন্দেগীতেও কেউ কোন ক্লাশে ফাস্ট হয়নি! ছোট ছোট টিনের ঘর! মেঠো পথ! অনেকটা গ্রামের মতো! ছেলেরা বিন্দাস খেলা নিয়ো ব্যস্ত! পুরো এলাকা যেনো একটি পরিবার এমন!
.
২০০৫ সালে যখন আমার এসএসসি'র রেজাল্ট হয় তখন আমার এক বন্ধু এ+ পেয়েছে আর আমি জিপিএ ৪.৫ তো সে আমাকে বললো কত করে না বলছি ওসব ছেড়ে একটু পড়! পড়! পড়! শুনলি না!
.
যেকোন কাজে আমি স্কুল থেকে সাইকেল নিয়ে দক্ষিণ ক্যাম্পাস গিয়েছিলাম! পথে এক শিক্ষক! এই চোকরা রেজাল্ট কি? ওহ আচ্ছা! পড়াশুনা তো করো না এরচেয়ে ভালো কেমনে হবে!
.
যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত্রি হয়!
.
একটু পর দেখা অত্র এলাকার বিশেষ গুণীজনের সাথে! সে হিসেব কষে দেখিয়ে দিলো এবার দক্ষিণ ক্যাম্পাসে পাশের হার একশ শতাংশ এবং এ+ এর হার ৯৭ শতাংশ এমন! ব্লা ব্লা!
.
তোমাদের ঐ দিকে অবস্থা? বললাম এখন পর্যন্ত আমি এগিয়ে আছি! তারপর সে আকাশ থেকে পড়লো!
.
নিজেকে এতিম এতিম লাগছে! হায় শরীফ! হায় শরীফ! জীবনে তুই এ কি করিলি!
.
তো দুপুরে আমার এলাকায় আসলাম! আরে ভাই নামেন সাইকেল থেকে! আপনি তো অত্র এলাকার গর্ব! এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে আপনি বিপুল সংখ্যক ভোটে এগিয়ে আছেন!
.
এলাকার কৃতী সন্তান হিসেবে তিন তিনটা টিউশনিও ঘরের আশে পাশে পেয়ে গেলাম!
.
মুরুব্বীরা আমার হাত ধরে নিবেদন করে তার সন্তানকে যেনো একটু পড়ালেখার বেপার বুঝিয়ে বলি! এই জীবনে পড়াশুনা করা কত দরকার!
.
মনে মনে বলতে থাকলাম, এই জীবন আমি রাখুম না! এতো সুখ প্রাণে সইবে না!
০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৫
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: অনুভব করতে পেরেছি হাহা
২| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪২
সৈয়দ মেহবুব রহমান বলেছেন: যুক্তিযুক্ত
০৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
যাক, লেখাপড়াই বাংগালী জাতির জন্য সম্পদ, সেটা আপনি অনুভব করেছেন