নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
উন্নত দেশগুলোতে পড়া লেখার সিস্টেম পাল্টে যাচ্ছে! তারা বাচ্চা ছেলেদের একটি কফি শপ দিয়ে বলে আগামী এক বছর এই দোকানটি চালানো তোমার পরীক্ষা!
.
দোকান চালাতে গিয়ে তারা অংক শিখে যাচ্ছে!
.
কফি বিক্রী করতে গিয়ে তারা মার্কেটিং শিখে যাচ্ছে!
.
পুরো ব্যবসাটা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ম্যানেজিং শিখে যাচ্ছে!
.
লাভ লাসে পড়ে অর্থনীতি শিখে যাচ্ছে হাতে কলমে!
.
অর্থনীতি কথা আসলে আমার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে পড়ে! আমি হাতে কলমে কিছু বাস্তব গল্প বলি! আপনারা বুঝে নেন!
.
অর্থনীতিতে সুযোগ ব্যয় কি এবং দাম বাড়লে চাহিদা কমে! দাম কমলে চাহিদা বাড়ে! এই দুই একটা বিষয় ছাড়া আমার কিচ্ছু মনে নাই তবুও আমি মাস্টার্সে ফাস্ট ক্লাশ!
.
অর্থনীতিবিদ মইনুল ইসলাম স্যারের কিছু গল্প মনে আছে তা নিজের গল্প বলে চালিয়ে দিই! পরিশেষে ভাব নিয়ে বলি, এসব জটিল টার্ম শিখতে হলে তোমাকেও অর্থনীতি পড়তে হবে!
.
চাকরি জীবনে এসে বুঝলাম একটা ফ্যাক্টরি কেমনে চলে তার জটিল হিসেব নিকেশ আমরা কিছু জানি না কিন্তু একটা ইন্ডিয়ান শ্রীলংকান দুই চার বছর বয়সে বড় হবে সে আমার দেশে বসে আমার ফ্যাক্টেরির লাভ লস হিসেব করে প্রফিট ম্যাক্সিমাইজিং করছে!
.
আমরা যখন অফিসার তারা তখন আমাদের বস!
.
আমদের আট দশ গুণ বেতন! সেই লাইফ স্টাইল! আমরা যা পাড়ি তা হলো ওদের তৈল মর্দন! একটু যদি প্রমোশন পাই দ্রুত!
.
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আমাদের নিজেদের এই দৈন্যদশা একদিন আমাদের ভোগাবে! ভোগাচ্ছে!
.
আমাদের কেডিএস এক্সেসোরিজের চিপ এক্সিকিউটিব অফিসার (সিইও) দেবাশীষ দাস পাল স্যার একজন ইন্ডিয়ান! এমনি শত শত উদাহরণ আছে!
.
কিছুদিন আগে গুগলের সিইও(প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন ৪৩ বছর বয়সী ভারতের 'সুন্দর পিচাই!'
.
কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যের সাত বছরের এক বাচ্চা গুগলের সিইও কে চিঠি লিখেছিলো তার একটি চাকরি চাই! আর আমি সাতাশ বছর বয়সে এসে জেনেছি গুগলের সিইও এখন 'সুন্দর পিচাই!'
.
'ডিয়ার গুগল বস' সম্বোধন করা চিঠির উত্তর তিনি এভাবে দিয়েছিলেন, ‘চিঠির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি জেনে খুশি হয়েছি যে তুমি রোবট ও কম্পিউটার পছন্দ করো এবং আশা করি তুমি প্রযুক্তি বিষয়ে জানা অব্যাহত রাখবে।'
.
সমস্যা হলো আমরা পাশ করি! ভালো রেজাল্ট করি! তবুও আমাদের জানা দরকার এমন ম্যাক্সিমাম জিনিস আমাদের অজানা থেকে যায়!
.
আমরা সবকিছু শর্টকাটে শিখে ফেলি! একশটা প্রশ্ন থেকে পাঁচটা প্রশ্ন বের করে তার থেকে পাঁচ পয়েন্ট নোট করে অবশেষে সময় না ফেলে শুধু পাঁচটা পয়েন্ট মুখস্ত করি! যদি তারও সময় না হয় তা স্কেল, গেঞ্জি অথবা পাঁচ মিনিট আগে গিয়ে টেবিলে টুলে লিখে রাখি!
.
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারকে সবাই প্রশ্ন করে স্যার ঢাকা কলেজে পড়ানোর সময় কেনো বিলাসী গল্পটা আপনি শেষ করতে পারেন নি! উনি তার জবাব একটি টিভি চ্যানেলে এভাবে দিয়েছিলেন! 'আমি জানি ছাত্রদের আমি যতই শেষ করে দিই না কেনো তারা নোট মুখস্ত করবে! তার চেয়ে বরং তাদের কিছু বিলাসী রিলেটেড বাস্তব গল্প বলি! শেষ না হোক! জীবনে তো কাজে আসবে!
০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ!
২| ০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
পশ্চিম সেখানে গিয়েছে অনেক চেস্টার পর, আমরা ওদেরকে অনুসরণ করে, ওদের অনেক কস্টের পাওয়াকে সহজেই পেতে পারি।
০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ওয়াও! খুব সুন্দর সাজেশন!
৩| ০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
৫/৬ বছরে আপনি এত কম শিখেছেন, সেটা দু:খজনক
০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: শিখেছি কিন্তু মনে নাই আরকি!
৪| ০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
লিযেন বলেছেন: বেদনা দায়ক
০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: একদম ঠিক!
৫| ০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
আলপনা তালুকদার বলেছেন: ভারতে একটি স্কুলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি চ্যাপ্টার বাস্তব প্রয়োগ পদ্ধতিতে শিখতে গিয়ে স্কুলের ছেলেমেয়েরা সে গ্রামের কলেরা, টাইফয়েড নির্মূল করেছে। আসলে এটাই দরকার। কোন কিছু শেখার সাথে সাথে সেটা কোথায় কাজে লাগবে, সেটা শেখানো বেশী জরুরী
ধন্যবাদ। ভাল লাগলো
০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ভারতে একটি স্কুলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি চ্যাপ্টার বাস্তব প্রয়োগ পদ্ধতিতে শিখতে গিয়ে স্কুলের ছেলেমেয়েরা সে গ্রামের কলেরা, টাইফয়েড নির্মূল করেছে। আসলে এটাই দরকার। কোন কিছু শেখার সাথে সাথে সেটা কোথায় কাজে লাগবে, সেটা শেখানো বেশী জরুরী! চরম!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২
বিজ্ঞানবাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ