নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাহুবলী থ্রি ফোর ফাইভ চলবে......!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১২

প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার বা ৪০০ লক্ষ ডলার বা ১ ডলার ৮০ টাকা করে ধরলে ৩২০ কোটি টাকা খরচ করে বাহুবলী'র প্রথম খন্ড তৈরী করা হয়েছিলো!
.
এখন চলছে দ্বিতীয় খন্ড নিয়ে মাতামাতি!
.
সকালে অফিস যাওয়ার সময় আমার ছোট ক্যালকুলেটরে এই হিসেব করতে গিয়ে দেখি ইরর দেখাচ্ছে!
.
পরে অফিসে গিয়ে বড় ক্যালকুলেটরে হিসেব কষেছি! বরাবার ই আমি অংকে দুর্বল! চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল তার স্বাক্ষী!
.
একবার স্যার বলেছিলো তিনটা অংকের মধ্যে একটা মাস্ট আসবো! নোট বইয়ের পাতা ছিঁড়ে নিয়ে গেছিলাম তিনটা! একটা কমন! দেদারচ্ছে লিখে দিয়েছি দেখে দেখে! বাসায় এসে দেখি প্রশ্নে সব ঠিক আছে কিন্তু শুধু একটি সংখ্যা বেশ কম! ফলাফল ডাবল জিরো!
.
আমাদের সময় একমাত্র অংকের নোট বই দেখার অধিকার কেবল স্যারদের ছিলো! কারণ তার বুঝতো আর নোট বই আমাদের হাতে দিলে অন্যান্য বিষয়ের মতো মুখস্ত করা শুরু করবো ভেবে তারা লুকিয়ে রাখতো!
.
পৃথিবীতে প্রতিদিন আশি লক্ষ মানুষ না খেয়ে থাকে আর বাহুবলীর দেশ ভারতে আশি হাজার লোক রাতের খাবার না খেয়ে ঘুমায়!
.
আমি জানি আপনি ভাবছেন! আবদুর রব শরীফ ভাই নীতিকথা শুরু করেছে! এই জন্য অংকে ফেইল্টুস!
.
কুড়িগ্রামে ভাতের অভাবে মাত্র ৩৪৫০ টাকায় সন্তান বিক্রীর ঘটনা মাত্র কয়েক বছর আগের! সাথে উপহার হিসেবে বাবা পেয়েছিলেন একটি পাঞ্জাবী মা টাঙ্গাইলের শাড়ি!
.
‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স’ তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছিলো পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় ৩১ লাখ শিশু মারা যায় না খেয়ে!
.
কিছুদিন আগে এক রোহিঙ্গা শিশু পনের দিন না খেতে পেয়ে মারা যাওয়ার পর তা ফেসবুক ব্লগে ভাইরাল ইস্যু হয়ে গিয়েছিলো!
.
বাহুবলী বিগিনিং ছবিতে কেন বাহুবলীকে খুন করলেন কাটাপ্পা? 'বাহুবলী: দ্য কনক্লুশান' ছবিতে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ নির্ঘুম ছিলেন! এখন উত্তর খোঁজার জন্য লিংক খুঁজছেন! তবে কেনো এক মুঠো ভাতের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যায় তার উত্তর কয়জন খুঁজছেন? টাকা নেই!
.
এই সেই হাজার কোটি টাকা যা দিয়ে ক্যাসিনো বানানো হয়! বুর্জ খলিফা থেকে শুরু করে হালের পাঁচ তারকা হোটেল তৈরী হয়!
.
মানুষের মাঝে আজ সর্গ নরক মানুষেই সুরাসুর! কেউ বিলাসবহুল প্লাটে স্বর্গে থাকে তার পাশে কেউ ফুটপাতে বস্তা গায়ে!
.
ইদানিং বড্ড লেকচার দিই আমি! দুপুরে আস্ত একটা গ্রিল চিবোচ্ছিলাম তার একটু আগে আমার কাছে একটা লিকলিকে মহিলা এসে ভাত খেতে চেয়েছিলো! আমি দুই টাকা দিয়ে হাজী মোহাম্মদ মহসীনের মতো ভাব নিয়েছিলাম!
.
সবচেয়ে বড় কথা ব্যাংকে কিছু টাকা থাকলে কোন এক সন্ধ্যায় তোমাকে নিয়ে বাহুবলী দেখতে যেতাম ভারতের কোন সিনেকমপ্লেক্সে! পারছি না বলে গোষ্ঠি উদ্ধার করছি!
.
আমি নিজেই মস্ত বড় হালার পো হালা! কেমনে বুঝবো ওদের জ্বালা! যাকে নিয়ে এই বাহুবলী তিনি নিজেই তো সন্যাসী!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১৩

কানিজ রিনা বলেছেন: আবদুর রব ভারতে দম দম ইস্টেসন রাতে
যদি দেখতেন কত গৃহহারা না খাওয়া শিশু
বৃদ্ধ বৃদ্ধা ঘুমায়।
এক টিকেট চেকার আমার সাথে এনিয়ে
ভিষন তর্ক করেছিল। কারন চেকার বলছিল
আমরা বাংলিরা নাকি ভারতের দয়ায় বেঁচে
আছি।

০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আসলেই ঠিক এবং যথোপোযুক্ত বলেছেন!

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:২৩

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: আপনি কখনো সিনেমা দেখেন না?
কাটাপা বাহুবলীকে মারসিল রানীর আদেশে।
কাহিনি শেষ

০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: না নোয়াখালিকে বিভাগ ঘোষণার দাবী করেছিলো সে! :P

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমি যতটুকু দেখিয়াছি , আমাদের দেশের মানুষের মনুষত্ব এখনো মরে নাই। না খেয়ে মরার মানুষ এখন আর দেখি না। (রোহিঙ্গারা নোংরা রাজনীতির শিকার )৯০ এর দশকে রংপুর বিভাগে অভাব দেখিয়াছিলাম। খুব খারাপ লাগিয়াছিল। ২০০০ এর পর ভারতে গিয়েছিলাম। বিশাল বিত্ত বৈভবের পাশে নিদারুন দারিদ্র দেখিয়া সত্যি সত্যি চোখে পানি আসিয়াছিল। তখন বুঝিয়াছিলাম মাওবাদী , নকশালরা কেন মানুষ মারে। চোখে দেখিয়া এই দারিদ্র সহ্য করার মতো নহে। এতো বড় দেশ , শুধুমাত্র সুষ্ঠূ ব্যাবস্থাপনার অভাবে মানুষ না খাইয়া মরে। ভারত ভাঙিয়া টুকরো টুকরো হওয়া উচিত। পরাশক্তি হইয়া কি হইবো পেটে ভাত না থাকিলে ?

আমরা বাংলাদেশিরা অনেক ভালো আছি। তবে আরো ভালো হইতে হইবে। অব্যবস্থাপনা দূর করিতে হইবে। ব্যাবস্থাপনা ভালো হইলে জাতি অনেক দূর যাইতে পারতো।

০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: সুন্দর এবং মূল্যবান কমেন্ট!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.